somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গেম

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ঘর থেকে যে মেঘ দেখা যায় জানতাম না। রোদের যন্ত্রনায় সারা দিন দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখি, কি করে জানবো! আজ সকালে চা খাওয়ার সময় দেখি- যায়, সব দেখা যায়, কালো মেঘ, রাগী মেঘ, ঘুল্লুমুল্লু মেঘ, উলটুল পুলটুল মেঘ, শান্তি মেঘ, হালকা মেঘ...

মাঝে মাঝে ভাবতে ইচ্ছা করে। ভাবনা এসে যায়- কেন কি হয়, কেন হয়, কি হয়। ভাবনাটা তখনই আসে যখন ভাবতে ভাল লাগে আবার ভাল লাগে না, ভাবতে ইচ্ছে করে আবার করে না, ধূর ভাবনার বদলে ভাবনার ভাবনায় ব্যস্ত...

কালকে নতুন একটা গেম আনছি- একেবারে বাচ্চাদের, মহাকাশবার্তার নতুন সংখ্যাও নিয়ে আসছি। তাতে একটা সাই ফাইও আছে, উফ কি দিন! কি দিন! বহুদিন এমন ফু্র্তি হয়নি! এমন দারুন আবহাওয়া, এতকিছুর মধ্যেও কি আবার ভাবতে বসতে হবে! না ভাবলে কি মজা জমবে না...

গেমটা একেবারে ছোট বাচ্চাদের, মনে হয় দুই তিন বছরের বাচ্চাদের স্ক্রলিং কি, আপ ডাউন কি, মাউস এইগুলো হাত মক্সো করার জন্য বানানো, একটু প্রিভিউ দেখেছিলাম, একটা ছোট্ট পিচ্চি হাটছে, যতক্ষন দেখছি ততক্ষনই শুধু হাটছে আর কিছুই নেই, কেন যে গেমটা নিলাম কে জানে!

একই সাথে গেম আর সাই ফাই ওয়াহ! নিচের পাগলি ভুতটার এখন ম্যা আধুরা তু আধুরি ছাড়ার কথা, কিন্তু যে আবহাওয়া, পাগলিও হকচকায় গেছে। গেমের সিডিটা দিলাম, সেই গুড়গুড়িটা হাটছে, টুংটাং টাইপ অতি ক্ষীণ একটা ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক আছে, ভলিউম অনেক বাড়ায়েও প্রায় কিছুই শোনা যায় না। কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে অতি সিম্পল কাঁপা কাঁপা সাদা দিয়ে আঁকা দুই আড়াই বছরের বাচ্চা মেয়ের অবয়ব, একই সাদায় আঁকা পথ। কিছুই করার নেই আপ স্ক্রল ধরে বসে থাকা ছাড়া, পথেও কিছু নেই, পথের দু পাশেও কিছু নেই, স্ক্রল ধরে মহাকাশ বার্তার গল্পটা পড়া যায়, জীব জীব গল্প কেন যেন কখনই বেশী টানে না।

কত মাইল গেলাম কে জানে! গুড়গুড়ির স্পিড খারাপ না, রুমটা একটু গোছালে হয়, কাজে হাত দিয়ে এসেই খেয়াল করলাম কিছু চেন্জ আসছে। পথের ধারে দুই একটা ফুল মত কিছু আছে, কিন্তু কিছু নেয়া যায় না, বা করা যায় না। কি জ্বালা সারা দিন এই নিয়ে বসে থাকতে হবে নাকি, ভাবতে চাইলাম, ভাবলাম গুড গুড ভেরি গুড!

খানিক হাটি-খেলি, অতি সরল খেলা, মজার আশায় আশায়, খানিক টুকটাক কাজ করি। বেসিকালি দিনটা তো মাটি, সুন্দর দিন তো এভাবেই মাটি করতে জানতে হয়। সাইফাইটাতে আরেকবার দাঁত বসানোর চেষ্টা করতেই হঠাৎ মনে হল স্ক্রিনে চেন্জ, আরিইই তাও ভাল কিটা বাঁ হাতে ধরা ছিল, নয়তো হুড়মুড় করে ঢুকেই পড়তাম আশপাশ খেয়াল না করে...

