somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০০ টি মাথানষ্ট কোরিয়ান মুভিররিভিউ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Korean/Korian. Movie/Film
কোরিয়ান মুভি বেশী দেখতাম না প্রথমে। কিন্তু আমার খুব পছন্দের একজন ব্যক্তি কাউসার রুশো ভাইয়ের এই মুভিগুলো বেশ ভালোলাগে শুনে দেখা শুরু। একে একে দেখে ফেললাম, অনেকগুলো। গুনে দেখি মোট ১৫ টা দেখা হয়েছে। আর ভালো রেকমেন্ডও নাই। পরে দেখা স্থগিত ছিল।
আমার এক বান্ধবী আবার কোরিয়ান ফিল্মের বিগেষ্ট ফ্যান। তিনি তিন বছর সাউথ কোরিয়া ছিল। সেখানে প্রচুর মুভি দেখেছে, এবং দেশে এসেও প্রচুর দেখছে। ওর থেকে রেকমেন্ড নিয়ে আবার শুরু হলো কোরিয়ান মুভি চর্চা। গোটা ৫০ দেখেছি।
আর বাকিগুলো ওর মুখের রিভিউসহ, আমার মাইক্রো রিভিউয়ের মাধ্যমে শেয়ার করলাম।
০১) Old Boy
এটা মুলত Vengeance ট্রিওলজির প্রধানটা।ওরে মা ! টাইপ থ্রিলার ফিল্ম। এটা কোরিয়ান সেরা ফিল্ম না হয়ে যায়ই না। ১৫ বছর কিডন্যাপ থাকার পর এক লোক ছাড়া পায়। আর কুত্তার মত খুজতে থাকে কে তাকে এতদিন আটকে রেখেছে। লাষ্টে মাথায় একটা বাড়ি আছে। টুইষ্টএবেল ফিল্ম। পরিবার বর্জিত।নিজ দায়িত্তে দেখুন।

০২) Daisy
প্রেমের গল্প। একজন ক্রিমিনাল আর একজন পুলিশ, দুইজনেই একই মেয়েকে ভালোবাসে। মেয়ে ভালোবাসে এমন একজনকে, যে প্রতিদিন তাকে ফুল উপহার দেয়। ২ জনের ভিতরে একজন সেই উপহারদাতা। কিন্তু গল্প গেল ঘুরে। অসাধারন একটা ফিল্ম। কড়া রোমান্টিক ফিল্ম। শেষের দিক মনটা বিষিয়ে উঠবে।

০৩) My Sassy Girl
এটা মুলত একটা পাগলা মেয়ের কাহিনি। তার প্রেমে পড়া, ভালোবাসা,পাগলামি,বিচ্ছেদ ইত্যাদি মিলিয়ে অসাধারন একটা মুভি। কমেডিও ছিল বেশ। একটু কেটে ছেটে মুভিটি বেশ ভালো লাগার মত, রোমান্টিক ফ্যনদের কাছে খুব ভালোলাগবে গারান্টি।

০৪) I Saw Devil
মাথা নষ্ট মুভি। কোরিয়ানরা রোমাঞ্চ যেমন ভালো বানায় রিভেঞ্জও তেমন বানায়। স্ত্রি হত্যার জন্য, একজন সিরিয়াল কিলারের উপরে প্রতিশোধ নিয়ে মুভি। পুরাই ২০/২০ ম্যাচ। উত্তেজনার উচ্চপদের মুভি।

০৫)3-iron
পুরাই মাথা নষ্ট ড্রামা। এক সাইকো পোলা খালি চুরি করে মানুষের বাসায় গিয়ে থাকে। আওনের সময় ঘর বাড়ি পরিষ্কার করে রাখে । এক অত্যাচারিত স্ত্রির লগে পরিচয়ের পর তারেও সাথে নিয়ে এই আকাম করে। পরে মাইয়ার স্বামীতো কুত্তা পাগল হইয়া দেয় ধোলাই। কিন্তু ততদিনে প্রেম হয়ে গেছে। আর প্রেম মানেনা বাধা। সেইরকমের ফিল্ম। ২,৪ কথা। বাকিসময় চুপচাপ নিরবতা। মাষ্ট সি।

