somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালিদের ইয়ারমুখ যুদ্ধঃ শেষ কিস্তিঃ দ্য ডে বাইজান্টাইন ক্রুসেডরস ক্রাম্বল্ড টু বি পেরিশড।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খালিদের ইয়ারমুখ যুদ্ধ
কিস্তিঃ দশ ও শেষ কিস্তি
যুদ্ধের ৫ম এবং শেষ দিনঃ দ্য ডে রোমান ক্রুসেডরস ক্রাম্বল্ড বিফোর ইসলাম

১৯ আগস্ট ৬৩৬, ইয়ারমুখ যুদ্ধের ৫ম দিন সকালে বাইজান্টাইন আর মুসলিম সেনাবাহিনী আরো একবার ইয়ারমুখ প্রান্তরে ঠিক প্রথম দিনের মতই যে যার ফ্রন্ট লাইন বরাবর মুখোমুখি রনপোমে দাঁড়িয়ে গেল। অবশ্য দুপক্ষেরই প্রথম দিনের সেই টগবগে উত্তেজনা আজ অনেকটাই উবে হয়ে গেছে। গত চারদিনের রক্তক্ষয়ী দ্বৈরথ পেরিয়ে আজ পর্যন্ত যারা দুপায়ের উপর খাড়া আছে তাদের প্রত্যেকেই কমবেশি আহত আর ভয়ানক ক্লান্ত।

সুর্য উঠবার পর একঘন্টা পেরিয়ে যাবার পরও আজ বাইজান্টাইন ফ্রন্টে আক্রমনের কোন প্রস্তুতি চোখে পড়ল না। তারপর হঠাত বাইজান্টাইন সেন্টার থেকে সাদা পতাকা উড়িয়ে ছোট্ট একটা অশ্বারোহী দল দুলকি চালে মুসলিম ফ্রন্টের সেন্টারের দিকে এগিয়ে এল। ছোট্ট এই বাইজান্টাইন প্রতিনিধিদলের প্রধান খালিদের সাথে দেখা করতে চাইল।

খালিদ এবং আবু উবায়দা দুজনেই বাইজান্টাইন প্রতিনিধির মাধ্যমে জানলেন যে গত চারদিনের যুদ্ধেও যেহেতু কোন পক্ষই চূড়ান্ত কোন ফলাফলের দেখা পায়নি তাই ভাহান আপাতত কিছুদিনের জন্য যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করছেন। একথা প্রকাশ্য দিবালোকের মতই স্পষ্ট যে গত চারদিনে মুসলিমদের তুলনায় বাইজান্তাইনদের সৈন্যক্ষয় নিঃসন্দেহে অনেক বেশিই হয়েছে, তাই ভাহান এই যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে আসলে তার ডিভিশঙ্গুলোর রেস্ট আর রিফিট নিশ্চিত করে যুদ্ধের জন্য ফের রিওর্গানাজ করতে সময় কিনতে চাইছে। কিন্তু মুসলিমদের অবস্থাও তথৈবচ; বরং বাইজান্টাইনদের চাইতে মুসলিম সেনাদের বিশ্রামের জরুরত আরো বেশি। তাই মুসলিম সেনা প্রধান হিসেবে আবু উবায়দা সঙ্গতকারনেই ভাহানের এ সন্ধি প্রস্তাবে অমত করার কোন কারন খুঁজে পেলেন না।

কিন্তু বাধ সাধলেন খালিদ। ঠিক গতকাল সন্ধ্যায়ই তার উরুতে মাথা রেখে প্রায় একই সাথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে তারই বাল্যবন্ধু ইকিরিমাহ আর ইকিরিমাহর ছেলে আমর। আবু সুফিয়ানের মত জ্যৈষ্ঠ যোদ্ধা এক চোখ হারিয়েছেন। গতকাল বিকালের ‘ব্যাটেল অব লস্ট আইজ’ যুদ্ধে তার প্রত্যেকটা অফিসার আর কমান্ডার এমনভাবে লড়েছে যে রাতে তাদের বিশ্রাম নিশ্চিত করতে সেনা প্রধান হয়েও আবু উবায়দা স্বয়ং ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে তাবুতে তাবুতে খোঁজ নিয়েছেন আর আউটপোস্ট পরিদর্শন করে এসেছেন।