মানে যত খুশি অত কিছু হয়নি, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে নিশ্চয়ই হবে! পয়সা উশুল জটিল গেম! আল্লাই জানে একেবারে শেষ দিকে কি মারাত্মক জটিল হবে! বস! বস্ গেম! বাবু মেয়েটা এখন একটা দরজার সামনে, দরজা বরাবর শুরু হয়েছে বিশাল (তুলনামূলক ভাবে) জটিলতা। অন্তত চারটি খুপরি তো দেখাই যায়, লোভীর মত হারেরেরে করে তেড়ে যেতেও ইচ্ছা করছে আবার তারিয়ে তারিয়ে পুরো বিষয়টাও বুঝতে ইচ্ছা করছে, মোটামুটি সিম্পলই মনে হচ্ছে।

... খুঁপরি বক্সগুলো সমস্তটা দেখা যায় না, স্ক্রিনে একবারে আসে নাই। সবটা ছোটো করেও দেখতে ইচ্ছা করছে না। অবশ্য কিভাবে ছোটো করে সমস্তটা একসাথে দেখা যায় সেটাও বুঝতে পারছি না। আর ভুলভাল কিছু করে এত সময়ের হাঁটাহাঁটি মাটি করার কোনো মানেই নেই,
বক্স বা রুম গুলোতে যতটুকু দেখা যায় প্রায় কিছুই নাই। কিছুই নড়ে না, মানে একটা রুম পুরোটা দেখা যায়, বাকিগুলো আংশিক, ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে, কি দারুন!

যেটা পুরোটা দেখা যায় সেখানে যে কি আছে ঠিক বুঝতে পারছি না, মানে দেখছি কিন্তু বুঝছি না। মনে হয় না এগুলো সিগনিফিকেন্ট কিছু, আগানো যাক, এবার দেখা গেলো জিনিস! টেবিল মত আছে, ছোট একটা বাড়ি মত আছে রুমের মধ্যেই, আজব একটু! একটা জামা মত পড়ে আছে, আগানোর সাথে সাথে সব রুমেরই আরেকটু বেশি দেখা যাচ্ছে, গেলাম জামাটার কাছে, নেয়া যায় না, কি জানি অদ্ভুত ভাষায় একটা মেসেজ এলো। টেবিল টার চারপাশে পর্যাপ্ত ঘুরলাম, কিছুই ঘটে না, এমন সময় দেখি অন্য একটা রুমে মানে এটা পাঁচ নম্বর রুম, দেখি মানুষ! কয়েকটা মানুষ এ মাথা ও মাথা হাঁটছে...

এটা কি তবে বার্বি টাইপ গেম? জামা জু্তা কালেক্ট করতে পারলে পয়েন্ট মিলবে? সেটাও তো মনে হচ্ছে না। অনেক কিছুই আছে, কিন্তু কিছুই ঘটছে না। হয়তো মানুষের রুমে ঢোকার পর আরো কিছু ঘটবে, তখন ফিরে এসে এখান থেকে জিনিস গুলো নেয়া যাবে। আবার পিছিয়ে গিয়ে সব গুলো দরজায় উঁকি মেরে দেখা দরকার কোথায় কি আছে, নাহলে কোনো এক দরজা দিয়ে ঢোকার পর ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আর প্লান টা এখনি করা দরকার যে সব সময় কিকি ভাবে আগাতে হবে, যেমন সব সময় কি ডান সাইড ধরে হাটবো? কেমন সব সময়? ভালো কিছু বামে দেখলে নিতে যাবো কিনা, নাকি যাই দেখি না কেনো কখনোই নড়বো না, নজরে ভ্যালুয়েবল কিছু পড়লে না নিয়ে আগানোটা বোকামি হতে পারে...

