somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পর্ণবেলা :):P;) । কঠিনভাবে ১৮+ । বাচ্চারা ঘুমুবার সময় হইছে , ঘুমাতে যাও :);)

১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পোস্টের শুরুতেই কিছু কথা বলে নেয়া ভাল । অবশ্যই এটা একটা ১৮ পোস্ট । এবং এই পোস্টে যা আছে তা একটা বয়সে সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে । সো ব্যাপারটা কেউ অন্যভাবে নেবেন না B-)B-)

"
"
"
"
"

১ম অভিজ্ঞতা , ছোট পর্ণ কার্ড দেখাঃ এখনও মনে আছে । সেই ক্লাশ সেভেনের কথা । তখন বন্ধুদের কাছে ছেলে মেয়ে সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু শুনি । কিন্তু যাই শুনি কিছুই বিশ্বাস করতাম না । আমার মনে হত নাহ এটা হতেই পারে না । মানুষ এত খারাপ হতেই পারেনা । আর বন্ধুরা খেপে যেত এই কথা শুনে । ওরা আমাকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বে । যেই ভাবা সেই কাজ । পরদিন এক বন্ধু(আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে দূরন্ত ও দুষ্ট ছেলে) নিয়ে এল মোক্ষম সেই জিনিস । গুণে গুণে তিনটা কার্ড । আমরা সবাই কিছুটা উত্তেজিত । কখন দেখব কখন দেখব । আমাদের আর তর সইছে না । ৪৫মিনিটের ক্লাশ যেন আর শেষ হতেই চায় না । ক্লাশেও কারও মন বসে না । সবার তখন একটাই চিন্তা কি থাকবে ওই কার্ডে । অবশেষে এল সেই মোক্ষম সময় । ক্লাশের পেছনের বেঞ্চে গিয়ে সবাই বসলাম । এবং ভাগ্য আমাদের এতই ভাল এই ক্লাশটা অফ । স্যার আসেনি । ছাত্ররা যেন গ্যাঞ্জাম না করে এই জন্য ক্লাশ ক্যাপ্টেন সামনে দাঁড়িয়ে নাম লিখতে শুরু করল । কিন্তু কিসের কি । আমরা তখন কার্ড দেখার চিন্তায় বিভোর । এরপর তন্ময় বের করল সেই জিনিস । আরে জিনিসও একখান । আগে কখনওই দেখি নাই । বাপরে সে কি স্ট্যাইল । ৭ জন পোলাপান আমরা তিনটা কার্ড । টানাটানি হুড়োহুড়ি । তবুও দেখার স্বাদ মেটেনা । এদিকে ক্লাশে এমন গ্যাদারিং দেখে ক্লাশ ক্যাপ্টেন অনিক এগিয়ে ঘটনা কি দেখতে । অতি ভদ্র অনিক কার্ড দেখে দুই হাতে মুখে দিয়ে বলে উঠল " হায় আল্লাহ তোমরা এইসব কি দেখ " :-*:-*

ভয়াবহতম দ্বিতীয় ঘটনাঃ তখন ক্লাশ এইটে উঠছি । যাকে বলে পুরোপুরি উন্মাদ আমরা । কার্ড ছাড়া চলছেই না । কয়েকবন্ধু মিলে দরকার হলে কার্ড কিনতাম , তবুও নতুন নতুন কার্ড দেখা চাইই চাই । এভাবে ২০ টার মত কার্ড জমিয়েছিলাম । ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ দেখে বিছানার নিচে রেখে ঘুমাতাম । ভালই কাটছিল দিনগুলো । এরপর একদিন আব্বু আমাকে বলল " তোষক উঠিয়ে ছাদে যাওয়ার সময় তোমার বিছানায় কিছু কার্ড পেয়েছিলাম , আমি সেগুলো ফেলে দিয়েছি , খুজে খুজে আবার হয়রান হইয়ো না " :-*:-*

