কথা হচ্ছে বাংলার সূর্য সন্তানদের সম্মান এবং প্রায় ৩০ বছর মুক্তিযুদ্ধের সরকার না থাকার কারণে,সরকারি প্রায় সকল স্থানে পাকি প্রেতাত্মা স্বাধীনতার বিরোধীরা ঢুকে ছিলো, মুক্তিযোদ্ধা ৩০% কোটা,যা ৭২ সালে চালু হলেও,৩০ বছর তা মুলত কোনোই কার্যকর ছিলো না! শুধুমাত্র শেখ হাসিনা সরকার এই কোটা কার্যক্রম সচল রাখেন। যেহেতু মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন কারি বীর সন্তানেরা অধিকাংশ শিক্ষিত ছিলেন না এবং তাদের সন্তানদেরও প্রায় একই অবস্থা,ঠিক সে কারণেই নাতি নাতনীদের এই কোটা অর্ন্তভূক্ত করা হয়।
বর্তমান সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনী প্রজন্ম অধিকাংশ শিক্ষিত,এবং এই সরকার গত ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে, প্রায় সকল সরকারি নিয়োগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ জায়গা করে নিচ্ছে, বিপক্ষের মানুষ সে সুযোগ পাচ্ছে না। মজার বিষয়টি হলো, বাংলাদেশে একমাত্র জামাতশিবির বাদে সকল রাজনৈতিক দলে মুক্তিযোদ্ধা আছে,আর তাই এ ৩০% কোটা সুবিধা যে কোন দলেই থেকে ভোগ করা যাচ্ছে।
তবে মূল সমস্যাটা কি? হ্যাঁ মূল সমস্যা হলো,মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলা নিয়ে পাকিস্থানি চক্রান্ত থেমে নেই,ওরা ওদের প্রেতাত্মাদের মাধ্যমে সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুরোপুরিভাবে সফল হয়েছিলো ৭৫ এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ে সরকারি সকল গুরুত্ববহ স্থানে পাকি প্রেতাত্মাদের বসিয়ে, যা প্রকাশ্যে প্রেস ব্রিফিং করে তৎকালিন পাকিস্থানি সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা গর্বিত সফলতার উচ্ছ্বাস জানান দিয়েছেন। এখন যখন শেখ হাসিনা সরকার তার সকল সরকারি নিয়োগে ৭২এর মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপক্ষের নাগরিকদের অগ্রাধিকারে নিয়োগদান করে আসছেন, যার সুফল সকল রাজনৈতিক দলে থাকা মানুষ পাচ্ছেন। শুধুমাত্র জামাতশিবির নামক রাজনৈতিকদল বঞ্চিত! যার কারণে এরা আস্তে আস্তে সরকারের সকল স্থান হতে নিয়োগ বঞ্চিত হয়ে সংখ্যালঘু পর্যায়ে চলে আসছে! আর এমনি করে যদি কোটা আরো ৩/৪ বছর চলতে থাকে,তবে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারি মেরুদণ্ড কোনো ভাবেই বাঁকা করা সম্ভব হবে না! যদি সরকারের সকল স্থানে পাকি প্রেতাত্মারা ঢুকতে না পারে,স্বাভাবিক ভাবে পাকি সেই পুরানো চক্রান্ত আর কোনো ভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
বাংলার মহান স্বাধীনতা অর্জনকে ভুল প্রমান করতে,বীর বাঙালী খেতাব ম্লান করতে,পৃথিবীরবুকে বাংলাকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে রুপদানে এবং শক্তিধর দেশে রুপান্তরিত হতে বাঁধা সৃষ্টি করতে!! দৃশ্যমান যথাযথ এই সকল কারণেই, অনেকদিনের পুরানো কুকৌশল ব্যবহার করে,রাষ্ট্রের গুরুত্ববহ জায়গাগুলি পুনরায় দখল করতে, সরকারের নামে,মুক্তিযোদ্ধার নামে দেশের মানুষের মনে ধর্মের অপব্যাখ্যা, গুজব,বিকৃত তথ্য,মিথ্যাচার ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে,ঘৃণ্য উদ্দেশ্য পূরণে ওরা উঠেপড়ে লেগেছে।
অতএব মনে রাখতে হবে "শত্রুরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেছে,ওরা আত্ম কলহ সৃষ্টি করবে অতি সাবধানে " আমাদের দেশপ্রেম,শক্ত মনোবল, দৃঢ়তম সাহসশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে, সে সকল মুখোসধারী প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করতে হবে। নিরীহ ধর্মভীরু দেশপ্রেমিক জনতাকে, যার যার অবস্থান হতে সত্যিকার বিষয় সূমহের মূল কারণ ব্যাখ্যা করে, সর্বদা সঠিক ধারণা মগজে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, ঐ সেই সে সঙ্গবদ্ধ শকুনের পাল তাদের তীক্ষ্ণ ঠোঁটে বারবার লাল সবুজের পতাকার বুক ক্ষতবিক্ষত করেছে এবং করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র আমাদের একতাবদ্ধ না থাকার সুযোগে।
আজ পর্যন্ত ৭১'র আত্মস্বীকৃত ও প্রমানীত রাজাকার এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নামের পাশে,ভুলেও "রাজাকার" শব্দ যোগ করতেন না! সামনাসামনি প্রশ্নের মুখে তারা, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করাকে ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়ীত করেছেন। তবুও তারা রাজাকার,আলবদর নামক কালিমা দুরে রেখেছেন!! কিন্তু এই লজ্জা আর ঘৃণ্যজনক শব্দ "রাজাকার" কে কতটা কৌসলে বর্তমান প্রজন্মের শরীরে লেপন করার চেষ্টাকরণ..... তা সহজেই অনুমেয়।
সতুরাং বীর জনতা সাবধা!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৮