কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলন। এ আন্দোলনের শুরুতে দল, মত নির্বিশেষে দেশের সকল ছাত্রসমাজ, ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল প্রকাশ্য কিংবা মৌন সমর্থন দিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও দাবী মানতে বাধ্য হয়েছিলেন।
কিন্ত প্রজ্ঞাপন জারী না করে টালবাহানা ও সময়ক্ষেপনের নীতি গ্রহণ করে সরকার। একের পর চাকুরীর সার্কুলার হচ্ছে পূর্ববতী কোটা পদ্ধতিতেই। ফলশ্রুতিতে ছাত্রসমাজ আবার রাজপথে নেমে আসার চেষ্টা চালাতে থাকে।
ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবীটির কার্যকরণের আন্দোলন যেন আর কোন ভাবেই দানা বাঁধতে না পারে সে জন্য বাংলাদেশের সন্ত্রসীদের ভুমিকায় অবতীর্ণ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয় সরকার।
একের পর এক ছাত্রের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ক্যাম্পাস। ছাত্র নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রতিটি সচেতন ব্যক্তির গা শিহরে উঠার কথা। সকলে প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার তথা। কিন্তু চিত্র ভিন্ন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক থেকে মানবাধিকার কর্মী; সুশিল থেকে রাজনৈতিক দল; ছাত্র অধিকারের কথা বলেন এমন সব ছাত্র সংগঠন সকলেই আজ নিরব। কেউ কেউ শুধু বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
ঘটনা বিশ্লেষণ করে আর কিছু করার ছিল কী রাজনৈতিক দলগুলোর ??
মানবাধিকার কর্মী , সুশীল, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, অভিভাবক তাদের কী কিছুই করার নেই??
তাহলে কী দেশে সরকার যা করবে সেটিই সকলে মুখ বুজে সহ্য করবে ????
ছেলেগুলো রক্তাক্ত হবে, সুচিকিৎসা পাবে না, জীবনের নিরাপত্তা পাবে না, ভয় আতংকে দিন কাটাবে আর জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম রত (!?) রাজনৈতিক দলগুলো নিজের অসাহয়ত্ব বোধ করে বসে থাকবে ???
এমন রাজনৈতিক দলের কী কোন প্রয়োজন আছে বাংলাদেশে ???
এমন নেতাদের কী প্রয়োজন যারা শুধু সুসময়ে মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলবে ???
আর সময় ক্ষেপণ নয় বাংলাদেশের চার কোটি ছাত্রের প্রাণের দাবী কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে গর্জে উঠার সময় এখনই।
দেশের প্রতিটি সংগঠন, দল, ক্লাব, মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে।
কন্ঠস্বর উচুঁ করতে হবে গ্রেফতারকৃত সকল ছাত্রের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহাররের।
সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে আহতদের।
জয় হোক নায্যতার।
জয় হোক মানবতার।
দূর হোক বৈষম্য।
সুযোগ পাক মেধা মূল্যায়ণের।।।।।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