মাদক এমন একটি অভিশাপ যা প্রতিনিয়ত একটি সমাজের ভিত্তিকে দুর্বল করার পক্ষে যথেষ্ট।আর এই মাদক চোরাচালান এর অন্যতম মদদ দাতা হয় যদি প্রশাসন, তাহলে সোনার বাংলা শুধু নামমাত্র সোনার বাংলাই হবে।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চান, ভালো কথা! কিন্তু এটা কি রকম ডিজিটাল বাংলাদেশ যেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভর করে অনায়সে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে!মাদকের প্রধান ট্রানজিট হিসাবে খ্যাত দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর। এই ট্রানজিট কে পুজি করে মাদক ব্যাবসায়ীরা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মাদক যেমন ফেন্সিডিল,গাজা, এমনকি ইয়াবার মত যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সহ নানা ধরনের মাদক চোরাচালান করছে।আর এসব অপকর্মকে সহায়তা করছে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা।অথচ যারা দেশ চালান,বড় বড় মঞ্চে বক্তৃতার ফুলঝুড়ি ছড়ান তারা এই বিষয় গুলো দেখেও নির্বাক।অনেক রাজনৈতিক দল বিভিন্ন ইস্যুতে হরতাল, অবরোধ ডেকে থাকে কিন্তু এটা দেখা গেলো না যে মাদকের বিরুদ্ধে কেউ উচ্চতর স্লোগান ব্যবহার করেছেন!অনেকেই বড় গলায় বলেন প্রশাসন ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করা হয়েছে, আদ্যোও কি এটা সম্ভবপর! আমরা বলবো না।কারন যদি প্রশাসন স্বাধীন হতো তবে দেশে কোন অপরাধীই থাকতো না।প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা আছেন যারা নিজেদের সাধু বলে পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী দের নিকট থেকে উপধৌকনের আশায় পথ চলেন।এমনকি মাদক ব্যাবসায়ীদের মোসাহেবি করতেও তারা পটু।মনে হয় যেন প্রশাসনের জন্মই হয়েছে ভাগের মাল খাওয়ার জন্য।আর হ্যা অনেকেই একটা উপমা ব্যবহার করে নিজের দোষ ঢেকে রেখে বলেন, "নিজেকে বদলাও তবে দেশ বদলাবে।" বলাটা খুব সোজা কিন্তু করা কঠিন।প্রবাদে আছে,
"অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে প্রশয় দেয় তারা প্রত্যেকেই সমান অপরাধী।"
এটাই যদি বাস্তবতা হয় তবে বিবেকের কাছে প্রশ্ন প্রশাসনকে কোন পাল্লায় রাখবেন?