ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি এম পি ইলেকশানে লড়ছেন। আর টেস্ট অধিনায়ক সাকিব (শেখ হাসিনার নির্দেশে) নির্বাচন না করে সরকারী দল আওয়ামী লীগের পক্ষে সোশাল মিডিয়াতে প্রচারণা চালিয়েছেন। বিভিন্ন ওয়েবে(যেখানে সাধারণ জনগণ মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছে) এই দুজনের প্রশংসার চেয়ে দুর্নামই বেশী চোখে পড়ছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীরা স্বাভাবিক ভাবেই খুবই ক্ষুব্ধ। আর নিরপেক্ষ মানুষও এটাকে সুদৃষ্টিতে দেখছে না।
তারা দুইজন সাবেক খেলোয়াড় হলে কিংবা অন্তত অধিনায়ক না হলে হয়ত এত সমালোচনা হত না। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীনই বলা যায়। একে তো সরকার এখনো ক্ষমতায়, এমপি, মন্ত্রী সবাই এখনো ক্ষমতায় আছেন। তার মধ্যে জাতীয়(আওয়ামী লীগ নয়) দলের দুই অধিনায়ককে এভাবে সরাসরি সরকারী দলের সমর্থন করাকে আপনারা কীভাবে দেখছেন?
পাশাপাশি আরেকটা প্রশ্নরও উত্তর দিবেন যদি ওরা দুজন বিএনপি বা ঐক্য ফ্রন্টের হয়ে এমপি প্রার্থী বা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সোশাল মিডিয়াতে প্রচারণা চালাতেন তাহলে ওরা কি অধিনায়ক হিসেবে বহাল থাকতেন? বা আদৌ ওদের প্রার্থী হতে বা প্রচার চালাতে দিত কিনা আওয়ামী লীগ সরকার? তখন আওয়ামী বুদ্ধিজীবিরা তাদের নৈতিকতা নিয়ে টক শো-তে ঝড় তুলতেন কিনা?
কিংবা (ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার পর) এখন যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও ফেসবুক সেলিব্রিটি গণ তাদের নিয়ে সুনাম করছেন, একই সুনাম অব্যাহত রাখতেন কিনা? বিসিবি সভাপতি পাপন সাহেব তাদের পারফরম্যান্স ভাল হওয়া সত্ত্বেও ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার অপরাধে দলে রাখতেন কিনা? ব্লগে হাসান কালবৈশাখী, কলাবাগান - সাকিব/মাশরাফির জামায়াত কানেকশান নিয়ে পোস্ট লিখতেন কিনা?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৩