পুরানা আমলে আম্রিকার নিউঅর্ক এ গেলেই আড্ডাবাজ লুকজন দুইটা কথা জিগাইতো, কই দিয়া আইছেন আর সবুজ পাত্তি কেমনে পাইছেন। এইসব প্রশ্ন যারা করে, বেশীর ভাগই খাইটা খাওয়া মানুষ, নানা রকম ইতং বিতং কইরা বাংলাদেশ দিয়া আম্রিকা আইছে। তাগো কাছে আম্রিকা আর তার সবুজ পাত্তিই ধ্যানজ্ঞ্যান, এইটা পাওয়ার জন্য আপন বোনরে বউ সাজাইয়া আনছে কেউ কেউ, কেউ কেউ থানা পুলিশে পয়সা দিয়া পলিটিক্যাল এসাইলাম এর কেস বানাইছে, কেউ কেউ কোন পাত্তি ছাড়াই বর্ডার ক্রস করছে।
ইদানীংকার অবস্থা একটু কড়াকড়ির মধ্যে দিয়ে যাইতাছে। আপনার সিম্পল পলিটিক্যাল এসাইলাম কেস, যেগুলা জিয়া বা এরশাদের আমলে হরেদরে হইত, সেগুলা আর এখন বেইল পায় না। এক বিএনপির নেতারে এরশাদের পতনের পরপর প্লেনে কইরা দেশে ডিপোর্ট করারও উদাহরন আছে।
সো, ঘুইট্যাচাইল্লা বাঙু বুদ্ধি নয়া নয়া আবিষ্কার করলো, অস্ট্রেলিয়াতে না কি সমকামীদের এসাইলাম দেয়, বাঙালী ঘেটুপোলা হইয়া সেইখানে এপ্লাই করিল, সুইডেনে নাকি নাস্তিকদের এসাইলাম দেয়, এখন বাঙালী নাস্তিক সাজিয়া সুইডেনে এপ্লাই করিল।
তয় তসলিমা আফা বাঙালী নাস্তিকদের বাজার খারাপ করিয়া দিয়াছে, উনার পরে আর কোন নাস্তিকরে এসাইলাম দিতে চায় না কেউ। তাই এখন র্যাব বা ডিবির মাইর খাইয়া পেপারে ফটো উঠাইয়া এসাইলাম নেয়ার প্ল্যান আছে কারো কারো। আর কিছু না পারলে সামু ব্লগে রিভার্স নিক নিয়া নিজেই নিজের কল্লা চাই, ফাসি চাই টাইপের পোস্টও দেয়া হইছে।
এখন এইসবের প্রিন্ট আউট নিয়া এম্বেসীতে দৌড়াদৌড়ি কর। যে দেশের ৭০% লোক নামেই ধার্মিক, সেই দেশে নিজেরে নাস্তিক প্রচার কইরা ভাত খাওয়ার চান্স কম। তবুও মেধাহীন পোলাগুলার তো কিছু কইরা খাইতে হবে, আগের যুগে নাস্তিক পোলাগুলারে আর কোথাও না যাইতে পারলে সোভিয়েত ইউনিয়নে পাঠানো যাইত। এখন এক নাম্বার যায়গা আম্রিকা যাইতে না পারলে দেশ ছাড়ার কোনই দরকার নাই। তাই যত পারা যায় কেস মজবুত করি, পারলে ডিবি অফিসে চা নাস্তা খাইয়া মুচলেকা দিয়া পেপারের অফিসে যাইয়া গপ্প মারি, আমারে মানসিক টর্চার করসে।
পলিটিক্যাল এসাইলাম পাওয়া সব ভ্রাতা ও ভগ্নীদের কাছে আবেদন, এইসব নাদানদের পথ দেখান। কেস মজবুত করার আরও কিছু সহী উপায় বাতলায় দেন
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