০৬)A Moment to remember
আউলা ঝাউলা ফিল্ম। কাইন্দা চোখ ভাসাইয়া ফালাইছিলাম। এক অন্যমনষ্ক মাইয়ার প্রেমে পরে এক পোলা। আসতে আসতে বিয়াও করে। মাইয়ার আবার পুর্ব প্রেম থাকে। হটাত রোগে আকান্ত্র হইয়ে মাইয়া পুরান পোলার কাছে যায়। আবার একটু পরে ফিরে আয়। কি আজব কাজকারবার। লাষ্টে হয় ফাইনাল বিচ্ছেদ। আবার সাও্বনার একটা ব্যাপার স্যাপার আছে। মাথা নষ্ট রোমাঞ্চ। কান্দন কাটন আছে। মাষ্ট সি।

০৭)The Chaser
এইডাও রিভেঞ্জ । একজন বেশ্যারে মাইরা ফালায় এক সাইকো। আর বেশ্যার দালালের মাথা আউট হয়ে যায় ঘটনায়। সে রিভেঞ্জ লয়,। কাহিনি একটুক হইলেও ফিল্মটা মাষ্টার পিচ। কোরিয়ানরা খেলে ভালো, কাহিনি লইয়া। এইডার হিন্দি সংস্করন হইলো মার্ডার - ২ । মাষ্ট সি।

০৮)The Host
আডভেঞ্চার ফিল্ম। ওই যে ভয়ঙ্কর পশুপাখি মারাধরা নিয়ে কিছু মুভি থাকে না। অমন। নদীর বেরিবাধের এক চিপায় একটা মনষ্টার বাস করে। তার যখন মনের খুশি হয়, এরে ওরে আক্রমন করে। ধইরা লয়া যায়। চিপায় আটকা পরছে এক মাইয়া। আর তারে বাচাইতে আইছে সম্ভবত তার স্বামী। মাথা নষ্ট ফিল্ম। পশম দাড়াইছিল আমার। মাষ্ট সি।

০৯)The Classic
রোমান্টিক মুভি। কান্দন কাটন। আমিও কান্দছি। নায়িকা একদিন হঠাত মায়ের পুরোনো ডাইরি ও চিঠিপত্র পায়। পড়া শুরু করে। মায়ের প্রথম ভালোবাসার কথা লেখা তাতে। নায়িকা একজনরে ভালোবাসে, এই লোকরে পাওয়া না পাওয়া,পাইলেও কেমনে কি ? আর মায়ের প্রথম প্রেমের ফ্লাশব্যাক, এই প্যারালাল প্রেমের গল্প এটা। ভালোলাগছে। রোমান্টিক ফ্যনারা দেখবেন।

১০)Oasis
কড়া রোমান্টিক ফিল্ম। মুলত এটি একটি জেল থেকে সদ্য ছাড়া প্রাপ্ত আসামীর অপরীসীম প্রেমের গল্প। প্রেম কাচামাল হলেও ব্যস্তবতা ছিল এর মূল উপাদান। আমার কাছে বেশ ভালোলেগেছে। রোমান্টিক ফ্যনাদের জন্য।

১১)The Good,The Bad,The Weird
কোরিয়ানরা আবার ওয়েষ্টার্নো বানায়। এটা The Good, The Bad and The Ugly এর কোরিয়ান রিমেক। একেবারে খারাপ করে নাই। রিমেক বলা ভুল, অনেক চেঞ্জ করছে। জমাইছে। মাষ্ট সি। নাম শুননাই বুঝা যায় পল্ডিবাজি ফিল্ম। পল্টির উপর পল্টি।