কিন্তু তারপরেও মুসলিম সেনাদের মোরাল এই মুহুর্তে তুঙ্গে আর বাইজান্টাইনদের মোরাল এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত চারদিনের নিরলস পরিশ্রম আর ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহ পাক মুখ তুলে তাকিয়েছেন এবং অবশেষে ডিফেন্সিভ ফর্মেশন ঝেড়ে ফেলে মুসলিম সেনাবাহিনীর এবার কাউন্টার অফেন্সিভে যাবার দুর্লভ সুযোগ তৈরি হয়েছে। দুঃসাহসী জাররার গতকালই ওয়াদি উর রাকাদের উপর একমাত্র ব্রিজ আইনাল দাকারের ওপারের পাহাড়ে কিছু মুসলিম সেনাকে হাইড আউটে রেখে এসেছে। চাইলে আজ রাতেই ব্রিজ পুনর্দখল করে নিয়ে বাইজান্টাইনদের একমাত্র পিছু হটার পথ রুদ্ধ করে দেয়া সম্ভব। অতএব সর্বসম্মতিক্রমে ভাহানের সন্ধি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাইজান্টাইন প্রতিনিধিদের সসম্মানে বিদায় করে দেয়া হল।

অতএব ইয়ারমুখ যুদ্ধের ৫ম দিন কোন পক্ষই হোস্টাইলিটি শুরু না করায় দিনটি কেটে গেল বিনাযুদ্ধে। কিন্তু রাতে খালিদ জাররারের নেতৃত্বে ৫০০ ঘোড়সওয়ার পাঠিয়ে দিলেন আইনাল দাকার ব্রিজ কব্জা করতে। জাররার যখন তার দল নিয়ে সন্তর্পনে ঘুর পথে আইনাল দাকারের পথে রওনা দিলেন তখন খালিদ তার সেনাবাহিনীর বাকি সব ক্যভুলরি সৈন্যদের একত্রিত করে তার নিজের মোবাইল গার্ডসহ একটা মাত্র ক্যভুলরি রিজার্ভ তৈরি করলেন।

ইয়ারমুখ যুদ্ধের ষষ্ঠ ও শেষ দিন, ২০ আগস্ট ৬৩৬, সকালে বাইজান্তাইন আর মুসলিম সেনারা ফের তারের ফ্রন্ট লাইন বরাবর ফর্ম আপ করল। কারা আগে আক্রমন সূচনা করবে সেই দ্বিধায় ঘন্টা খানেক কেটে গেল। হঠাত বাইজান্টাইন বাহিনীর সেন্টার থেকে বিশালদেহী জেনারেল গ্রেগরি একাই ঘোড়া ছুটিয়ে মুসলিম ফ্রন্টের সামনে এসে দাড়ালেন। তারপর বাজখাই গলায় হাক দিলেন, “মুসলিম জেনারেলদের মধ্যে কে আছো আমার সাথে লড়তে চাও, এগিয়ে এসো।”

চলনে, বলনে এবং গড়নে ইউরোপিয়ান জেনারেল গ্রেগরি আসলেই ছিলেন শক্তিশালী মল্লযোদ্ধা। তাই ষষ্ঠ দিন সকালে তিনি নিজেই এগিয়ে এলেন যেন দু’একজন মুসলিম জেনারেলকে দ্বন্দযুদ্ধে নিজ হাতে হত্যা করে যুদ্ধের শুরুতেই মুসলিম সৈন্যদের ডিমোরালাইড করে ফেলা যায়। আর সেই দু’একজনের ভেতর একজন যদি খালিদ হয় তবে তো আর কথাই নেই।

গ্রেগরির চ্যালেঞ্জে সবার প্রথম সাড়া দিলেন আবু উবায়দা নিজে। কিন্তু গ্রেগরির আস্ফালন দেখে অন্য মুসলিম কমান্ডারেরা সবাই তাকে নিবৃত করতে চাইলেন। বরং দ্বন্দযুদ্ধে খালিদের ঐতিহাসিক রেকর্ড বিবেচনায় তারা সবাই মত দিল খালিদের পক্ষে। কিন্তু এবার আবু উবায়দা তার সেনা প্রধানের পদাধিকার বলে নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। তারপর নিজের ঘোড়ার পিঠে চড়ে খালিদের উদ্দেশ্যে বললেন, “যদি আমি না ফিরি সেক্ষেত্রে উমর বিন খাত্তাবের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মুসলিম সেনাবাহিনী দেখভালের দায়িত্ব তোমাকেই দিয়ে যাচ্ছি।”

