হিসাব নিকাশ করার সনাতন পদ্ধতি বাতিল হয়ে যাচ্ছে, কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে। কম-বেশি সবারই দৈনিক হিসাব নিকাশের প্রয়োজন হয়। তো আজ দেখবো কিছু সফটওয়্যার রি-ভিউ, যা দিয়ে আপনি আপনার হিসাব নিকাশগুলো সহজেই কম্পিটারাইজ করে নিতে পারেন।
নেটে সার্চ দিলে আপনি বেশ কিছু সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। কিন্তু তা থেকে সত্যিকার কাজের কোনগুলো তা নির্ধারণ করা কঠিন। একাউন্টিং সফটওয়্যার নিবার্চনের সময় ফ্রিগুলো পরিহার করুন, কারণ এতে প্রফেশনাল কোনো সলিউশন পাবেন না।
১। পিচট্রি
প্রফেশনাল কাজের জন্য বেশ কার্যকর একটা একাউন্টিং সফটওয়্যার। একাউন্টিং, স্টক, কাস্টমাইজ রিপোর্ট, পেরোল এবং এইচআরসহ বেশ কিছু ফিচার রয়েছে, যা আপনার বা আপনার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোতে গতি আনতে পারবে। তবে এর ব্যবহার পদ্ধতি কিছুটা জটিল মনে হতে পারে।
২। কুইক বুক প্রো
আমার দেখা সবচেয়ে বেস্ট একটা একাউন্টিং সফটওয়্যার। পিচট্রির মতো সব বৈশিষ্ট্য এতে রয়েছে, তবে এর ব্যবহার পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। সহজ চেক প্রিন্টিং, এসেম্বলিং প্রোডাক্টসহ বেশ কিছু ফিচার রয়েছে, যা দিয়ে সাধারণ ট্রেডিং থেকে ম্যানুফেকচার কোম্পানিরও কাজে আসবে।
৩। ট্যালি
সবচেয়ে লাইট একটা একাউন্টিং সফটওয়্যার। স্টক, একাউন্টিং, পে-রোল, পয়েন্ট অফ সেলস, মাল্টিইউজার ফিচারসহ বেশ জনপ্রিয় একটা একাউন্টিং প্যাকেজ। এর সঙ্গে পয়েন্ট অফ সেলস সপার ৯ ও কাজ করে। মাল্টি ল্যাঙ্গুয়েজ, মাল্টি কারেন্সির সাপোর্ট এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এটিতে বাংলাও রয়েছে।
৪। মাইক্রোসফট অফিস একাউন্টিং
সব কিছুতেই মাইক্রোসফটের উপস্থিতি যেন একটা কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লাইনে তাদেরও একটা প্রোডাক্ট যেন থাকতেই হবে। তা না হলে মানসম্মান-ইজ্জত বুঝি আর থাকে না। ইন্সটল করতে গিয়ে টের পাওয়া যায় কতো ধানে কতো চাল। যা হোক, এর ইন্টারফেইচ বেশ ইউজার ফেন্ড্রলি, নতুন যে কেউ সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবে। তবে এটি এখনো নির্দিষ্ট কিছু রিজনের জন্য প্রযোজ্য। তবে আপনি চাইলে তো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ওপরের এই সকল একাউন্টিং প্যাকেজগুলো (ট্যালি ছাড়া) স্ট্যান্ডএলোন। মানে হলো এর কোনো নেটওয়ার্ক সাপোর্ট নেই। তাই এগুলো দিয়ে রিয়েল টাইম মাল্টি ইউজার কাজ করা সম্ভব নয়।