somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক একটি ছিন্ন সেতু

১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শীত শেষে যখন গড়ম শুরো হয়।গড়মের পরে শীত।খুব স্বাভাবিক ঘটনা। প্রথম যে দিন প্রচন্ড গড়ম পরে। কিংবা প্রথম যেদিন তীব্র শীত পরে আমি সেই দিনটাকে মনে রাখি। প্রথম বৃষ্টি শুরো হলে মনে মনে নিজেকে জানিয়ে দেই,আজ কিন্তু প্রথম বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় যখন প্রথম বৈশাখের প্রথম কৃষ্ণ চূড়া দেখি সে মনে মনে বলি প্রথম কৃষ্ণচূড়া। এটা কোন আহামরি ব্যপার না। কিন্তু তবু আমি তা করি। জীবন থেকে প্রতিটা ক্ষন যখন হারিয়ে যায়। আমি দেখি প্রতিটা ক্ষন কি করে হারায়। কি করে প্রতিটা মূহুর্ত আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। হয়তো কিছুই করা হয়না। কখনো থামতে দেইনা। কখনো খুব প্রয়োজন মনে করে আলমীরাতেও উঠাতে যাইনা। হেলায়ই কাটে তবু মনের ক্যালেন্ডারে নিজের অজান্তেই একটা দাগ বসে যায়।

প্রথম যেদিনটায় বাড়ি থেকে বাইরে আসলাম। আমি জানতাম আর কোনদিন ফেরা হবে না।সবাই ফিরতে পারেনা। আমি ফিরতে না পারার দলে। বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার মূহুর্তে আমার মায়ের মলিন মুখের কথা মনে পরে। বোনের ছলছল চোখের চাহনির কথা মনে পরে। বাবার দূরে তাকিয়ে থাকার কথা মনে পরে। সব কিছুই মনে পরে কিন্তু আমি ফিরে যেতে পারিনা।

প্রথম যে বন্ধুটি চাকরির জন্য দূরে সরে যায়, বুঝতে পারি কাছা কাছি আর কখনো হবোনা। দেখা অবশ্য আমাদের মাঝে মধ্যে হয় কিন্তু দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কারো হয়তো ভুড়ি বাড়ছে। কারো বাড়ছে শৃঙ্খল। সবাই তার বৃত্তকে নতুন বৃত্তের সাথে সমন্বয় করে চলেছে। পেছনে ফেরার মতো সময় কই?

বিয়ে করার পর বন্ধ ফোন দিয়ে বলে এবার আসার আগে ফোন দিও।বন্ধুটি জানে আমি পাগলের মতো হয়তো হুট হাট চলে আসতে পারি। তার মতো এত সার্প কনমসেন্স তো আমার নেই। নতুন ঘর নতুন সংসার। সেখানে কি হুট হাট চলে আসা সাজে?আত্নীয় হলে হয়তো অন্য ব্যপার হতে পারতো। তাই বলে ছাত্র জীবনের বন্ধুত্ব! আমি বলি অবশ্যই দেব। আসার আগেই ফোন দিয়ে জানাব।

বুঝতে পারি সেতু ছিন্ন হয়ে একা হয়ে পরছি। নতুন নতুন সাঁকু হয়তো নিয়মিতই হয় কিন্তু সেতু হয়না। চৈত্রের খড়ায় যখন খাল শুকিয়ে যায় তখন কোন রকমে একটা বাঁশ দিয়ে চালিয়ে নেয়া।উত্তাল নদী তো আর সাঁকু দিয়ে পার হওয়া যায় না। তাই চেয়ে ছিলাম সেতু গুলো থাকুক। কিন্তু সব কিছুরই একটা পরিনতি আছে। এই হচ্ছে সেই পরিনতি। আমার সেতু গুলো যখন নড়বড়ে হয়ে যায়। আমি বুঝতে পারি। ছোট খাট পাখি বসলেও যখন শক্ত সেতুতে দোলনী উঠে আমি বুঝতে পারি। কিন্তু আমি বড় অসহায়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×