somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্যরকম পাচটি মুভি - যেগুলো মনে বিস্তর প্রভাব ফেলবে !!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাধারনত হলিঊডের বিশেষ জেনারের মুভিগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক হয়। একশন, এডভেঞ্চার , এবং হরর মুভিগুলোর কাহিনি প্রায় এক হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু মুভি থাকে চিরচেনা তারপরও ভালো লাগে। হয়তো বিশেষ কিছু একটা ধারন করে মুভিগুলো। জানিনা আপনাদের রেস্পন্স কেমন হবে, কিন্তু এই মুভিগুলোর ভাবনা বা বলার ভঙ্গি, সার্বিক নির্মান শৈলী আমার খুব ভালো লেগেছে। সেরকমের ৫ টা মুভির কথা আমি আজ বলবো।
বিশদ বর্ননায় না গিয়ে, আমি শুধু প্লট ও ভালো লাগাটাকে ধরিয়ে দিচ্ছি।
১। Awake (2007)



২২ বছর বয়সি Clay Beresford মুল চরিত্র। ব্যাবসায়িক এবং পারিবারিক দিকে সে খুব সফল। anesthetic awareness এ সে আক্রান্ত হয়ে একটা প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি হয়। এক পর্যায়ে তার হার্ট সার্জারি জারী হয়। অপারেশন থিয়েটারে তার আন্তা তার থেকে বের হয়ে আসে। পুরো মুভিটা ওখানেই শুরু ওখানেই শেষ। তার আন্তা মৃত্যু পর্যায়ের বিভিন্ন স্টেপ অনুভব করতে পারে। সুক্ষভাবে গরিয়ে চলে কাহিনি। তার মা, গার্লফ্রেন্ড, উপস্থিত থাকে সেখানে। সে সবার সাথে একটা কনভারসেশন তৈরী করতে চায়। কিন্তু সে বরাবর বার্থ হয়।
পুরো মুভিতে মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখানো হয়েছে। অনুভুতিকে জাগ্রত করা হয়েছে।,। আবেগের বহিপ্রকাশটা অসাধারন। সংলাপ ছিল টান টান। কিছু মুল কথা হলো যেরকম অসাধারন প্লট সেরকম মুভিটি জমেনি। আরও ভালো কিছু স্বাভাবিক ভাবে আশা করা যায়।

Final Destination


এটার এখন পর্যন্ত ৫ টা পার্ট বের হয়েছে। একটা রিসেন্টলি বের হয়েছে। এটার প্লট খুব সাদাসিধে। সবগুলোর প্লট এক হলেও মৌলিকত্ত ছিল দেখার মত। মুল প্লট হলো মৃত্যু। কত সুক্ষ সুক্ষ ভুল একটা মৃত্যুর কারন হতে পারে !!! আমরা মৃত্যুকে কতটা কাছে নিয়ে ঘুরি। মোবাইল চার্জার থেকেও মানুষের একটা পরিপুর্ন সাজানো মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সেটাই এই মুভির টারগেট। একটা কারেক্টর থাকে যে একটা ড্রীমের মাধ্যমে জানতে পারে তার পরিচিতদের মৃত্যু কিভাবে হবে। সাদাসিধে এই কারেক্টারটা ঘটনার আকস্মিকতায় কর্মঠ হয়ে ওঠে। সে মৃত্যুকে চালেঞ্জ করে এর বিরুদ্ধে একশন নেয়। মৃত্যু থেকে বাচার,পালানোর মৃত্যুকে এড়িয়ে যাবার অভিনব পদ্ধতিগুলো অসাধারন। কিন্তু মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব কি ?

Mirrors (2008)



মুভিটি হরর জেনারের হলেও এর ভাবনাটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। এক্স পুলিশ অফিসারের জীবনে নেমে আসে দুর্বিসহ যন্ত্রনা। আয়না থেকে একটা একটা মন্দ কোনো কিছুর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ঝামেলার সুত্রপাত। আর সে আয়নার হাত থেকেই পুরো পরিবারকে বাচাতে Ben Carson এর যুদ্ধ। আয়না ভার্সেস মানুষ। অসাধারন প্লট। কাহিনি এবং নির্মান শৈলী। রাতের বেলা আয়না দেখা নিয়ে ভয় কাজ করবে।

The Eye (2008)



চোখ। আমরা কতকিছু দেখি। কত ভালো খারাপ। কিন্তু এই দেখাই যে আমাদের কাল শনি হয়ে দাড়াতে পারে। এটি একটা হংকং ফিল্মের রিমেক। আসলটা দেখা হয় নাই। হরর জেনার হলেও মুভিটি আমার কাছে প্রচন্ড ভালো লেগেছে।
একটা দুর্ঘটায় ৫ বছর বয়সে Sydney তার চোখ হারায়। এবং পরে সার্জারির মাধ্যমে নতুন চোখ লাগায়। কিন্তু কার চোখ লাগানো হয়েছে ? হ্যা ঐ চোখ লাগানোর পর থেকে সে অদ্ভুত জিনিষ দেখা শুরু করে। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনি। লজিক এবং ব্যাখ্যা দুটোই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। দেখার পর চোখ বিষয়ে একটু সাবধান হওয়ার প্রয়োজন বোধ করবেন।

Knowing (2009)



পৃথিবির কোনো জিনিষি ফেলনা না। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। হয়তো অনেকেরও একই মতামত। এবং এই মুভিরো একই মতামত। সবকিছু যে নিয়মতান্ত্রিক। এবং প্রকৃতিপ্রদত্ত। তার একটা ক্লাসিকফেকেশনে ঢুকে এই মুভি ভাবা হয়েছে।
১৯৪৯ সালে একটা স্কুলের বাচ্চাদের আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীর কি অবস্থা হবে সি বিষয়ে আর্ট আসাইন্টমেন্ট দেওয়া হয়। সবাই রোবট, ঊরন্ত গাটি, নিঊকিলিয়ারে থাকলেও Lucinda খাতায় তুলে আনে কিছু নাম্বার, ওই সময়ে এই নাম্বারগুলোর কোনো গুরুত্ত্ব না থাকলেও ৫০ বছর পর এসে এর গুরুও্ব পাওয়া যায়। পৃথিবির এই ধংস্ব খেলার পিছনে একটা হালকা লজিক আনা হয়েছে। এটা যে মানূষের হাতে নেই এবং মানূষ চাইলেও যে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেনা তা সুনিপুন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এর পরে হাবিজাবি লেখা কিছু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি। বাচ্চাদের মনোযোগ দিয়ে আলতু ফালটু চিহ্ন তখন গুরুত্ত্বপুর্ন মনে হবে।

Download LInk : Click To Name.

The Eye

Awake

The Final Destination

The MIrror

Knowing


মুভি বিষয়ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন ~~ আপডেটিত~~


[ আনাকাটঃ কাল হরতাল। মারামারি কাটাকাটি। ব্লগ জমে উঠবে সেই সব ফিচার নিয়ে। তাই আজই পোষ্টটা দিয়ে দিলাম। ডাউনলোড করে দেখতেই পারবেন, কালকের শোক ছুটিতে। ]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫২
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×