আমার মাঝে এক আরেক আমি থাকে, সেই আমি নিজে নিজে কথা বলে গান গায় স্বপ্ন দেখে, মাঝে মাঝে আকাশে উড়ে বেড়ায়।
এই অনু পরমানুর দেহে এই আমিটা কি ভাবে তৈরি হলো? সে কি মাথায় থাকে? না হৃদয়ে থাকে? না কি নাভির মাঝে তুলার মধ্যে তার বসবাস?
অনেকের দেহ থেকে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতে হয়, কারো কারো শরীর কেটে হৃদপিন্ড বন্ধ করে অস্ত্রপোচার করা লাগে, তখন সেই আমিত্ব সেই চেতনাটার কি হয়? যারা পংঙু অথর্ব কিংবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি তাদের চেতনার মাত্রা কি আমার চাইতে বেশী না কম?
আমরা যখন রাতে স্বপ্ন দেখি, তখন কিছু কিছু স্বপ্নকে বাস্তবের চাইতেও সত্য মনে হয়, তাহলে কি আমাদের চেতনা অবচেতন অবস্থাতেও কাজ করে? তা না হলে স্বপ্নে দেখা দৃশ্যগুলোকে এতটা বাস্তব কেন মনে হয়? ফ্রয়েড মানুষের মনোজগতকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছিলেন[
চেতন(Conscious) এবং এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ইগোকে (Ego)
অবচেতন(Subconscious) বা প্রাক-চেতন (Preconscious)
অচেতন(Unconscious) এবং এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ইড (Id)ও সুপার ইগোকে (Super Ego)
চেতন মনে জাগ্রত অবস্থায় মানুষ পারিপার্শ্বিক জগতের সাথে সংযোগ রাখে। অবচেতন মনে সংযোগ রাখে অন্তরজগতের সাথে অর্থাৎ অতীত স্মৃতি ও জৈবিক প্রয়োজনসমূহের সাথে।ফ্রয়েডের মতে, মানব মনের প্রায় ৯০ শতাংশই অবচেতন বাকী কেবল ১০ শতাংশ চেতন অবস্থায় থাকে
আমাদের শরীরে এটমিক লেভেলের দিক দিয়া তো আমার আর একটা কাঠের চেয়ারের কোন পার্থক্য নাই, যত অনু পরমানু আছে, সবই কার্বন এর অনুঠাসা এক একটা জৈবিক পদার্থ। আমার মন আছে চেতনা আছে, কাঠের চেয়ারের সেইটা নাই কেন?
১১৮ টা মৌল অনুর মধ্যে কোনটা কম বেশী দিলে অচেতন বস্তুতে চেতন আসিবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১৪