পাঁচ নম্বরটায় না ঢুকে পিছিয়ে গিয়ে বাকি তিনটায় একে একে আস্তে ঘুরার চিন্তা, যদিও কোনোটাতেই কোনো কিছু নড়ছে না বলেই মনে হয়। দুই নাম্বার টায় দরজা দিয়ে একটু আগানোর পর আরেকটা খুপরি দেখা গেলো, এটা ছয় নাম্বার, সবটা দেখা যায় না মানুষ আর বাবু ছেলে!!! বাবু ছেলেটা পায়চারি করছে দেয়াল বক্সের মাঝে, উফফ সব এমন কোনাচে করে দেখা যায় কেনো! উফফফ আমি ফিদা!! আমার বাবু মেয়ের জন্য সুন্দর একটা বাবু ছেলে!! সেম সাইজ শেপ!! ওখানেই যেতে হবে!! ওরে পাগলা দেয়াল আর বক্সের মাঝে কি অর্থহীন হাটাহাটি করিস! এদিকে একটু তো তাকারে!! নাহ এই পুরো ভিউটা কন্ট্রোল করার সিস্টেম কি, এই রুমটা যতটা দেখা সম্ভব অতটা কি দেখতে পাচ্ছি, মনে তো হয় না, কতবার কত কায়দায় পিছালাম, উফফফ বোর হয়ে যাচ্ছি!! আমি বোর হয়ে যাচ্ছি, এখন কি!! তিন নম্বরটা, চার নম্বরটা দেখা হয় নাই, ঘুরে টেস্ট করে দেখা হয়নি ওখানকার জিনিস গুলো নেয়া যায় কিনা, আরে ধুর!! আগু পিছু করছি, নজরে এলো তিন নম্বরের একে বারে ঢুকেই একটা হেলথ বক্স টাইপ জিনিস পড়ে আছে, গেলাম, নেয়া যায় না, হেল্থ বক্স কিনা তাও শিওর না, বেশি দেরি করার মানে কি!! খেলা অবশ্যই অন্য লেভেলে চলে গেছে, কারন টুংটাং টাইপ কোনো সাউন্ডই আর নাই, বরং নয়েজ টাইপ হালকা আওয়াজ।

ছয় নম্বরের মানুষ গুলো যেনো দরজা পাহারা দিচ্ছে, অনেক ক্ষন পরপর কোনাচে এঙ্গেলে আসছে-যাচ্ছে, দুপাশ থেকে যেনো দরজার সামনে একটা বাঁকা ক্রস আঁকার মত মুভমেন্ট। দরজার উল্টো দিকের দেয়াল টাও কেমন যেনো হঠাৎ করে কোনাচে হয়ে সামনে এসে গেলো, এমন জটিল ডিজাইন অবশ্যই হায়ার লেভেলের লক্ষন, আর বাবু ছেলেটা!! দরজার মাঝ বরাবর হিসাব করে পিছিয়ে গেলাম, এবার নেক্সট লেভেল। দারোয়ান মার্কাগুলোর সাথে সাথে যাবো নাকি ওদের মুখোমুখি ঢুকবো? এমন করিতকর্মা ভাবটা গার্ডের সাথে মোটেই যায়না, বরং অন্যমনস্কভাবটা পথচারী মার্কা, হায় হায় কত কিছু যে আমি ভাবতে পারি। লোকটা আসছে, আমি রুমে ঢুকলেই কি ওরা দেখতে পাবে? অনেক গেমে মানুষগুলো সামনে দিয়ে গেলে টের পায় না, মাথার পিছন দিয়ে গেলে ঠিকই টের পায়, লোকটা আসছে...

দরজার দিকে যাচ্ছি, একবারে দরজার মাঝ দিয়ে ঢুকবো, আমার গুড়গুড়ির বন্ধু হবে, বিশাল দরজা, লোকটা আসছে... শাদা কিছু চিহ্ন লোকটার পিছে পিছে যাচ্ছে, লোকটা পড়ে গেলো একটা শব্দ হলো আআআআআআ করে, তার আগে মনে হয় পট পট কোনো শব্দও হয়েছিলো, তাকিয়ে দেখছি পড়ে থাকা মানুষটাকে, এসব কি? এসব কি অসভ্যতা?! এটা কি হলো? কোন গেমের মধ্যে কি? আজব তো! আজব অসভ্যতা, সাইকো কোথাকার! পারভার্ট কোথাকার! এসব কি? শালার আজব শয়তানি! ফালতু ইতর কোথাকার!