১২)A Tale Of Two sisters
সাইকোলজিকাল হরর। হরর খানা দেইক্ষা মজা পাইছি। ডরাইছিলাম। পাগলাগারদ দিয়ে বাড়ি আইছে দুই বোন। বাপ আর সৎ মার কাছে। আর শুরু হইছে ভয়ংকর সব কাহিনি। কাহিনি কইলে হরর মুভির মজা নাই। মাথা নষ্ট ফিল্ম। মাষ্ট সি।

১৩) Thirst'
কোরিয়ান হরর মুভিগুলো মাথা নষ্ট হয়। এটা হরর ড্রামা। তাছাড়া আইডিয়াটা একেবারে ইউনিক। মুলত একটা গির্জার পুরোহিতের কাহিনি। যেকিনা তার বন্ধুর বউকে ভালোবাসে। এক্সপ্রিমেন্ট ভুল হওয়ায় একটা ভ্যাম্পেয়ার তত্ত্ব শুরু হলো। এটাতে মুলত প্রেম ভালোবাসা হতাশা ধৈর্য ইত্যাদি নিয়েই হরর দাড় করানো হয়েছে। খুব ভালো হবে মুভিটি।

১৪)The Brotherwood Of War
আমি এখনো দেখার সময় পেলাম না। কিন্তু যে পরিমান গুনগান শুনছি, না দেখে কই যাব। আবারও উত্তর আর দক্ষিন কোরিয়ার যুদ্ধ। মোটামুটি যুদ্ধটাই এর প্রানকেন্দ্র। কিন্তু এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে দুই ভাইয়ের অসীম ভালোবাসার ভিতর দিয়ে।

১৫)Memories Of Murder
সুপার মুভি। এককথায় অসাধারন। কোরিয়ান ফিল্ম মানেই আবেগ। আর এটাতে আছে পর্যাপ্ত সাস্পেন্স। একজন সিরিয়াল কিলার, যে একের পর এক খুন করছে কিন্তু কোন ক্রু নেই। আর সেই কিলারকে ধরার জন্য দুজন পুলিশের কার্যপদ্ধতি নিয়েই এই মুভি।

১৬)The Man From Nowhere
চরম একটা আকশ্যন মুভি। এক নিসংগ যুবকের , নিস্তব্দ জীবনের একমাত্র বন্ধু হলো প্রতিবেশী ছোট্ট মেয়েটি। মায়ের ড্রাগ ব্যবসায়ের ফালতামির জন্য মা, মেয়ে উভয় কিডন্যাপ হলো। আর প্রতিশোধের আগুনে জলে উঠলো নিসংগ যুবক। তার এই যুদ্ধ শুধু সঙ্গি পিচ্চি মেয়েটার জন্য।

১৭)Lady Vengeance
এটা মুলত Vengeance ট্রিওলজির একটা। মাথানষ্ট রিভেঞ্জ।শিশু অপহরনের মামলায় ১৩ বছরের জেলে যায় নায়িকা। কিন্তু আদৌও তিনি কাজটা করেনি।জেল থেকে বের হয়ে সহকারাবন্দী একজনের সাথে সে ছক আকতে থাকে। প্রতিশোধ পারায়ন হয়ে খুজে বেড়ায় তাকে যার জন্য বিনা কারনে ১৩ বছর তাকে জেল খাটতে হলো।

১৮)Sympathy for mr. Vengeance
এটা মুলত Vengeance ট্রিওলজির এর প্রথমটা। এটাও একটা বোম্ব মুভি। বোনের কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু কোথাও কিডনী পাওয়া যাচ্ছে না। আর কিনতে দরকার টাকা। কিন্তু পাবে কোথায়। তাই অপহরন করা হলো, নিজের অফিসের বসের মেয়েকে। ঝামেলা হলো শুরু, শুরু হলো রিভেঞ্জ।

১৯)Windstuck
নায়িকা হলো পুলিশ নায়ক হলো শিক্ষক। একদিন ভুল করে নায়ককে ধরে ফেলে নায়িকা, পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়, কিন্তু ততক্ষনে জড়িয়ে গেছে আরেকটা ঝামেলায় নায়িকা। মাফিয়াচক্রে। সাহায্য করলো নায়ক।পরে আবার অন্য ব্যাপারে সাহায্য করলো। এর এভাবেই আপন হয়ে গেল। একটা কিন্তু থেকে গেল ?

