বেশি ভূমিকা করে কাজ নেই। একটা সময়ে নাটক করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের উপর কিছু কাজ,অনেকটা ওয়ার্কশপের মত,করতে হয়েছিল,আমাদের টিমসহ বেশ কয়েকটা টিমকে। একেকটা দলের একেক কাজ,তার মাঝে অনেক না-জানা তথ্য জেনেছিলাম,আদান-প্রদান করেছিলাম। অবহেলায় হারিয়ে গেছে বেশ কিছু,কিন্তু অযত্নেও রয়ে গেছে কিছু। হারিয়ে যাবার আগেই এখানে তুলে রাখলাম তার একটা অংশ,যে কণ্ঠ নিয়ে একসময় বীর বাঙ্গালি গর্জে উঠেছিল,সেই বজ্রকন্ঠের কিছু
স্লোগান তুলে দিলাম এখানে। কৃতজ্ঞতা বন্ধু সুমন মুন্সি ও তার দলের বাকিদের,আর কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় দেবাশিষ ঘোষ,আমাদের দেবাশিষ দা' কে,যার তাড়া খেয়ে আমাদের কাজটা করতে হয়েছিল। আজ দিলাম ১৯৫২ থেকে ১৯৬৮,বাকিটা পরের পর্বে। তথ্যে কোন ভুল থাকলে বা আরো কোন স্লোগান কারো কাছে থাকলে,এখানে মন্তব্য আকারে তুলে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
১৯৫৩:
"শহীদ স্মৃতি
অমর হউক।"
১৯৫৬:
"মৃত্যুমুখী
মানুষকে
বাঁচাও"
[সূত্র: হাজার বছরের বাংলাদেশ(ডঃ মোহাম্মদ হান্নান) পৃ: ৬৩]
১৯৬২:
"শিক্ষা সংকোচন নীতি
পরিহার কর"
"পূর্ব বাংলাকে
শোষণ করা
চলবে না"
"২০ টাকা মণ দরে
চাউল চাই"
"স্বায়ত্বশাসন
দিতে হবে"
[১৯৬২ ছাত্র আন্দোলন;[সূত্র: হাজার বছরের বাংলাদেশ(ডঃ মোহাম্মদ হান্নান) পৃ: ৭৬]
"রাজবন্দীদের মুক্তি চাই,
নিরাপত্তা আইন বাতিল কর।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট জিন্দাবাদ"
"ভাসানীর দাবী দেশের দাবী
ভাসানীর দাবী মানতে হবে।"
"গণধিকৃত
এবডো আইন
বাতিল কর
রাজনৈতিক দল আইন
বাতিল কর
নিরাপত্তা আইন
বাতিল কর।"
"এক কেন্দ্রিক নয়
ফেডারেল পদ্ধতির
গণতন্ত্র মানতে হবে"
[ #পাকিস্তানের বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে যাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ বাঙ্গালি নেতৃত্ব আসতে না পারে সেজন্য আইয়ুব খান শহীদ সোহরাওয়ার্দী,হামিদুল হক চৌধুরী,আতাউর রহমান খান,সৈয়দ আজিজুল হক,নান্না মিয়া,আব্দুস সালাম খান প্রমুখকে "এবডো" ঘোষণা করেন। তার প্রতিবাদে]
[সূত্র:স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালি(আফতাব আহমেদ)--পৃঃ ২৩]
১৯৬৪:
"মোদের গরব মোদের আশা,আ'মরি বাংলা ভাষা।"
"আ-এ আদা
র-এ রসুন
এ নাম জপে বুলবুল।"
"থ হ য় ই ং এ ক ঔ খ ব ঋ থ রে ঐ
অ ঙ ট চ ক জ প ভ ম র ল ও
গ ঞ ড় ঝ ঐ ৎ ঢ় ষ প ছ ঝ ঘ ঠ শ"
[১৯৬৪ সালে রাশেদ খান মেনন এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গণমিছিল বের হয়]
১৯৬৬:
"সোনার
দেশ
আজ
শ্মশান
কেন!!"
"গণসংগ্রামেই
বাজবে
গণমুক্তি
--আ: লীগ"
"অর্থপাচার
বন্ধ কর
--আঃ লীগ"
"৬ দফাই
গণমুক্তির
মহাসনদ
--আঃ লীগ"
"৬ দফা
আমাদের বাঁচার দাবী"
[২০ মার্চ,১৯৬৬; সূত্র:স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালি(আফতাব আহমেদ)--পৃঃ ২৭]
"৬ দফা ভিত্তিক
স্বায়ত্বশাসন দিতে হবে।
--আঃ লীগ"
"পূর্ব বাংলার পূর্ণ
আন্চ্ঞলিক
স্বায়ত্বশাসন দিতে হবে।
--পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন"
[সূত্র:স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালি(আফতাব আহমেদ)--পৃঃ ২৮]
"সহজলভ্য
শিক্ষা চাই।
--পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন"
[ ৭ জুন,১৯৬৬, এদিন ৬ দফার দাবীতে দেশব্যাপী পূর্ণদিবস হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে শতাধিক হতাহত হয়,গ্রেপ্তার হয় অনেকে;
সূত্র:স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালি(আফতাব আহমেদ)--পৃঃ ২৯]
১৯৬৭:
"ছাত্রসহ সকল
রাজবন্দীদের
মুক্তি চাই'
--পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন"
"সকল রাজনৈতিক
মামলা
দণ্ডাদেশ
বাতিল কর।
--পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন"
"১১ দফার
বাস্তবায়ন চাই।
--পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন"
[ ৯ ফেব্রুয়ারি,১৯৬৭; সূত্র:স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালি(আফতাব আহমেদ)--পৃঃ ৩৪]
"নারী শিক্ষার
প্রসার চাই"
"সংবাদপত্রের
কণ্ঠরোধ
চলবে না"
"কমিউনিস্ট পার্টির
উপর বিধিনিষেধ
প্রত্যাহার কর"
[সূত্র: হাজার বছরের বাংলাদেশ(ডঃ মোহাম্মদ হান্নান) পৃ: ৮৫,৮৬,৯১]
১৯৬৮:
"গণতন্ত্র কায়েম কর।"
[সূত্র: হাজার বছরের বাংলাদেশ(ডঃ মোহাম্মদ হান্নান) পৃ: ৭৬]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৭