১.
দিন কয়েক আগে ব্লগে এক ব্লগার ভাইজানের বিদেশে পায়খানা ব্যবহার করতে গিয়ে পেরেশানিতে পড়ার কথা জানলাম। ভাইজান সেই পায়খানা ব্যবহার করতে না পেরে ব্লগে পোষ্ট দিছে একটা সমাধান চেয়ে। উন্নত দেশ অথচ সেই জায়গায় বেকুবগুলা কি পায়খানা বানাইছে কন দেহি। যাই হোক, ঐ ঘটনায় পায়খানা নিয়া একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল।
এক লোক পেট ব্যথা নিয়ে গেছে ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার পেট টিপেটুপে বুঝতে চেষ্টা করল ঘটনা কি। তারপর লোকটিকে জিজ্ঞেস করল- পায়খানার খবর কি? লোকটি ভাবে আইলাম পেট ব্যথা নিয়া আর ডাক্তার সাব জিগায় পায়খানার খবর। বেকুব ডাক্তার নি এইডা? আবার ভাবে ডাক্তার সাব জিগাইছে উত্তর না দিলেও তো ভাল দেখায় না। সে বলে - কী আর কমু। গরীবের আবার পায়খানা। আছে আর কি একটা। তয় সেরম না। ছনের ছাউনী আর ছালা দিয়া ঘেরা। তয় হেইডা জিগাইয়া আপনের কাম কি?
২.
কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুদ্ধ শব্দের ব্যবহার না করলে অনেক বড় বিপদ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক লোক হাতির মত বিশাল শরীর নিয়ে এল ডাক্তারের কাছে।
- ডাক্তার সাব আমার শরীর তো দিনকে দিন খালি ফুলতেছে। কিছুতেই কিছু হয় না।
ডাক্তার জিগায় - কাজ কাম কি কর?
- ডাক্তার সাব কাজ কাম নাই। তার দরকারও নাই। বাবার তালুক আছে। দিব্যি চলে যায়। শরীর কমাইবার অষুধ দেন।
ডাক্তার কয় - খাইটা খাও।
গ্রামাঞ্চলে বিশেষ প্রয়োজনে কোন কিছুতে আঘাত করার জন্য কাঠ দিয়ে এই বস্তু বানানো হয়। অনেকটা হাতুড়ির মতো কাজ করে। গ্রামে এটা খাইটা নামে পরিচিত। তো লোকটি ভাবল তাকে বুঝি সেই খাইটা খেতে বলেছে। সে বাড়ী গিয়ে একটা খাইটা দা দিয়ে কুচিকুচি করে কেটে খেতে লাগল। আর স্বাভাবিকভাবেই তার পেট ব্যথা শুরু হলো। পেটের ব্যথায় টিকতে না পেরে সে আবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাজির হ’ল। বলল যে খাইটা খাওয়ার পরই তার এ অবস্থা হয়েছে। সব শুনে ডাক্তার বলল - আরে মুর্খ আমি তোকে খাইটা খাইতে কইছি। খাইটা মানে খেটে মানে কায়িক পরিশ্রম করে খেতে বলছি। খাইটা খাইতে কই নাই।
------
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