২০)Spring, Summer, Fall, Winter And Spring
কিম কি দুক ফিল্ম । সত্যি কথা বলতে কি এই মুভির নামের অর্থই আমি বুঝি নাই। মুভি বোঝারতো প্রশ্নও ওঠেনা। একটা নির্জন এলাকা, যেখানে ৪ টা মাত্র ঋতু। সেখানে একজন পুরোহিন ও তার সহকর্মি,ছাত্র এক বালক কে নিয়েই কাহিনি। সেখানে এক মেয়ের উপস্থিতি পুরো গল্প বদলে যায়।

২১)Mother
অসাধারন একটা ড্রামা, গল্পের ধরনটাই অদ্ভুত। এক মা আর ২৮ বছর ছেলের সাথে থাকে। ঘটনাচক্রে একদিন তাদের প্রতিবেশি মেয়ে মারা যায়। আর দায় পরে ছেলের উপর। কিন্তু মা জানে যে তার ছেলে নিষ্পাপ। কিন্তু তিনি তা কাউকে বোঝাতে না পেরে শেষ্মেষ নিজেই ছেলেকে নিষ্পাপ প্রমান করে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য ঊঠে পরে লাগেন।

২২)I'm A Cyborg,But Thats Ok
Vengeance ট্রিওলজির পরিচালকের একটা এক্সপিয়েন্ট মুভি বলা যেতে পারে। আমি এখনো দেখিনি। কিন্তু এটা নিসন্দেহে ভালো। মুলত একটা পাগল মেয়ে নিজেকে সাইবর্গ হিসেবে দাবী করে। পাগলাগারদে থাকাকালিন সময়ে সে খায় না, ঘুমায় না। রেডিও ট্রান্সমিশন দ্বারা শকড দেয় নিজেকে, নিজেকে মেশিং ভেবে চার্জ় দেবার লক্ষে। এভাবেই এগোয় মুভি। কমেডি আর রোমাঞ্চের একটা অদ্ভুত মিশেল।

২৩)Poetry
একটু স্লো আর পিওর ড্রামা। এক বৃদ্ধা আর তার নাতির গল্প। বৃদ্ধার শখ, একখানা কবিতা লেখার। আর তার কান্ড জ্ঞানহীন নাতী বন্ধুদের নিয়ে সহপাঠি মেয়েকে খুন করলো। ছেলেদের বাবারা এই ক্রাইম ঢাকা দেবার জন্য কত কিছু করছেন, যথেষ্ট পরিমান টাকাও জোগাড় করে ফেলেছেন। কিন্তু বৃদ্ধা কিছুই করলো না।

২৪)Time
কিম কি দুক ফিল্ম। অসাধারন। মেয়েরা যে কতবড় ছাগল তা এটা দেখলে জানা যায়। মাইয়ার হঠাত মনে হলো একইরকম চেহারা দেখে যদি তার প্রেমিক বিরক্ত হয়ে যায়, তাই সে নিজের চেহারা পরিবর্তন করে ফেললো। কিন্তু গাধী কাউকে না জানিয়ে কাজটা করলো। কিন্তু প্রেমিকেরতো তার প্রেমিকাকেই ভালো লাগতো।এটাকে যে একদম ভালো লাগছে।