আবু উবায়দা মুসলিম ফ্রন্ট ছাড়িয়ে সামনে গিয়ে ঘোড়া থামালেন। তারপর খাপ থেকে তরবারি হাতে নিয়ে লাগাম ঢিলে করে “আল্লাহু আকবার” বলে হুঙ্কার দিয়ে ঘোড়ার পেটে গোড়ালি দাবালেন। মুহুর্তেই তীর বেগে তার ঘোড়া গ্রেগরির দিকে ধেয়ে যেতে শুরু করল। আবু উবায়দাকে এগিয়ে আসতে দেখে গ্রেগ্ররিও তার তরবারি ড্র করে আবু উবায়দার দিকে তার ঘোড়া ছুটালেন। নোম্যানস ল্যান্ডের মধ্যিখানে শুরু হল এক শ্বাসরুদ্ধকর দ্বৈরথ।

বাইজান্টাইন আর মুসলিমসেনারা সবাই যারযার সেনাপতির জন্য গলাফাটিয়ে চিৎকার করে উৎসাহ দিতে লাগল। দুজন অভিজ্ঞ তরবারি যোদ্ধার তরবারিতে রোদের আলো মুহুর্মুহু ঝলসে উঠতে লাগল। কিছুক্ষনের জন্য যেন সময় থেমে গেল আর সমানে সমান যুদ্ধ চলল। এরপর হঠাত গ্রেগরি ঘোড়া ঘুরিয়ে পিছ টান দিল। কিন্তু নাছোড়বান্দা আবু উবায়দা গোয়াড়ের মত সর্বোচ্চ গতিতে ঘোড়া ছুটিয়ে গ্রেগরির পিছু নিলেন। হালকা পিছু ফিরে আবু উবায়দাকে আসতে দিখে গ্রেগরি সন্তুষ্টির মুচকি হাসি হাসলেন, কারন আরব জেনারেল তার ফাঁদে পা দিয়েছেন।

গ্রেগরিকে পিঠটান দিতে দেখে মুসলিম ফ্রন্ট তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছে। উল্লসিত আবু উবায়দা যখন প্রমত্তা টর্নেডোর মত গ্রেগরির পেছন থেকে এগিয়ে আসতে লাগলেন তখন হঠাত করেই গ্রেগরি তার ঘোড়ার গতি কমিয়ে দিলেন। উদ্দেশ্যটা ছিল নিজের ঘোড়াকে হঠাত ব্রেক কষিয়ে থামিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করা, যেন পাশ দিয়ে আবু উবায়দা তার ঘোড়া নিয়ে তীব্র গতিতে বেড়িয়ে যাবার সময় তার বুকে তরবারি চালিয়ে দু’টুকরা করে ফেলা যায়।

কিন্তু আবু উবায়দাও অভিজ্ঞ যোদ্ধা। হয়ত তিনি গ্রেগরির এই চাল ধরে ফেলে ছিলেন অথবা স্রেফ সহজাত রিফ্লেক্সের কারনেই গ্রেগরিকে অতিক্রম করার সময় তিনি হঠাত শূন্যে লাফিয়ে উঠলেন। মুহুর্তের জন্য গ্রেগরির হিসেবে গরমিল হয়ে গেল আর তিনি তার টার্গেটকে তরবারির নাগালে পেলেন না। কিন্তু আবু উবায়দা শুন্যে ভাসমান অবস্থায়ই গ্রেগরির কল্লা বরাবর কোপ চালালেন।

গতি, দেহের ভর আর বাহুর শক্তি মিলিয়ে আবু উবায়দার ভয়ানক সেই আঘাতে এক কোপেই গ্রেগরির ধর মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। আবু উবায়দা কষে লাগাম টেনে ঘোড়ার পিঠে নিজেকে সামলে নিয়ে মুসলিম ফ্রন্টের দিকে ঘোড়া ঘুরিয়ে রওনা দিলেন। মাটিতে পড়ে ধরফর করতে থাকা মন্ডুবিহীন গ্রেগরির দেহটার দিকে ফিরেও তাকাবার প্রয়োজন বোধ করলেন না তিনি।

আবু উবায়দা ফিরে আসতেই খালিদ মুসলিম পদাতিক বাহিনীর ভার তার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে আমরের বাহিনীর অবস্থানের দিকে ছুটলেন। কারন আমরের বাহিনীর পেছনেই আজ তার মোবাইল গার্ড ক্যভুলরি রিজার্ভ একক ইউনিট হিসেবে অপেক্ষায় আছে। ওয়ার্ম আপ দ্বন্দযুদ্ধের পালা শেষ। গত চারটা দিন ধরে খালিদ এই দিনটার আশায় বুক বেধে ছিলেন। অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে খালিদ বিন ওয়ালিদের সেই বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনাল কাউন্টার অফেন্সিভ।

