somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন রাজনৈতিক দলে দ্বীতীয় শীর্ষস্থানে আপনি কাকে দেখতে চান ?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ মাসের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বহুল আকাংখিত নতুন একটা রাজনৈতিক দল। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মো. নাহিদ ইসলাম । তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে থাকছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁরা এখনই নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন না। পর্যায়ক্রমে তারা উপদেষ্টা থেকে পদত্যাগ করে দলে যোগ দেবেন। নাহিদের দলের শীর্ষ পদ নেয়া নিয়ে কারো মাঝেই কোন সংশয় নেই। তবে দ্বিতীয় শীর্ষ পদ (সদস্যসচিব) নিয়ে ্সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমহাসনাত আব্দুল্লাহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক একটা ফেসবুক গ্রুপ ( ডিইউ নিউজ) দ্বীতিয় প্রধান পদ অর্থাৎ সদস্য সচিব পদে আপনারা কাকে দেখতে চান বলে একটা পোলিং ভোটের আয়োজন করে। প্রার্থী ছিল হাসনাত আব্দুল্লাহ , আখতার হোসেন এবং আলী হাসান জুনায়েদ। সেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহ সর্বাধিক ভোট পেয়েছে এবং তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা আখতার হোসেন এর দ্বিগুন। অনেকেই বলছে যে , আখতার হোসেন এর নাকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অবদান অনেক। আখতার হোসেন ও মাহফুজ আলমকে নেপথ্যের কান্ডারি বলা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোন একক নেতৃত্ব নির্ভর আন্দোলন ছিল না। তারপরেও সেই ভয়ানক পরিস্থিতিতে আমরা স্বল্প কয়েকজন সমন্বয়ককে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখেছি। এ কথা বলতে কোণ দ্বিধা নাই যে, সেই সময়ে নাহিদ, আসিফ, সারজিসদের বক্তব্য সোনার জন্য চাতক পাখির মত অপেক্ষায় বসে থাকতাম সবাই। তারা যেভাবে ফেসবুকে, ঢাবি ক্যম্পাসে আগুন ঝড়া বক্তব্য দিয়ে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং পুলিশের গুমের স্বীকার হয়েও হার না মেনে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন চালিয়ে গেছে তা এই দেশের ইতিহাসে একটা নজির সৃষ্টি করেছে। ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের অসমসাহসিকতার মুখে শেষ পর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হয়েছে ভয়াবহ এক মাফিয়া রেজিম। নতুন রাজনৈ্তিক দলের নেতৃত্বে তাই ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককেই আমি দেখতে চাই।

রাজনীতি করতে গেলে কিছু কোয়ালিটি থাকতে হয় যার মাঝে অন্যতম হচ্ছে বক্তৃতা দিতে পারার ক্ষমতা ।তিন ছাত্র উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে তাদের সে দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। উপদেষ্টাদের বাইরে বিভিন্ন ইস্যূ্তে যারা বক্তব্য রাখছে তাদের মাঝে হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম অন্যতম। সারজিস, হাসনাত বিভিন্ন টকশো ও সেমিনারে নির্ভুল ,স্বচ্ছ ও সাহসি বক্তব্য রেখে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কেন্দ্রীয় এই সমন্বয়কদের সাথে যদি আখতার বা নাসির উদ্দিন পাটয়ারীর তুলনা করি , তবে একথা মানতেই হবে যে, বক্তৃতা দেবার গুনাবলী এদের একেবারেই নাই। এদের সাদামাটা বক্তব্য মানুষের মাঝে প্রভাব ফেলতে সক্ষম নয়।

এছাড়াও নতুন দলে মহিলাদের উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী আন্দলোনের সময় নজর কেড়েছিল নুসরাত তাবাসসুম এবং উমামা ফাতেমা। তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করাও অত্যন্ত জরুরী। এবার আসুন ব্লগেও আমরা একটা ভোটাভূটি করি। নাহিদের পর দ্বীতীয় শীর্ষস্থানে আপনি কাকে দেখতে চান ?

১। সারজিস আলম
২। আখতার হোসেন
৩। হাসনাত আব্দুল্লাহ
৪। নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী

আমার ভোট সারজিস আলমের প্রতি। কারন উপড়েই ব্যখ্যা করেছি। তবে হাসনাতের চাইতে সারজিসের প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারন হচ্ছে তার চৌকস ও কৌশলী বক্তৃতা দিতে পারার ক্ষমতা। এক্স বিতার্কিক সারজিসকে তর্কে হারানো খুবই কঠিন। রাজনীতিবিদ হিসাবে এই গুনাবলীর প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি। আশা করব ব্লগাররা তাদের পছন্দ জানাবেন।




সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০১
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রবাসীর মৃত্যু ও গ্রাম্য মানুষের বুদ্ধি!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০



একজন গ্রামের মানুষের মাথায় ১০০ জন সায়েন্টিস্ট, ৫০ জন ফিলোসফার, ১০ জন রাজনীতিবিদ এবং ৫ জন ব্লগারের সমপরিমাণ জ্ঞানবুদ্ধি থাকে, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এসব লোকজন বাংলাদেশের এক একটি সম্পদ।

বিস্তারিত:... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন নারী শিক্ষিকা কীভাবে কন্যা শিশুর সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করতে পারেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩


বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এমন সব মানুষ রূপী শয়তানের সন্ধান মেলে যাদের দেখে আসল শয়তানেরও নিজের উপর হতাশ হওয়ার কথা। এমন সব প্রজাতির মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করেন যাদের মস্তিষ্ক খুলে দেখার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×