বাস্তবতা অর্থ সাত বছরের শিশুকে চুরির দায়ে অমানুষিক প্রহার squint emoticon
এক সুন্দরী ললনা তার প্রেমিকে সাথে রাত্রিকালীন প্রেম নিবেদন শেষে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে রাস্তা পার হবার সময় ললনা তার ভ্যানিটি ব্যাগে ঈষৎ টান অনুভব করলেন। ব্যাগের কাছে থাকা হাতটা খপ করে ধরে বসলেন। এক শিশুর হাত।
- ও মা! চোর। তুই আমার ব্যাগে হাত দিয়েছিস কেনো? হুউউউউউ......
পিছেই ছিলো তাগড়া জোয়ান যুবক! সপাত সপাত করে গায়ের জোর দিয়ে থাপ্পর, ঘুসি আর আছাড় দিলো।
দৃশ্যটার কাছে যেতে যেতে প্রায় ঐ পিচ্চির অবস্থা হিসু দেবার মত হয়ে গেসে। একদিক দিয়ে অসহ্য হলেও অন্যদিক দিয়ে অমানবিক লাগলো। পিচ্চিটাকে একটু দূরে সরালাম। তাও দেখি হায়েনার মত যুবক দলের কেউ কেউ তেড়ে আসছে। সুন্দরী ললনার ব্যাগে হাত দিয়েছে বলে কথা। নাহ! আম্র চেষ্টা সফল আরেক সহৃদয়বান যুবক মুক্ত করে নিলো হায়েনার দলের হাত থেকে ঐ শিশুকে।
মুক্ত বিহঙ্গের মত ভুবন ভোলানো সে চাহনী কখনোই ভোলার নয়।
কথা হলো- পেটের দায়ে এতটুকুন বাচ্চাকে চুরি করতে হচ্ছে? আবার গণপিটুনিও খাচ্ছে?? এ কেমন দৃশ্যপট রে বাবা!! মানুষের মনে শুধু শিশু বলেও কি একটু মায়া হয় না?
কেউ কেউ হয়ত বলবেন এখন চুরি করছে বড় হয়ে হয়ত খুনী হবে। থামেন ভাই সাধে কেউ চুরি করে না। এতটুকু শিশুকে আমরা ঠিক মত ভরন পোষনই করতে পারছি না আবার বড় বড় কথা।
সন্ত্রাস এর নির্মুল করতে হলে এই শিশুকে বেড়ে ওঠার পরিপুর্ণ পরিবেশ দাও! যেন পেটের দায়ে অপরাধ না করতে হয়। তাহলেই আর বড় চোর তৈরী হবে না।