খালিদের মূল পরিকল্পনা ছিল প্রথমেই গোটা বাইজান্টাইন আর্মির বাম দিকটা আটকে দেয়া, যেন কেউ ঐদিক দিয়ে জাবিয়া রোড ধরে দামেস্কের দিকে পালাতে না পারে। সেজন্য শুরুতেই তিনি বাইজান্টাইন ক্যভুলরি রিজার্ভকে টার্গেট করলেন। শুরুতেই বাইজান্টাইন ক্যভুলরিকে হঠিয়ে দিতে পারলে বাইজান্টাইন পদাতিক ডিভিশনগুলো ক্যভুলরি সাপোর্ট ছাড়া লড়বার উদ্যম হারিয়ে ফেলবে। যদিও সংখ্যায় এখনো তারা মুসলিমদের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু ক্যভুলরি সাপোর্ট হারা বাইজান্টাইন ইনফেন্ট্রির পক্ষে মুসলিম ইনফেন্ট্রি আর ক্যভুলরির সমন্বয়ে করা এটাক সামলানো প্রায় অসম্ভব।

এরপর খালিদের পরিকল্পনা গোটা বাইজান্টাইন বাহিনীকে উত্তরদিক (বাইজান্টাইনদের বাম দিক) থেকে ঠেসে ধরে ওয়াদি উর রাকাদের দিকে নিয়ে যাওয়া। ওখানে গত রাতেই জাররার আইনাল ডাকার ব্রিজ দখলে নিয়ে নিয়েছে। সুতরাং বাম থেকে আক্রান্ত হয়ে পিছাতে না পেরে অগত্যা বাইজান্টাইনরা নিজেদের ডানে আরো দক্ষিনে ইয়ারমুখ নদীর দিকে চাপতে বাধ্য হবে। আর এই ওয়াদি উর রাকাদ আর ইয়ারমুখ নদীর সংযোগস্থলের ত্রিভুজভূমিই হল খালিদের কাংখিত কিলিং গ্রাউন্ড, যেখানে সে ইয়ারমুখ যুদ্ধের চূড়ান্ত নিস্পত্তি করতে চায়।

গ্রেগরিকে মল্লযুদ্ধে হারিয়ে আবু উবায়দা ফিরতেই খালিদ মুসলিম ইনফেন্ট্রি এটাকের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিয়ে নিজে তার মোবাইল গার্ডের সাথে মিশে গেলেন। খালিদের আক্রমন শুরুর সংকেত পেতেই সমস্ত মুসলিম ফ্রন্ট একযোগে বাইজান্টাইন ফ্রন্টের দিকে ধেয়ে গেল। ক্যভুলরি সাপোর্ট ছাড়াই ব্রড ফ্রন্টে এই জেনারেল এটাকে বাইজান্টাইনরা ক্ষনিকের জন্য চমকে গেল। কিন্তু দ্রুতই তারা চমক কাটিয়ে উঠে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলল।

পরিকল্পনা মাফিক ইয়াজিদ আর আবু উবায়দা জেনারেল কুরিনের অধীন বাইজান্টাইন রাইট উইং আর রাইট সেন্টারকে এনগেজড রাখলেন। কিন্তু সুরাবিল আর আমরের বাহিনী কানাতিরের আর্মেনিয়ান আর স্লাভ বাহিনীকে সামনে থেকে তীব্রভাবে আক্রমন করলেন। ঠিক একই সময়ে খালিদ তার ক্যভুলরি রিজার্ভের এক অংশকে কানাতিরের বাহিনীর পেছনে রাখা বাইজান্টাইন ক্যভুলরির ওপর লেলিয়ে দিয়ে নিজে অবশিষ্ট মোবাইল গার্ড নিয়ে কানাতিরের স্লাভ বাহিনীর বাম ফ্ল্যাঙ্কে চার্জ করলেন।

বাইজান্টাইন সেনাবাহিনীতে আর্মেনিয়ানদের সবচে সাহসী যোদ্ধা বলে গন্য করা হত, সম্ভবত সেকারনেই ইয়ারমুখ যুদ্ধেও বাইজান্টাইন সেন্টার আর্মেনিয়ান যোদ্ধাদের নিয়ে গড়া হয়েছিল। কিন্তু স্লাভরা বিখ্যাত ছিল কষ্টসহিষ্ণু শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবে। তাছাড়া সংখ্যায়ও স্লাভরা আজ আমরের বাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি। তাই আমরের ইনফেন্ট্রি ফ্রন্টাল এটাক প্রায় রিপালসড হবার উপক্রম হল। কিন্তু তাদের বাম ফ্ল্যাঙ্ক থেকে খালিদ যখন ক্যভুলরি চার্জ করে বসল তখন পরিস্থিতি পাল্টে গেল।

