প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর বিস্ময়কর ফলাফল প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জনগণ কোন হিসাবে বা কেন জামায়াতকে ভোট দিয়েছে তা আমার জানা নেই।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে কবি জীবন ইসলামের 'ভাল আছি' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতকে বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে আখ্যায়িত করতে চেয়েছে, তাহলে তারা কেমন করে ১৩ আসনে নির্বাচিত হলো?-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে জনগণ কেন ভোট দিয়েছে আমি জানি না।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিই বেশি পদে বিজয়ী হচ্ছে, তা কি প্রমাণ করে না যে সরকারের জনপ্রিয়তা কমছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, সরকারের জয়প্রিয়তা হ্রাস এত সহজ নয়। এটা ব্যাপক গবেষণার বিষয়। গবেষণা করে বলতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট জালিয়াতির যে অভিযোগ ছিল এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব নির্বাচনেই কিছু না কিছু অভিযোগ থাকে।এ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর হয়েছে। বিএনপির সব অভিযোগ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
গতকাল অনুষ্ঠিত ৯৭টি উপজেলা পরিষদের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৫৬ জন। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৪ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ৩২ জন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৪ জন, জামায়াত সমর্থিত ২৩ জন, স্বতন্ত্র ছয়জন, জাতীয় পার্টি তিনজন এবং অন্যান্য চারজন। বাকীগুলোর ফল পাওয়া যায়নি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত ৩৪ জন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৪ জন, জামায়াত সমর্থিত ১০ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
প্রথম দফা নির্বাচনে ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলায় ভালো ফল করেছে জামায়াত যা সত্যিই বিস্ময়কর। কারণ যুদ্ধাপরাধের বিচার আর সহিংসতাকে ঘিরে দলটি পুরোমাত্রায় কোণঠাসা। সংসদ নির্বাচনের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ নেতারা প্রায় সবাই পলাতক। পলাতক থেকেও তারা জয়ী হয়েছেন, যা রাজনীতির মাঠে তাদের বলিষ্ঠভাবে ফেরার ইঙ্গিত বলে অনেকেই মনে করছেন।#
রেডিও তেহরান/এআর/২০