কার্ড নিয়ে বিচ্চিন্ন কয়েকটা মজার ঘটনাঃ তখনও কার্ডই আমাদের কাছে সেরা পর্ণ । যার কাছেই একটা কার্ড আছে সেই মুটামুটি সকলের কাছে কাংখিত মানুষ । কিন্তু এভাবে সকলের কাছে চেয়ে চেয়ে দেখতে আর ভাল লাগছে না । এবার আমার এক বন্ধু প্ল্যান করল ও নিজেই কয়েকটা কার্ড কিনবে । আর পুরো শহরে বুড়ো চাচার দোকান ছাড়া আর কোথাও কার্ড পাওয়া যায় কিনা কেউই জানি না । তো একদিন স্কুল ছুটির পর আমি আর আমার বন্ধু গেলাম সেই দোকানে । একটা সিনেমা হলের পাশেই ছিল দোকানটা । আর ওইসময়ের সিনেমার কথা কি বলব । এক টিকিটে দুই মুভি । তাই ওই এলাকায় গেলেই কিছুটা ভয় লাগত । কেউ যদি দেখে ফেলে । বুকটা দুরু দুরু করছে । দুরু দুরু বুক নিয়ে ঢুকলাম দোকানে । হাতে নিয়ে কার্ড পছন্দ করছি(আসলে দেখতেছি , সবগুলো তো কেনা সম্ভব না) । হঠাত স্কুল পুড়ুয়া আমাদের বয়সি দুইটা মেয়ে এল । ইস লজ্জায় আমরা শেষ । যাই হোক মেয়ে দুটো দোকানে ঢোকার পর বুড়ো চাচা আমাদের বেরিয়ে যেতে বললেন । রাগ যা লেগেছিল না । শালা মেয়েদের এখনও লুল হয়ে যায় । আমরা দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি । মেয়ে দুটো কার্ড দেখছে । হঠাত একটা মেয়ে বলে উঠল "দেখ এই মেয়েটা বুবস আমারটা থেকে কয়েকগুণ বড় হবে , বলেই খিল খিল হাসি " :P:P


আরেকদিনের ঘটনা । এবার পরীক্ষার হলে । পরীক্ষার দিন আমাদের পাশে ক্লাশ নাইনের সিট পরেছে । বড় ভাইরা পরীক্ষা দিচ্ছে । হঠাত আমাদের স্কুলের সবচেয়ে লুল মার্কা স্যার সাইদুর স্যারের চোখ পড়ল এক বড় ভাইয়ের মানিব্যাগের দিকে । ব্যাগটা ফুলে প্রায় ঢোল । স্যার ব্যাগটা চেয়ে নিজের কাছে নিয়ে আপন মনে সব কাজ টাকা বের করে দেখতে লাগল । এর মধ্যে বেড়িয়ে পড়ল সেই জিনিস । স্যারের চোখ তো আর সরে না । গুণে গুণে ৫২ টা কার্ড স্যার অনেক সময় নিয়ে দেখলেন আর হাসলেন । বড় ভাই তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে । বেচারা কিছু লিখতেও পারছে না । অবশ্য স্যার ভাল মত কার্ডগুলো ব্যাগে ভরে আবার ফেরত দিল । আর দেয়ার সময় বলল " এত বড় হইছছ এখনও কার্ড দেখস কেন " :P:P



এটাও আমাদের ক্লাশরুমের ঘটনা । আমরা ছিলাম মর্নিং শিফট । তাই ডে শফটের ছাত্রদের অনেক কর্মকান্ডই আমাদের ক্লাশে থেকে যেত । প্রতিদিনের মত সেদিনই যথারীতি বসেছি ক্লাশের মাঝখানের বেঞ্চে । বন্ধু মামুন হঠাত করেই বেঞ্চের নিচে পেয়ে গেল একটা কার্ড :):) । সবাই সেটা দেখার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করল । কার্ড ঘুরতে লাগল এক হাত থেকে আরেক হাতে । কিন্তু সবচেয়ে দূর্ভাগা ছিল সজীব । বেচারা যেই কার্ড হাতে নিয়ে দেখতে লাগল । হঠাত স্যারের হুঙ্কার । তোর হাতে কি ? পড়বি তো একেবারে মালির হাতে । স্যার ছিলেন আমাদের আরবী স্যার :|:| । কার্ডটা হাতে নিয়েই স্যারের হুঙ্কার "নালায়েক , জানোয়ার ক্লাশের মধ্যে এসব কি " বলেই পেটাতে লাগল বেচারাকে /:)/:)


পরের অংশ আগামীকাল ;);)

পোস্টটি একই সাথে আমার ব্যাক্তিগত ব্লগেও প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৪৬
৩৬টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×