স্লাভদের উপর ক্যভুলরি ফ্ল্যাঙ্কিং চার্জ করার আগেই খালিদ তার মোবাইল গার্ডের একাংশ দিয়ে স্লাভদের জন্য বরাদ্দ বাইজান্টাইন ক্যভুলারিকে আক্রমন করে বসায় স্লাভ ইনফেন্ট্রি ডিভিশনগুলো খালিদের মুসলিম ক্যভুলরি চার্জের মুখে দ্রুত খেই হারাতে শুরু করল। বাইজান্টাইন ক্যভুলরি প্রাণপণে চেস্টা করল মুসলিম ক্যভুলরিকে পথ থেকে সরিয়ে স্লাভ ইনফেন্ট্রি ইউনিটগুলোর সাপোর্টে এগিয়ে আসতে। কিন্তু খালিদের পাঠানো ক্যভুলরি রিজার্ভের একাংশ বাইজান্টাইন ক্যভুলরি আর স্লাভ ইনফেন্ট্রি ইউনিটগুলোর মাঝখানে দেয়ালের মত দাঁড়িয়ে গেল।

সামনে থেকে আমরের ফ্রন্টাল এটাক আর বাম ফ্ল্যাঙ্ক থেকে খালিদের ফ্ল্যাকিং চার্জের দ্বিমুখী আক্রমনে দিশেহারা স্লাভরা প্রথমে পিছু হটতে চাইল। কিন্তু তাদের ঠিক পেছনেই তখন খালিদের ক্যভুলরির একাংশের সাথে বাইজান্টাইন লেফট উইং ক্যভুলরির তুমুল লড়াই চলছে। অগত্যা সামনে পেছনে আর বাম ফ্ল্যাঙ্ক থেকে অবরুদ্ধ স্লাভরা হুড়মুড় করে তাদের ডানে সুরাবিলের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা আর্মেনিয়ানদের সাথে মিশে যাবার চেস্টা করল। স্লাভদের এই এলোমেলো আগমনে একদিকে আর্মেনিয়ানদের ফাইটিং ফর্মেশনে যেমন ভজঘট লেগে জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি হল তেমনি স্লাভদের বয়ে আনা আতঙ্ক এবার আর্মেনিয়ান সৈন্যদের মাঝেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল।

স্লাভরা আর্মেনিয়ানদের সাথে মিশে যেতেই বাইজান্টাইন ফ্রন্টে যে কনফিউশন সৃষ্টি হল, তার সুযোগে খালিদ তার মোবাইল গার্ড ঘুরিয়ে তার পাশেই মুসলিম ক্যভুলরির একাংশের সাথে লড়তে থাকা বাইজান্টাইন লেফট উইং ক্যভুলরির ডান পাশে গিয়ে ফের উদয় হলেন। এবার টু প্রঞ্জড ক্যভুলরি চার্জের মুখে বাইজান্টাইন লেফট উইং ক্যভুলরি রণে ভংগ দিল এবং দক্ষিনে ভাহানের মূল ক্যভুলরি রিজার্ভের দিকে না গিয়ে সোজা উত্তরে দামেস্কের দিকে পালাল। কিন্তু খালিদ তাদের পিছু ধাওয়া করার কোন আগ্রহই না দেখিয়ে বরং তার ক্যভুলরি রিজার্ভের দুই অংশকে ফের একত্রিত করার আদেশ দিলেন।

খালিদ যখন তার মোবাইল গার্ড নিয়ে বাইজান্টাইন লেফট উইং ক্যভুলরিকে আক্রমন করতে সামনে থেকে সরে গিয়েছিল, আমর তখনি তার বাহিনী নিয়ে সেই শুন্যস্থান পুরন করে আর্মেনিয়ানদের বাম ফ্ল্যাঙ্কে ফর্ম আপ করলেন। কিছুক্ষন আগেও ঠিক এখানটায় দাঁড়িয়েই স্লাভ বাহিনী তার বিরুদ্ধে লরছিল। আমরের বাহিনীকে আর্মেনিয়ানদের বাম ফ্ল্যাঙ্কে ফর্ম আপ করতে দেখে সুরাবিল তার আক্রমনের ধার বাড়িয়ে দিলেন। কিছুক্ষনের মধ্যে আমরের বাহিনীও আর্মেনিয়ানদের বাম ফ্ল্যাঙ্ক থেকে হামলে পড়ল। কিন্তু সদ্য যোগ দেয়া স্লাভদের নিয়ে আর্মেনিয়ানদের সংখ্যা এই মুহুর্তে হঠাত করেই অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই সুরাবিল আমরের টু প্রঞ্জড ইনফেন্ট্রি এসল্টেও কাজ হচ্ছিল না।

