somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পগ্রন্থ - 'অদ্ভুত ইঙ্গিত আসে ঈশ্বর থেকে' প্রথম দু'টি গল্পের রূপরেখা!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্প এক

প্রতীকের বয়স পঁচিশও হতে পারে, বত্রিশও হতে পারে। তবে চব্বিশের নীচে না, আবার তেত্রিশের বেশিও না। গল্পের নায়কের বয়স তো আর যেমন তেমন হতে পারে না। নায়ক হবে টগবগে, তারুণ্যে ভরপুর, ঝলমলে-উচ্ছ্বল, স্বচ্ছল, সুন্দরী পরিবেষ্টিত!

দূর্ভাগ্যজনক হলেও বয়স ছাড়া আর কোন কিছুই আমাদের গল্পের নায়ক প্রতীকের নেই। তাকে নায়ক বলা যায় কিনা সে বিতর্কও বোদ্ধারা করতে পারেন, আমরা সেই বিতর্কে যাব না। প্রতীক তার বিধবা মা’কে নিয়ে বাসাবো’র একটা পুরনো দোতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলায় থাকে। বাড়িটি দোতলাই তবে অন্য নায়কদের মতো প্রতীকদের বাসার সামনে ছোট একটা খোলা ছাদ নেই, চারিদিকে সুউচ্চ ভবনে ঢাকা, তাদের তাই কখনও বাইরে আকাশের দিকে তাকানো হয় না। প্রতীক কি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছে কি না তা অনেক চেষ্টা করেও আমরা জানতে পারিনি। ওদের সংসার কিভাবে চলে তাও আমরা জানিনা, তবে এতটুকু জানি ওদের দু’জনের সংসারটা বেশ চলে যাচ্ছে।

প্রতীক চাকরি খুঁজছে, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা খুলে চাকরি খোঁজা এখন প্রতীকের একটি অন্যতম প্রধান কাজ। চাকরি খুঁজে, ইন্টারভিউ দিয়ে, চাকরি না ফিরে বাসায় এসে আবার একই চক্রে ঘুরতে ঘুরতে প্রতীকের দিনগুলি কিন্তু খারাপ কাটছিল না।

বিছানায় শুয়ে শুয়ে রাতে ঘুমুবার আগে একটা চমৎকার বিদেশি কোম্পানীতে চাকরি করবার স্বপ্ন দেখে প্রতীক, মনে হয় আহারে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার আট নম্বর পাতায় অমন একটা চাকরির বিজ্ঞাপন যদি পাওয়া যেত! তারপর হালের নায়িকা দিশানের মতো কাউকে নিয়ে সে ধানমন্ডির কোন একটা চকচকে কফি শপে বসে কফি খেত বিন্দাস!

পরের দিন ঘুম থেকে উঠে প্রতীকের জীবন বদলে যায়। সে দেখে তার স্বপ্নে দেখা চাকরির বিজ্ঞাপন পত্রিকার পাতায়। বিকেলে দেখা হয়ে যায় কফি শপে দিশানের সাথে একই টেবিলে বসে! তারপর ঘটনার মোড় দ্রুত ঘুরতে থাকে। প্রতীকের কল্পনার সবকিছু বাস্তবের রূপ নিতে থাকে অলৌকিকভাবে! জীবনের
এই অভাবিত পরিবর্তনে বিহ্বল হয়ে যায় প্রতীক।

এর পর কি হয় ওর জীবনে?

গল্প দুই

তমা আর রায়ানের প্রথম দেখা হয় শ্যাওড়াপাড়ার কাছের হাসান পেট্রল পাম্পের সামনে। এখানে সহজে সিএনজি পাওয়া যায়, অন্ততপক্ষে মিরপুরের অন্য যে কোন জায়গার চাইতে সহজে।

তমা আর রায়ানের দ্বিতীয় দেখা বনানীর প্রবেশমুখে, আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে বনানী কাকলীর কাছের ট্রাফিক জ্যামে।

তমা আর রায়ানের তৃতীয় দেখা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে – একটি দেশীয় বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের হঠাৎ ঘোষিত ট্যাক্সের টাকা পরিশোধ করবার সময়।

রায়ান আর তমার এই প্রথম তিনবার দেখা হয় মাত্র আড়াই ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে!

ওদের চতুর্থ দেখা থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, পঞ্চম দেখা পাতায়ার নির্জন বীচে এক নিরালা সন্ধায়; এরপর থেকে তাদের দেখা হতেই থাকে।

তমা আর রায়ানের চতুর্থ আর শততমবার দেখা হবার মাঝে ব্যবধান একসপ্তাহেরও কম সময়ের!

রায়ান আর তমার কি একশ একবার দেখা হয়েছিল? তারা কি একসাথে ফিরেছিল পাতায়া থেকে ঢাকাতে? এতবার যে দেখা; ওদের কি কখনও নিজেদের মাঝে কথা হয়েছিল? ওরা কি পূর্বপরিচিত ছিল?

ওদের কি ভালবাসা হয়েছিল? ঘৃণা? বিয়ে? বিচ্ছেদ? প্রেম!

আমরা এখনও জানি না।

এ দু’টি গল্পেরই পরিণতি জানা যাবে ২০১৫ বইমেলায় প্রকাশিতব্য শামীম আহমেদ এর গল্পগ্রন্থ অদ্ভুত ইঙ্গিত আসে ঈশ্বর থেকে'র পাতায় পাতায়!

কিংবা হয়ত জানা যাবেনা! কে জানে!

শুভ সকাল
১৯ অগাস্ট ২০১৪

https://www.facebook.com/shamimahmedjitu
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×