সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল কনটেন্টের ধারণা বাংলাদেশে প্রথম চালু করে ডি.নেট। পল্লীতথ্য কমর্সূচীর মাধ্যমে এই কন্টেন্ট ব্যবহার শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান তা ব্যবহার শুরু করে। ডি.নেটই প্রথম ইনফোমেডিয়ারির ধারণা প্রচলন করে, যার ফলে নিরক্ষর মানুষ ডিজিটাল কনটেন্টের সুবিধা নিতে সক্ষম হয়। মাঠপর্যায়ের বাস্তবতায় দেখা যায়, শুধু টেক্সট ও ছবি নির্ভর কন্টেন্ট মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাই ডি.নেট সচলচিত্র তৈরী শুরূ করে। সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে ডিজিটাল কন্টেন্টের চাহিদা তৈরীতে সক্ষম হয়। ২০০৭ সাল থেকে ডি.নেট মাল্ডিমিডিয়া কনটেন্ট এন্ড কমিউনিকেশনস নামে পৃথক প্রকল্প হিসেবে চালু করে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মাল্ডিমিডিয়া কনটেন্ট এন্ড কমিউনিকেশনস পৃথক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে।
এমসিসি এমন বিভিন্ন ধরনের উপস্থাপনার গুনগত মান নিশ্চিত করে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরী করে থাকে৷ লেখা, ছবি, চলচ্চিত্র, এ্যানিমেশন, ডিজাইন ইত্যাদি যে কোন সংস্থার জন্যে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তথ্যের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে উপস্থাপনের কৌশল৷ তাই কোন কোন তথ্য প্রচার ও প্রকাশের জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র অডিও আবার কোন কোনটার জন্য প্রয়োজন এনিমেশন বা চলচ্চিত্র নির্মানের৷ এইসকল লেখা, ছবি, চলচ্চিত্র, এ্যানিমেশন বা ডিজাইনের একসাথে উপস্থাপনই মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট৷ এধরনের মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট নির্মানের পাশাপাশি এমসিসি এই সমস্ত কনটেন্ট এর নান্দনিকতাও নিশ্চিত করে থাকে৷ কেননা এমসিসি বিশ্বাস করে যেকোন তথ্যকে সার্বজনীন করার জন্য উপস্থাপনার নতুন কৌশল ও এর নান্দনিকতা অধিক তাৎপর্যের দাবিদার৷ এছাড়া বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরী করার পাশাপাশি কমিউনিকেশনস্ এর নতুন নতুন মাধ্যমগুলো নিয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি অন্য সংস্থা/ব্যক্তিকে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ দেয়াও এম.সি.সি র আরও একটি উদ্দেশ্য৷
এমসিসিতে আছে একদল দক্ষ কর্মী বাহিনী, যারা উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, উন্নয়নমূলক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারেও পারদর্শী৷ এমসিসি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন/গবেষনা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরী করছে। এখানে একদল গবেষক সর্বক্ষণই উন্নয়নমূলকা কর্মকান্ডকে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখতে গবেষনা করে যাচ্ছে৷ এর আছে দক্ষ এনিমেটর দল৷ যারা সমাজ সচেতনতা এবং শিক্ষামূলক কার্টুন নির্মান করে থাকেন৷ আছে ডিজাইনার৷ যারা বিভিন্ন সংস্থার বইয়ের প্রচ্ছদ, পোস্টার ইত্যাদি ডিজাইন করে থাকেন৷ প্রকল্পের সাথে আরো আছে একদল ওয়েবপেইজ ডেভলপার৷ যারা বিভিন্নধনের ওয়েব সাইটের ডিজাইন করে থাকেন৷ এছাড়া আছে তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য একটি সম্পূর্ণ ইউনিট৷ যারা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রামান্য, কাহিনী নির্ভর এবং এনিমেশন চলচ্চিত্র নির্মান করে থাকেন৷
এম.সি.সি এবছরে বিভিন্ন সংস্থার জন্য বিভিন্ন জিনিস তৈরী করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
- "মনি" – মহিলা ভ্রাম্যমান তথ্যকর্মী বা মোবাইল লেডিকে কেন্দ্র করে সচেতনতামূলক এনিমেশন ভিত্তিক ধারবাহিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র৷
এশিয়ান ভয়েস এশিয়ার ৩৭টি দেশের বিভিন্ন ভাষায় প্রচারকৃত একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক রেডিও৷
ডিনেট ও অনান্য উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বই, রিপোট, পোস্টার, সিডি-ডিভিডি কভার, ব্যানার, লিফলেট ও অন্যান্য প্রিন্টিং এর কাজ৷
ইউএনডিপর অর্থায়নে গ্রামীণ ও নিরক্ষর মানুষদের জন্য এ্যনিমেটেড কনটেন্ট তৈরী
ইউনেস্কোর অথায়র্নে “নারী ও নকশা” নামে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সাক্ষরতা উপকরণ তৈরী
ষষ্ঠ ও তদুর্ধ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজী শিক্ষার তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সাক্ষরতা উপকরণ তৈরী৷
এখন থেকে এমসিসি সরাসরি ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরীর কাজ করবে, যেখানে গবেষণা সহায়তা দেবে ডি.নেট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