২৫)Samaritan Girl
কিম কি দুক ফিল্ম।আরেকটা মাষ্টার পিচ। অসাধারন।দুই বান্ধবী, একটা টুরে যাবার লক্ষে, টাকা রোজগারে নামে। একজন পতীতাবৃত্তির আশ্রয় নেয় অন্যজন তাকে এই কাজে সাহায্য করে। পুলিশের বিভিন্ন চাপের মুখে বান্ধবী আন্তহত্যা করলে, প্রথম বান্ধবী টাকা ফিরিয়ে দেবার জন্য উঠে পরে লাগে।

২৬) The Bow
আরেকটা কিম কি দুক ফিল্ম । এবং বরাবরের মত এটাও মাথা নষ্ট ফিল্ম। এবং এটাতেও সংলাপ খুবই কম। এক ৬০ বছরে বুড়োর উপরে মূল গল্পটা। এক মেয়ে ১৬ বছর বয়স । এরা থাকে একটা শিপিং বোটে। এবং পুরো মুভিতে একটা শর্ত আছে তাহলো মেয়ের বয়স ১৭ হলেই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে। কিন্তু ?
২৭) The King And The Clone
মোহনার মতে সেরা ১০ এর ভিতরে এটা একটা। গল্প শুনে আমার কাছে ইন্টারষ্টেটিং লাগলো। রাজ্যসভা নিয়ে অপমানজনক কথা বলার জন্য দুজন ক্লোন-কে শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের মুক্তির একটা শর্ত দেওয়া হয় তাহলো রাজাকে হাসাতে হবে। পরে শুরু হয় নানান রকমের কাহিনি। মাষ্ট সি।

২৮) 71: Into the Fire
মারান্তক যুদ্ধের মুভি। এটা উত্তর এবং দক্ষিন কোরিয়ায় সংঘটিত যুদ্ধের একটা অংশের সত্য কাহিনি অবলম্বনে। ৭১ জন ছাত্র যাদের যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তারা কিভাবে একদল প্রশিক্ষনরত অশ্ত্র ও ট্যাংক সমেত যুদ্ধবাহিকে রুখে দিল তারই গল্প।

২৯) Castaway on the moon
মোহনার কথামত, মুভিটি বেশ ভালো এবং বিনোদনমুলক। আমি এখনো দেখিনি।আন্তহত্যার লক্ষে একজন নদীতে ঝাপ দেয়। কিন্তু স্রষ্টার অনিচ্ছার তার মৃত্যু ঘটেনা। এবং জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে আবিষ্কার করে শহরের পার্শবতী একটি দ্বিপে। কিন্তু লোকটা সাতার না জানায় ফের শহরে ফিরতে পারছেনা। তাই সে ভাবতে বসলো। কি করা যায়। আর শহরের জালনা দিয়ে একটা মেয়ে তাকে দেখছে।

৩০) Christmas In August
আমি দেখিনি। মোহনার কড়া রেকমেন্ড। নায়ক ফটোগ্রাফার, ছবি তোলাতে পরিচয় নায়িকার সাথে। ধিরে ধিরে ভালোবাসা। কিন্তু নায়ক আক্রান্ত মরনব্যাধিতে। তাই সে নায়িকা কে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। আবার ছেড়েও থাকতে পারছেনা।

৩১)The Isle
কিম কি দুক ফিল্ম। অদম্য ভালোবাসার করুন গল্প। একটা ফিসিং রিসোর্টের মালিক একটা মেয়ে। ওইখানে বেশ কয়কজন মানুষমিলে থাকে, কেউ মাছ ধরে, কেউ ভিন্ন কিছু। একদা একলোক আসে যে ক্রিমিনাল। মালিক মেয়েটি প্রেমে পরে যায় ক্রিমিনালের। শুরু হয় অস্থির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ঘটতে থাকে দুর্ঘটনা যার একমাত্র কারন এই ভালোবাসা।

