একদা এক চতুর ব্রাহ্মণ ঘোরতর বিপদে পড়ল। বিপদ থেকে মুক্ত হতে সে দেবতার সাহায্য চাইল। দেবতাকে উদ্দেশ্য করে সে বলল, যদি এই বিপদ থেকে মুক্তি পাই তবে তোমার নামে একটি গরু উৎসর্গ দেব। দেবতা খুশি হ’ল, তার বিপদ মুক্তির ব্যবস্থা করল। বিপদ মুক্তির পর ব্রাহ্মণ তার দেওয়া অঙ্গীকারের কথা বেমালুম ভূলে গেল।
বেশ কিছুদিন পরে দেবতা ব্রাহ্মণকে তার অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিলে সে কাকতি মিনতি করে বলল, আমি গরীব ব্রাহ্মণ গরু কেনার এত টাক কোথায় পাব? আমি বরং একটা পাঠা তোমার নামে উৎসর্গ করি। দেবতা বলল, তবে তাই কর। ব্রাহ্মণ স্বীকৃত হয়ে বাড়ী চলে গেল।
দিন যায় কিন্তু ব্রাহ্মণ দেবতার পাঠা দেয় না। একদিন দেবতা তার দেওয়া অঙ্গীকার পূরণ করতে বলল। ব্রাহ্মণ এবারও তার করুণ অবস্থার দোহাই দিল। বলল সে বড়জোড় একটি মোরগ দিতে উৎসর্গ করতে পারে। দেবতা সেটাই দিতে বলল। ব্রাহ্মণ রাজি হয়ে বাড়ীর পথ ধরল। এবারও সে অঙ্গীকার পূরণ করল না।
দেবতা রুষ্ঠ হ’ল বলল, ওহে মূর্খ তুই তোর অঙ্গীকার পূরণ কর। ব্রাহ্মণ তার দুরাবস্থার কথা বলে দেবতাকে একটি ঘাস ফড়িং দিতে চাইল। দেবতা বলল, দে তবে ঘাস ফড়িং-ই দে। ব্রাহ্মণ ফড়িং দেওয়ার অঙ্গীকার করে বাড়ী ফিরল। যথারীতি এবারও তার অঙ্গীকার পূরণ করল না।
অনেকদিন পর দেবতা তাকে তার অঙ্গীকার পূরণের কথা বলল। চতুর ব্রাহ্মণ এবার হাসতে হাসতে বলল, তুমি দেবতা, এত শক্তি তোমার, তা তুমি নিজে একটা ফড়িং ধরে খেতে পার না!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৭