ঠিকমতো ভাবতেও পারছি না এখানে ঠিক কি হলো, শয়তানটা একটা বাচ্চাদের গেম বানিয়েছে, তার মধ্যে কোনো কথা বার্তা ছাড়া হঠাৎ করে খুনাখুনি ঢুকিয়েছে! শালার ফালতু ইতর সাইকো! প্লেয়িং গড এহ! আজব শয়তানি, সিডি র খাপে মনে হয় রাশিয়ান কোনো ভাষা ছিলো, পুরা কালো তে অল্প কাঁপা কাঁপা শাদা তে লেখা জোখা দুই একটা, বেশি কিছুই নাই, খেয়াল করে দেখার মত ব্যাপারটা.. এমনি তে তো সব খাপে গাজির পাঠ লেখা থাকে, এটা এমন কালাকুলা, শালা ভয় খাইছে, কেউ যদি তাকে খুঁজে নিয়ে তার মাথার পিছেও গুলি ঢুকিয়ে দেয়, ভীতুগিরি টা রহস্য ভাব দেখিয়ে ঢাকছে, শালার শয়তান

গেম পুরা ঠান্ডা, কোথাও কিছু নড়ছে না, বাবু ছেলেটাও কোথাও নেই, কেউই নেই আসলে, ভোঁজবাজির মত সব ঠান্ডা। পুরা গেম ঠান্ডা শালার ফালতু বা.. চুপ চাপ দাড়িয়ে আছি। নড়তে ইচ্ছা করছে না, আরো গুলিবাজ কোথাও থাকলে বের হয়ে আসুক। যা কিছু হবার হতে থাকুক, আগে সব ঘটে নিক, তারপর.. ধুস! শালার দুপুরের খাবার খাইনি, গোসল করিনি, এক গেমের ধান্ধায়! সিডির খাপটা নিয়ে কি সাইবার ক্যাফেতে যাবো? শালার গড প্লেয়িং সাইকোটাকে একটা সার্চ দিয়ে একটু নাড়িয়ে দেই তো কেমন হয়! খুব বড় সাইকো হইছে! কোনো বন্দুকধারিকেও দেখালো না সারা সময়! কোনো চিহ্নই দেখালো না কোনো কিছুর! আজব!

কেমন জ্বর জ্বর এলোমেলো ময়লা ময়লা লাগছে। সাইবার ক্যাফে খুলে যাবার কথা, যেতে ইচ্ছা করছে না, আলসেমি লাগছে। সাইবার ক্যাফের ছেলেটার আরেক আজব রোগ, সারা রুমে যতজনই যত ইন্টারেস্টিং আর লোভনীয় যা কিছু দেখুক না কেনো- সে আমার স্ক্রিনটার দিকে উঁকি মারার চেষ্টা করেই যাবে সারাটা সময়, বোরিং কিছু খেয়াল করার এত শখ থাকলে সামনের পেপারটা পড়ে না কেনো! এমন নজরদারীর মধ্যে এসব খুঁচাখুঁচির পারপাজ নিয়ে ঢোকা ঠিক না, এমনিতেই নামধাম লিখে ঢোকা লাগে, কখন কি থেকে কি হয় কে বলতে পারে, চুলটা আঁচড়ে নিলাম।