৩২) Failan
কান্নাকাটির মুভি। রোমান্টিক ফ্যানদের জন্য হাইলি রেকমেন্ডেড। এটা জাষ্ট একটা নির্ভেজাল প্রেমের কাহিনি কিভাবে ভেজালে জড়ায় তার গল্প। সাদাসিধে কিন্তু একদম অন্যরকম একটা আইডিয়া। একটা নাদুশ নুদুশ রমনী আর একজন গাংষ্টারের ভালোবাসার গল্পগাধা। বিবর্ন একটা সময়ে তুলে ধরা হয়েছে।

৩৩) Bad Guy
কিম কি দুক ফিল্ম। অসাধারন।পোষ্টার দেখেই মাথা আউলায়।এটা মুলত একজন লোকের গল্প যে নায়িকাকে পতীতালয়ে দিয়ে আসে। এবং অপরাধবোধে ভুগে তাকে সেখান থেকে মুক্ত করবে বলে ভাবছে। যদিও লোকটার থেকে পরিচালনা আর নায়িকাই গল্পটাকে ধরে রেখেছে।

৩৪) Sad Movie
মুভিটির নাম প্রথম মোহনার কাছে শুনি। পরে ব্লগেও পাই। এটা মুলত খন্ড খন্ড ভালোবাসা নিয়ে একটা ফুল মুভি। আলাদা আলদা করে অনেকগুলো ভালোবাসার একটা মিশ্রন। এরকম অনেকগুলো মুভি দেখলেও আমার কাছে এটাই সবথেকে সার্থক মনে হয়েছে। তাছাড়া স্পেশালি কোরিয়ানদের আবেগও রয়েছে। আলাদা করে গল্প বলছিনা।

৩৫) Tokyo!
এটা একটা মাথা নষত মুভি। তিনজন আলাদা আলাদা পরিচালক এটা পরিচালনা করেছেন। আর এখানে তিনটে আলাদা আলাদা গল্প। একের ভিতরে তিন। খুব ভালো। ড্রামা, রোমাঞ্চ,ক্রাইম।

৩৬) Lovers Concerto
অনেকদিনপর নায়ক ফিরে এসেছে তার ২ মেয়ে বন্ধুর কাছে। যাদের একজনকে সে ভালোবাসতো। মেয়েটাকে দেখেই ভালোলেগেছিল নায়কের। মিশুক ছেলে, অল্পতেই বন্ধুত্ত করে ফেলল। নায়িকা ও তার প্রধান বন্ধু নায়কের খুব কাছের মানূষ হয়ে গেল। প্রথাগত ঝামেলায় সব কিছু এলোমেলো হতেই হলো বিচ্ছেদ। আলাদা হয়ে গেল পরষ্পর।


৩৭) Il Mare
মাথা নষ্ট আইডিয়া। মাথা খারাপ করা মুভি। সমুদ্র তীরবর্তি একটা বাসা নিয়েই মুল গল্প। একই বাসায় ২ বছর আগে পরে নায়ক নায়িকা থাকে। নায়ক ১৯৯৭ সালে এই বাসায় থাকে, আর ১৯৯৯ সালে নায়িকা। কিন্তু বর্তমান হলো নায়কেরটা আর নায়িকা ২ বছর সামনের সময়ে থাকে। সময় এক, কিন্তু নায়কের সাল হলো ৯৭ আর নায়িকার সাল হলো ৯৯। এবং তারা দুইজনে চিঠি চালাচালি করে বর্তমান আর ভবিষত কানেক্ট করে। আর এই সব কিছুই সম্ভব হয় একটা রহস্যময় মেইলবক্সের দ্বারা।

৩৮) Ditto
এইটাও মাথানষ্ট ফিল্ম। এইডা আর Il Mare এর আইডিয়াতে কিছুটা মিল আছে। মুভিটাতে নায়ক নাকিয়া দুইজন amateur radio ব্যবহার করে যোগাযোগ করে, ধীরে ধীরে হয় ভালোবাসা। এবং দুইজন একই ইউনিভারসিটিতে পরে। কিন্তু একজন ১৯৭৯ সালে, আরেকজন ২০০০ সালে। একটা স্পেশাল ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে এদের যোগাযোগ হয়। নায়িকাডা মাথা নষ্ট।