আর্মেনিয়ানদের বাম ফ্ল্যাঙ্ক বরাবর ফর্মিং আপের সময়ই আমর আর্মেনিয়ানদের পেছনেই বাইজান্টাইন লেফট সেন্টার ক্যভুলরিকে ফর্ম আপ করতে দেখলেন। যেকোন বাহিনিরই ফ্ল্যাঙ্কই তার সবচে বড় দুর্বলতা। অবস্থা এখন এমন যে আমর এখন যখন তার বাহিনী নিয়ে আর্মেনিয়ানদের বাম ফ্ল্যাঙ্কে আক্রমন করবেন তখনি বাইজান্টাইন লেফট সেন্টার ক্যভুলরিও এসে আমরের বাহিনীর ডান ফ্ল্যাঙ্কে চার্জ করবে। ক্যভুলরি চার্জের বিরুদ্ধে তার ইনফেন্ট্রি ইউনিটগুলো কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারবে না, কিন্তু এই মুহুর্তে এসব ভেবে আর কোন লাভই নেই, পিছিয়ে আসবারও সময় আর নেই। তাই আল্লাহু আকবর বলে আমর তার সামনের আর্মেনিয়ান ফ্ল্যাঙ্কের দিকেই তার সব মনোযোগ নিবদ্ধ করে আক্রমন করে বসলেন।

হঠাত সব ক্যভুলরি রিজার্ভকে একত্রিত করে খালিদ এক শক্তিশালী মোবাইল রিজার্ভ তৈরি করে যেভাবে বাইজান্টাইন লেফট উইং ক্যভুলারিকে ইয়ারমুখ ছাড়া করেছেন, তা দেখে ভাহানের বোধোদয় হল। তিনি বুঝলেন যে খালিদ তার একক মোবাইল রিজার্ভ দিয়ে চার ভাগে বিভক্ত বাইজান্টাইন মোবাইল রিজার্ভের একটার পর একটাকে মাঠছাড়া করবার পায়তারা কষছে। ইতোমধ্যে তার লেফট উইং ক্যভুলরি দামেস্কের পথে পালিয়েছে। অতএব তিনি তার সকল কভ্যুলরি রিজার্ভকে একত্রিত করার নির্দেশ দিলেন যেন তার একত্রিত মোবাইল রিজার্ভ দিয়ে তিনি খালিদের মোবাইল রিজার্ভকে হঠিয়ে দিতে পারেন।

ভাহানের নির্দেশ আমরের জন্য আশীর্বাদ বলে প্রমানিত হল। সবিষ্ময়ে আমর দেখলেন তার বাহিনীর ডান ফ্ল্যাঙ্কে জড়ো হতে থাকা বাইজান্টাইন সেন্টারের কভ্যুলরি রিজার্ভ হঠাত আক্রমন না করে বরং দিক পাল্টে দ্রুত পেছনের দিকে চলে গেল। ওদিকে বাইজান্টাইন লেফট উইং ক্যভুলরি দামেস্কের পথে পালাতেই খালিদ এবার কানাতিরের আর্মেনিয়ানদের দিকে মনোযোগ দিলেন। তিনি তার মোবাইল গার্ড নিয়ে আর্মেনিয়ানদের পেছনে পৌছাতেই বাইজান্টাইন সেন্টারের কভ্যুলরি রিজার্ভকে পিছিয়ে যেতে দেখলেন।

মুহুর্তের জন্য খালিদ আর্মেনিয়ানদের পেছন থেকে আক্রমনের কথা একবার ভাবলেন। কিন্তু পরমুহুর্তে ভাহানের পরিকল্পনার কথা ভেবে আর্মেনিয়ানদের সুরাবিল আর আমরের হাতে ছেড়ে দিয়ে তিনি বাইজান্টাইন সেন্টারের কভ্যুলরি রিজার্ভের পিছু নিলেন। খালিদ ভাল করেই জানতেন ভাহান যদি একবার তার ক্যভুলরি রিজার্ভ একত্রিত করে নিতে পারেন তাহলে সেই বিশাল ক্যভুলরি রিজার্ভকে হারানোর সাধ্য খালিদের ক্যভুলরি রিজার্ভের নেই। কিন্তু ভাহানের ক্যভুলরি স্কোয়াড্রন গুলো এখনো একক ক্যভুলরি রিজার্ভ হিসেবে ফর্ম আপ করে উঠতে পারেনি। আর যেকোন বাহিনীই ফর্মিং আপের সময়ই কিছু সময়ের জন্য সবচে অপ্রস্তুত আর দূর্বল অবস্থায় থাকে। তাই খালিদ এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না।

