দেশে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা এক কোটি ২৪ লাখ ৩৭ হাজার পশুর মধ্যে ৭০ শতাংশ সরবরাহ করা হয় দেশের তিনটি বিভাগ থেকে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার কালের কণ্ঠকে বলেন, ''‘দেশীয় পশুতেই এবারের কোরবানি করা সম্ভব হবে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় খামারিরা। স্থানীয় পর্যায়ে পশু উৎপাদন বেড়েছে। যার কারণে পশু আমদানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। অবৈধভাবে পশু অনুপ্রবেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে''। সব মিলিয়ে এবার গরু , খাসির দাম ছিল সহনীয় পর্যায়ে। তবে খুব বেশি দামী গরুগুলো বিক্রি হয়নি ক্রেতার অভাবে। আল্ট্রা ধনীরা এইবার আর কুরবানির হাটকে নিলামের হাট বানানোর সুযোগ পায়নি।

১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৮৭টি ওয়ার্ড—১০০% বর্জ্য অপসারণ রাত ১০টার মধ্যেই। আমার জীবনে সিটি কর্পোরেশনকে এরকম করিৎকর্মা ভুমিকায় কখনই দেখি নাই। দেশের কুরবানির ঈদ আমার বিভীষিকাময় মনে হত বরাবরই। রক্তাক্ত রাস্তাঘাট ও গন্ধের কারনে রাস্তায় বের হবার কথা মনে হলেই গায়ে জ্বর আসতো। তবে এবার বিদেশে যেভাবে সিস্টেমেটিকভাবে কুরাবনির আয়োজন করা হয়, আমাদের দেশেও অনেকাংশেই তা সম্ভবপর হয়েছে।

২০২৪ এর জুলাই মাসে যাদের রক্ত ও অঙ্গহানির বিনিময়ে আজ দেশে এত ইতিবাচক পরিবর্তনসমুহ দেখতে পাচ্ছি , তাদের কথা আমরা কয়জন মনে রেখেছি? দেশের প্রচলিত রাজনৈ্তিক দলগুলোকেতো দেখি না তাদের পাশে। শহীদ ও আহতদের পাশেতো কেবল দেখি জুলাই বিপ্লবের কান্ডারি এনসিপি নেতাদের। ফেসবুকে দেখলাম জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এই পবিত্র ঈদুল আযহাকে উদযাপন করছে ২৪ এর গনঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারদের সাথে - আহতযোদ্ধাদের সাথে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দু:স্থ ও অসহায় মানুষকে সাথে নিয়ে।ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরেও প্রায় সকল জেলাতেই এনসিপির সংগঠকরা তাদের সাধ্যমত শহীদ ও আহত পরিবারগুলোতে কুরবানির মাংশ বিতরন করেছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ যেভাবে বৃষ্টির মাঝে ছুটে ছুটে মাংশ বিলি করেছে ,সেসব ছবি দেখলেতো অজান্তেই চোখে জল এসে পড়ে । খুব খুশী হতাম দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দলের নেতাদের এভাবে ছুটে বেড়াতে দেখলে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমাদের দেখতে হয় যে, এত রক্তপাতের বিনিময়ে পুনরায় রাজনীতিতে ফিরতে সক্ষম হওয়া বিএনপি নেতারা চরম অকৃতজ্ঞ ও নিল্লজ্জের মত কেবলই ক্ষমতায় যেতে চাইছে। তাদের কথাবার্তায় না আছে দেশ , না আছে জনগন , না আছে জুলাই গনঅভ্যূ্থানের শহীদ ও আহতদের স্মরন। তাইতো ঈদের সকালে নামাজ পড়তে যাওয়া ডক্টর ইউনুস ক্ষনিকের জন্য জনগনের কাছাকাছি হওয়া মাত্র শোনা যায় জনগনের সম্মিলিতভাবে চিৎকার '' স্যার পাঁচ বছর , স্যার দালালদের কথা শুনবেন না , স্যার এভাবে আমাদের ফেলে যাবেন না ''।
তথ্যসুত্র ঃ কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