৩৯) ... Ing
এটাও নাকি মাথানষ্ট টাইপ মুভি। এক নাদুশনুদুশ মেয়ের জীবনে নেমে আসে বন্ধুত্ত। আর সেখান থেকে প্রেম। শির শিরে প্রে্মময় দিন যায়। আর আসে ঝড়। সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। আর এলোমেলো তাত্ত্বিকতা নিয়েই এই ফিল্ম।

৪০) The Yellow Sea
নেশাখোর,জুয়ারী,দেনাদার টাক্সি ড্রাইভার। মাফিয়া চক্রে প্রস্তাব পেল, খুন করে দিতে পারলে সে টাকা পাবে যা দিয়ে দেনা শোধ করা সম্ভব। তাই সে রাজী হয়ে, দুটো লক্ষ পুরনে ছুটলো কোরিয়ায়। প্রথম লক্ষ খুন, পরের লক্ষ তার বিশ্বাসঘাতিনী স্ত্রিকে খুজে বের করা। কোরিয়ায় এলে কিভাবে যেন সব এলোমেলো হয়ে গেল। জরিয়ে গেল অনেক ঝামেলায়।

৪১) The Warrior
এই নায়কটারে আমার মনে ধরছে, ওয়াক টু রিমেম্বার আর ডেইজি দেইক্ষা। এইটা এপিক মুভি।ঢাল,তলোয়ারের একশন। ১৩৭৫ সালে, ৯ জন Koryo যোদ্ধার কাহিনি। ওরা চিনের সুন্দরী রানীরে উদ্ধারের উদ্দেশ্যে রহনা হয় যে কিনা মোংগোলদের কাছে বন্দি।

৪২) A Millionair's First Love
প্যান্ট খুইল্লা খুইল্লা পরে কিছু বড়লোকের পোলা আছে না, নায়কটাও এমন। কিন্তু তার বাপ মরার আগে একটা ভাল কাজ করছে শর্ত দিয়ে। সেই শর্ত রক্ষার্থে, পোলায় গেল গ্রামে। যাইয়াতো এক মাইয়ারে মনে ধইরা গেল। আর শেষের কবিতার অমীতের মত নিজেরে আবিষ্কার করলো। ভালোবাসার পাংকায় লাগছে বাতাস। কিন্তু বাধলো ঝামেলা। মাইয়া পরছে ঝামেলায়। পোলা সকল অর্থসম্পত্তির মায়া ছাইরা দিয়ে, মাইয়ার লগে থাইক্কা গেল।

৪৩) Secret Sunshine
ড্রামা মুভি। Sin-ae নায়িকা। তিনি তার সন্তানসহ তার মৃত স্বামীর জন্মস্থানে গেল একটা বিশেষ কাজে। কাজ শেষে যখন সে ফিরে আসবে, নতুন করে সব কিছু গোছাবে ভাবছে তখন মৃত্যুসম্নধিয় আরেকটা ঘটনা ঘটলো। আর গল্পের মোড় গেল ঘুরে।

৪৪) More Than Blue
অনেক শুনেছি এটার কথা। এবার দেখার পালা। কান্দন-কাটন মুভি। নায়ক না্যিকা, পরষ্পর খুব ভালো বন্ধু থাকে। নায়ক মহাসয় একটু দুর্বল থাকেন নায়িকার উপরে। কিন্তু মরনব্যাধি কান্সারে আক্রান্ত নায়ক। নায়িকা কষ্ট পাবে ভেবে সে একথা তাকে জানায় না। আর দুজন মিলে খুজতে থাকে বান্ধবীর জন্য একটা পারফেক্ট প্রেমিক। খুজেও পায়। ঘনিয়ে আসে নায়িকার বিয়ের দিন।