খালিদ চলার পথেই আরো একবার তার মোবাইল রিজার্ভকে দুই ভাগ করে নিয়ে একযোগে ভাহানের ক্যভুলরি রিজার্ভের উপর হামলে পরলেন। ব্যাটেল ফর্মেশনে আসতে পারার আগেই এমন স্পয়েলিং এটাকের মুখে পরে বাইজান্টাইন স্কোয়াড্রন গুলো বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবার চেস্টা করল। কিন্তু বাইজান্টাইন ক্যভুলরি স্কোয়াড্রন গুলোর চাইতে খালিদের স্কোয়াড্রনগুলো অপেক্ষাকৃত হালকা হওয়ায় খালিদের স্কোয়াড্রন গুলো ছোট ছোট ঢেউয়ের মত বারবার এসে ভারী বাইজান্টাইন ক্যভুলরিকে বিপর্যস্ত করে তুলল।
অবস্থার বেগতিক দেখে বাইজান্টাইন কভ্যুলরি কমান্ডাররা হঠাত হাল ছেড়ে দিল। আর্মেনিয়ান ক্যভুলরি তাদের সেনা প্রধান ভাহানকে ঘিরে ফেলে গার্ড করে উত্তরে দামেস্কের দিকে ছুটে চলল। বাকি বাইজান্টাইন ক্যভুলরি অর্গানাইজড রিয়ারগার্ড একশনের মাধ্যমে পিছু নেয়া মুসলিম ক্যভুলরির হাত থেকে নিজেদের ছাড়িয়ে নিতে চেস্টা করে গেল।

এবার খালিদ পলায়নরত বাইজান্টাইন ক্যভুলরিকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য তার মোবাইল গার্ডের আরেক অংশকে দায়িত্ব দিয়ে নিজের অংশ নিয়ে আর্মেনিয়ানদের ফ্রন্টে ছুটে চললেন। ইতোমধ্যে সামনে আর বাম থেকে আক্রান্ত আর্মেনিয়ান বাহিনী তুমুল লড়ছিল। কিন্তু খালিদ যখন পেছন থেকেও তাদের আক্রমন করে বসল তখন তাদের সব প্রতিরোধ দুমড়ে গেল। আর্মেনিয়ানদের হাল ছেড়ে দিতে দেখে এবার আবু উবায়দা আর ইয়াজিদও তাদের দক্ষিন ফ্রন্টে আক্রমনের ধার বাড়িয়ে দিল।
মুহুর্তে অবশিষ্ট বাইজান্টাইন ফ্রন্টজুড়ে পিছু হটার হিরিক পড়ে গেল। সবাই তখন ওয়াদি উর রাকাদের ব্রিজ আইনাল দাকারের দিকে ছুটল। ধুর্ত খালিদ তাদের পিছু হটার সুযোগ করে দিলেন। আমর, সুরাবিল, আবু উবায়দা আর ইয়াজিদের বাহিনী তখন মালার মত বাইজান্টাইনদের পিছু পিছু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অনুসরন করল। খালিদ তার মোবাইল রিজার্ভ নিয়ে পিছু হটতে থাকা বাইজান্টাইনদের উত্তরদিকটা বিশাল এক কাট অফ পার্টির মত করে গার্ড করে রাখলেন যেন কেউ দামেস্কের দিকে পালাতে না পারে, এবং ভাহানের মোবাইল রিজার্ভ হঠাত ফিরে এলেও যেন কোনভাবেই মূল বাইজান্টাইন আর্মির সাথে মিলিত হতে না পারে।

খালিদের কারনে উত্তরে পালাবার পথ বন্ধ জেনে বাইজান্টাইনরা অগত্যা আইনাল দাকারের পথই ধরল। ওয়াদি উর রাকাদ গিরিখাতের হোম ব্যাঙ্কটা সমতল হলেও আইনাল দাকার ব্রিজের ওপারে ফার ব্যাঙ্কে শুরু থেকেই পাহাড়ের সারি। ব্রিজ পেরিয়ে ওপারে পৌছাতেই প্রবেশমুখটা সংকীর্ন হয়ে এসেছে। বাইজান্টাইনরা ব্রিজের উপর উঠতেই ওপারের পাহাড়ের আড়াল থেকে এতক্ষন ধরে লুকিয়ে থাকা জাররারের সৈন্যরা তীর-ধনুক, পাথর আর তরবারি হাতে বেরিয়ে এল।

