প্রয়োজনে ঋণ করা ইসলামে জায়েজ। তবে ইসলাম ঋণ থেকে বেঁচে থাকতে উৎসাহিত করেছে। রাসূলুল্লাহ (স) ঋণ করা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চেয়েছেন ও উম্মতকে দোআ করতে শিখিয়েছেন।
ঋণ করার বিষয়ে আল্লাহ পাক কোরানে ঋণের লেন দেনের চুক্তি ফেরত দেয়ার সময় নির্ধারণ সহ লিখিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা বাকারা আয়াত ২৮২)। লিখার সুযোগ না থাকলে উপযুক্ত সাক্ষী রাখতে বলেছেন যাতে পরবর্তীতে ঋণ দাতা ও গ্রহীতার মাঝে সন্দেহ বা মতানৈক্য হয়ে কোনো কলহ বিবাদ না হয়।
একই সুরায় ২৭৫-২৭৬ নম্বর আয়াতে ইসলাম সুদকে হারাম ঘোষণা করায় সুদে ঋণ দেয়া বা নেয়া উভয় হারাম করা হয়েছে।
ঋণগ্রস্থ ব্যাক্তির জন্য দান সাদাকা, হজ ইত্যাদি করার বিষয়ে আলেমগণ তাদেরকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। যাদের ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় ইতিমধ্যে হয়ে গেছে তাদের জন্য দান সাদাকা বা হজ করার আগে ঋণ পরিশোধ করা অবশ্য কর্তব্য। ঋণ পরিশোধে অবহেলা করে দান সাদাকা বা হজ করলে তা আল্লাহ কবুল করবেন না বলে মনে করেন। এমতাবস্থায় ঋণ দাতা যদি গ্রহীতাকে ফেরত দেওয়ার সময় বাড়িয়ে দেন তবে ভিন্ন কথা।
আর যাদের ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় এখনো দেরি আছে, সময় মতো পরিশোধে আন্তরিক এবং সেই সাথে সক্ষম এ বিষয়ে নিশ্চিত, তারা দান সাদাকা বা হজ করতে পারবেন। তবে তাদেরও উচিত ঋণ আগে পরিশোধ করে পরে অন্য্ সকল অর্থনৈতিক ইবাদাতে মন দেয়া।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সকল প্রকার ঋণ থেকে হেফাজত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২০