৪৫)Bedevilled
মাথা পুরা আউট করে দিছে মুভিটা।চরম থ্রিলার।নায়িকা Kim Bok-Nam কে নিয়েই মুভির গল্প।তিনি অফিসের কাজে একটা ছোট আইল্যন্ডে যায় তার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে। পুরো আইল্যন্ড জুড়ে তিনিই একমাত্র যুবতী মেয়ে। তিনি বুঝতে পারে পরিস্থিতি ঘোলাটে। সব কিছু কেমন যেন ফাদ পাতানো মনে হয়। তিনি পালাবার বৃথা চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষটা কি ?
৪৬)Treeless Mountain
আহারে কি আইডিয়া। খুবই জোশ একটা গল্প। ২ পিচ্ছি। দুইটাই মেয়ে। সম্প্রতি ওদের মা ওদের একলা বাসায় ফেলে গেছে,ওদের ছেড়ে যাওয়া বাবার খোজে। আর মেয়ে দুটো একজন আরেকজনের কেমনে খেয়াল রাখছে, খাইয়ে দিচ্ছে। উহ মারান্তক ড্রামা।

৪৭) A Bittersweet Life
চরম একটা থ্রিলার। কিন্তু দেখা হয় নাই। শুনেছি এবং জেনেছি এটার নকল হলো হিন্দি Awarapan। এটা দেখা, এবং দেখে ভালোও লেগেছিল। কিছুদিন পরে হয়তো দেখে নিব। এই নায়কটা ভালো অভিনয় করে। মুভিটাও মাষ্টার পিচ নিশ্চিত।

৪৮) Speedy Scandal
চরম কমেডি। একজন ৩০ বছর বয়সী রেডিও আরজে হঠাত করে একটা স্ক্রান্ডেলে জড়িয়ে যায়। তাহলো তার থেকে ৭-৮ বছরের ছোট একটা মেয়ে এসে তার মেয়ে হিসেবে পরিচয় দিচ্ছি।মেয়েটারও একটা বাচ্চা আছে। সেইটে নাকি তার নাতী। ওমা, এ আবার হয় নাকি ?

৪৯) Sunny (2011)
আমি পুরোটা দেখিনি। ব্যস্ততার কারনে। অথচ মুভিটই বেশ ভালো।এটা মুলত বন্ধুত্তের জয়গান করে। এখানে নায়িকা নতুন কলেজে এসেই বন্ধু জুটিয়ে ফেলে। ওদের আনন্দ,সময় পার,আড্ডাবাজি, বিরহ সব থাকে। পরে মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় স্বামী,সংসার সন্তান থাকে। সন্তানের আনন্দ দেখে তার পুরোনো দিনের কথা মনে পরলে সে আবার পুরোনো বন্ধুদের খুজতে বের হয়।

৫০) Jeon Woo Chi / Woochi
মোহনার চাপে পরে দেখলাম। কোরিয়ানরা সুপারহিরোও বানিয়েছে। ফাটাফাটি বস। এক কথায় অনবদ্য। টেকনোলজি, একশ্যন, কিছু কমেডি, সব থেকে আলাদা হলো একটা ইউনিক সুপার হিরো প্লট।



@@@@@@@@@@@@@

এই পোষ্ট ৫০ টা দিলাম। পরের পোষ্টে আর ৫০ টা দিব।


সকল মুভিগুলো আমার ডাউনলোড করে দেখা।

মুভিগুলো ডাউনলোড করতে।
এই সাইটটি প্রবেশ করুন।

এখানের সার্চ বক্সে সার্চ করে দেখুন।

তাছাড়া সাইটটিতে রয়েছে ওয়েবের সব থেকে বড় কোরিয়ান মুভির মিডিয়াফারের ডাটা।

এখানে গিয়েও দেখতে পারেন
১৯টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×