ব্রিজের ওপারের ভূমির গঠনই এমন সংকীর্ন যে ব্রিজ পেরিয়ে খুব বেশি লোক একসাথে জমায়েত হবার সুযোগই নেই। তারপরও কিছু সাহসী বাইজান্টাইন জাররারদের হঠিয়ে দিতে প্রানের মায়া ত্যাগ করেই এগিয়ে গেল এবং জাররারের বাহিনী হাতে প্রান হারাল। ওদিকে পেছনের বাইজান্টাইন সৈন্যরা কিছু না বুঝেই সামনে ঠেলতে লাগল। ফলে ওয়াদি উর রাকাদের কিনারা থেকে অনেকেই গড়িয়ে পড়তে লাগল আর গভীর খাদের তলায় আছড়ে পরতে লাগল।

এপথে কোন সুবিধা হবে না বুঝে বাইজান্টাইনরা এবার ওয়াদিউর রাকাদ ধরে আরো দক্ষিনে এগিয়ে যেতে লাগল। এগিয়ে যেতে যেতে একসময় তারা ইয়ারমুখ নদীর সামনে এসে আটকে গেল। অবশেষে খালিদ তার প্রতিপক্ষকে পছন্দের কিলিং গ্রাউন্ডে পেয়ে গেল।
মুসলিম ইনফেন্ট্রি আর ক্যভুলরি এবার ইয়ারমুখ নদী আর ওয়াদিউর রাকাদ রাভিনের সংযোগস্থলের ত্রিভুজে বাইজান্টাইনদের ঘিরে ধরে বৃত্তটা ক্রমশ ছোট করে আনছিল। সামনে মুসলিম বাহিনী আর পেছনে ভয়ঙ্কর খাড়া ঢাল, উভয় সংকটে পরে বাইজান্টাইনরা শেষ বারের মত মুসলিম বাহিনীকে আক্রমন করার চেস্টা করল। উদ্দেশ্য ছিল একসাথে সবাই এগিয়ে এসে যে যেখান দিয়ে পারে মুসলিম বাহিনীর বৃত্ত ভেঙ্গে দামেস্কের দিকে পালিয়ে যাওয়ার।

কিন্তু তারা আক্রমন শুরু করতে পারার আগেই খালিদ তাদের সাড়সির মত চেপে ধরলেন। বাইজান্টাইন প্রথম লাইনের পেছনের সৈন্যরা কুনুই নড়াবার জায়গাটাও পাচ্ছিল না। খালিদ বুঝলেন জেনারেলশিপ দেখানোর সময় এবার শেষ। রোমান বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘন্টা বেজে গেছে। এবার সেই পতন নিশ্চিত করতে তিনি নিজে খোলা তরবারি হাতে সাধারন সৈনিকের মতই হাতাহাতি যুদ্ধে নেমে পড়লেন।

গত পাঁচদিনের যুদ্ধের ক্ষোভ, ভাই-বন্ধু আর সাথী হারানোর তীব্র আক্রোশ নিয়ে মুসলিম সৈন্যরা কচুকাটা করতে লাগল বাইজান্টাইনদের। কিছু বাইজান্টাইন স্বেচ্ছায় যুদ্ধবন্দী হতে চাইল। কিন্তু নিজ সৈন্যদের আবেগকে উপেক্ষা করবার শক্তি খালিদের ছিলনা। তাছাড়া এতোবড় বাহিনীকে যুদ্ধবন্দী করার ঝুকি তিনি নিতে চাননি। কারন যুদ্ধ শেষে এসব যুদ্ধ বন্দীরা মিলে বিদ্রোহ করে মুসলিমদের আরো ক্ষতির কারন হতে পারে। সর্বোপরি একটা পরিস্কার বার্তা ইসলামে ভবিষ্যত শত্রুদের কাছে পৌছানোও হয়ত জরুরীই ছিল যা আফ্রিকা আর ইউরোপে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছিল। সম্ভবত এই বার্তার কারনেই বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতনের পরপরই চতুর্দিকে বিদ্যুতগতিতে ইসলামের সম্প্রসারন শুরু হয়ে গেল, আর আমর বিন আল আস, তারিক বিন যিয়াদ, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আর সালাউদ্দিন আইয়ুবির মত গ্রেট মুসলিম জেনারেলরা যুগের পর যুগ ইসলামের ঝান্ডা সমুন্নত রাখতে পেরেছিলেন। যাহোক, সেসব ভিন্ন গল্প, পরে কখনো হবে খন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×