নাটকের পর নাটক!
রানাপ্লাজা থেকে ১৭ দিন পরে একজন জীবিত রেশমা উদ্ধার! আলহামদুলিল্লাহ..জীবিত মানুষ তো।
তবে কিছু কথা আছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, পুরো ঘটনাটি সাজানো। হেফাজতে ইসলামের ওপর পুলিশ-র্যাব বাহিনীর নারকীয় হামলার খবর ও ভিডিও যখন একে একে বের হচ্ছে এবং নিহতের হিসাব নিয়ে সারা মিডিয়া তোলপাড়, তখন সকলের দৃষ্টি সরিয়ে অন্যদিকে নেয়ার জন্য রেশমা উদ্ধারের নাটক সৃষ্টি করলো হাসিনার নির্দেশে জেনারেল সারওয়ার্দী! এটা হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। ১৭ দিন পরেও রেশমা বলতে পারলো....”স্যার আমাকে বাঁচান। খাবার দেন। আমি সুস্থ আছি।” ঘটনাস্থলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী উপস্থিত আছেন। তাইলে বোঝেন পরিস্থিতি! সেনাপ্রধানকে নিয়া যখন টানাটানি চলছে, তখন সারওয়ার্দীকে আবার ওখানে বসানোর জন্য নজুন ইমেজ বিল্ডিং প্রজেক্টও হতে পারে!
রানা প্লাজায় এখন তেমন কোনো মিডিয়া ছিল না। এই ফাকে হাসপাতাল থেকে হোক বা অন্য কোথাও থেকে হোক রেশমাকে নিয়ে গল্পটা তৈরী করা হলো। মুন্নী সাহার প্রশ্ন গুলা যথার্থই ছিলো- ”১/ উনি এতোদিন পর কিভাবে বেচে আছেন? ২/ উনাকে এতো ফ্রেশ লাগছে কেন? ৩/ ১৭ দিন কোন খাবার ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকতে পারেন? ৪/ (যখন সেনাবাহিনীর একজন বলল তারকাছে কিছু শুকনো খাবার ছিল) উনার কাছে খাবার কোথা থেকে আসল? ৫/ উনার জামা কাপর গুলা এরকম নতুন মনে হচ্ছে কোন ময়লা নেই কেন?” প্লানাররা একটু ভুল করে ফেলেছে...নতুন লাল ওড়না না দিলেও পারতো। মুন্নী সাহা, তোমার মুখটা বন্ধ রাখো, নইলে থলের বিড়াল কিন্তু ম্যাও করে উঠবে। ...উদ্ধারকারীরা/সেনা সদস্যরা হ্যান্ডমাইকে বার বার নারায়ে তাকবীর..আল্লাহু আকবার আওয়াজ দিয়ে হেফাজত/জামায়াতের রাজনীতি খাইলো যে! ওরা নিশ্চয়ই মৌলবাদী!
হাসিনা এখন রেশমার কাছে ছুটে যাবে আরো নাটক করতে। চারিদিকে ধন্য ধন্য পরে যাবে...আর্মি বিরাট বাহাদুর...আরো কত কি। ১৭ দিন পরে যেখানে লাশ গলে গেছে, তখন নতুন নতুন শক্ত লাশ বের হয়ে এখন ১০৪৫ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খালেদা জিয়া যেহেতু লাশ গোপনের অভিযোগ করেছিল, তখন তাকে মিথ্নিযা প্রমানের জন্য লাশের সংখ্যা ৪’শ থেকে বাড়তে বাড়তে ১১’শতে নিয়ে ঠেকালো হাসিনার ব্লু-আইড বয় সোহরাওয়ার্দী! অনেকেই বলছিল, শাপলা চত্তরে নিহত হেফাজতের লাশ গোপনে ওখানে নিয়ে বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন চলছে। সরকার একটা বাহবা পেতেই পারে....জীবিত হেফাজতের উপকার না করলেও অন্তত নাটক করে মৃতদের দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য। ধন্য হাসিনা!! হাসিনার নাটক সম্পর্কে যে সন্দেহ করবেন, তিনি মতিউর রহমান রেন্টুর “আমার ফাঁসি চাই” পড়ে নিন আবার, এমন অনেক নাটকের সন্ধান পাবেন।
তবে, একটা রিস্ক থেকে গেলো। এই নাটক ফাঁস করার অপরাধে আবার কয়টা না হত্যা হয়!