স্ক্রিনে সব এখনো একই রকম, কিছুই হচ্ছে না, মনে হয় গেমটা পজ হয়ে গেছে, দুজন হাঁটছিলো দরজার সামনে - তাদের একজন পড়ে আছে, বাবু ছেলের জায়গাটা ফাঁকা। না নড়ে যতটা দেখা যায় তার মধ্যে কিছুই ঘটছে না, কোনো সাঁড়া শব্দ নেই, কোনো সাউন্ডও আসলে নেই, কম্পু বন্ধ করতে ইচ্ছা করছে না, খুলেই রাখতে চাই, সিডির খাপটা নিয়ে নিলাম, এত সময় ধরে যেটা একটা পিচ্চির হাঁটাহাঁটির গেম সেটাতে এমন ভাবে কোনো হিন্ট ছাড়া গোলাগুলি শুরু করা তো বেঈমানি। আরেকটু হলে গুলি পিচ্চি মেয়েটার লাগতো, তখন? এত সময়ের হাঁটাহাঁটি আবার শুরু থেকে সব? এটা কোনো কথা হলো? সবচে বড় কথা এমন চোট্টামি স্টাইলে গোলাগুলি শুরু করবে কেনো? বন্দুক শো করুক, হুংকার দিক, দৌড়াদৌড়ি হোক, তারপর না হয় কিছু একটা ঘটতে পারে, সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে। ছোট্ট পিচ্চি একটা মেয়ের কাহিনীতে গোলাগুলি আদৌ ঢুকাবে কেনো সেটা তো গেলো অন্য বেসিক প্রশ্ন।

রাস্তায় সুন্দর মিষ্টি রোদ, হাঁটতে আরাম লাগছে, মেঘগুলো এখন একটু পাশে অন্য কোথাও ব্যস্ত আছে, তবে যেকোনো সময় হঠাৎ চলে এসে এলোমেলো করে দিতে পারে, বিষন্ন করে দিতে পারে যত খুশি। সিডির খাপের লেখা তেমন কিছুই নাই, যা লেখা আছে সেটাও গেম যে বানিয়েছে তার নাম বলে মনে হচ্ছে না। কম্পু খুলে রেখে এসেছি, ওভাবেই সব কিছু ফেলে রেখে এসেছি, সমস্ত ঘর জিনিসপত্রে এলোমেলো, কোথাও যেতেও ইচ্ছা করছে না। ফিরতেও ইচ্ছা করছে না কোথাও, ভালো লাগছে না কিছু, এই অদ্ভুত হরফের কোড কিভাবে টাইপ করতে হয় কে জানে, ইংরাজির মত মনে হলেও অমিল আছে, ভালো লাগছে না কিছুই।

বাসে করে ঘোরা যায়, কোনো একটা বাসে উঠে বসে পড়া ব্যস। সমস্যা হলো একটা রুট শেষ হলেই হেলপাররা ভয় পেতে শুরু করে, ওদেরকে আশ্বস্ত করতে তখন অন্য বাসে ওঠাটাই ভালো। কিন্তু অত সময় পর বেশির ভাগ দিন আর বেশি ঝামেলা করতে ভালো লাগে না, সমস্ত আরামটা তখন ওদেরকে আশ্বস্ত রাখার কাজেই চলে যায়। পুরা গেমটাই একটা বেঈমানি, এমনিতেও কিছু ঘটতেছিলো না, একটু কিছু ঘটার লক্ষন দেখিয়ে হঠাৎ চরম অ্যাকটিভিটি শুরু হয়ে গেলো। সব কিছু ফালতু, সাইবার ক্যাফের দিকে তাকালাম, হাঁটতে ভালো লাগছে, ঝামেলা ভালো লাগছে না। মাগরিবের একটু আগে রিকশা নিলাম, রিকশাওয়ালা ফাঁকা পেয়ে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে এমন জোরে চালাতে লাগলো যে মনে হলো উড়ে চাঁদেই চলে যাব, যাওয়ার সময় নিচে হালকা রঙের মেঘগুলোকে বাই বাই বলবো...

রাতের খাবার খেয়ে, বিছানা থেকে সমস্ত সিডি মেঝেতে নামিয়ে, মাউসটা আবার ধরলাম। সব কিছু ওরকমই আছে, গুড়গুড়ি দাঁড়িয়ে আছে সেভাবেই। কালকে তো ছুটি না। এখন যদি নড়াচড়া করাতে গেম আবার শুরু হয়ে যায় তো? বাবু ছেলেটা যে কই গেলো, সবাইই ভয়ে পালিয়েছে, তবু মনে মনে মানুষজনকেই খুঁজছি যেন...
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২০
২২টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×