রাজনৈতিক দল এলডিপির নির্বাহী সভাপতি কনরাউল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্থুতি নিচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা যেন পালাতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসন যে জনগণের তা আমরা দেখতে চাই। বৃহস্পতিবার নতুন দল ঘোষণার পর দলে যোগদানকারীদের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানাতে গতকাল বিকেলে বারিধারায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে যোগদানকারী এমপিদের বাসভবনে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, আনোয়ারুল কবীর তালুকদার, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, রেদোয়ান আহমেদ এমপিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির যুগ্গ্ম মহাসচিব তারেক রহমানসহ বিএনপির দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর সমালোচনা এবং প্রধানমন্ত্রীকে স্টৈ্বরাচারী অভিহিত করে অলি আহমদ বলেন, 'বেগম জিয়ার স্টৈ্বরাচারী চরিত্র আগে থেকেই জানতাম। অধ্যাপক বি চৌধুরী ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সঙ্গে তিনি স্টৈ্বরাচারী আচরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টার আচরণে মনে হয় তিনি বাঘের মুখে হাত দিয়েছেন। এবার তাকে জবাব দিতে হবে। সেই দিন আর এই দিন এক নয়। আমার কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত দিলে প্রয়োজনে তার প্রতিবাদ আমরাই করব।'
অলি আরো বলেন, যারা গণতনে্পর কথা বলে, তারা যে কত বড় স্টৈ্বরাচারী হতে পারে, তাদের ছেলে যে কত বড় দুর্নীতিবাজ হতে পারে এটা বলে শেষ করা যাবে না। এলডিপির আত্নপ্রকাশের পর সারাদেশে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। সবাই আমাদের সাহস দিচ্ছেন। দল ঘোষণার পরই সারাদেশে ২ হাজার নেতাকর্মী এলডিপিতে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামেই আছে ১ হাজার নেতাকর্মী। তিনি বলেন, 'যারা এখনো বিএনপিতে আছেন, তারা হয় বোবা না হয় কানে শোনেন না।' বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, 'তারা আমাদের সঙ্গে খেলছে। আমরাও খেলব। তবে মনে রাখবেন আমরা কিন্তু নতুন খেলোয়াড় নই।'
এলডিপি সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মন্তব্য সম্পর্কে অলি আহমদ বলেন, দুর্নীতিবাজরা কখনো মূল স্রোত হতে পারে না। বিষ্ঠা, নোংরা আর্বজনা দিয়ে কখনো মূল স্রোত হয় না। দুর্নীতিবাজ ও তাদের সন্তানরা এ দেশের নেতৃত্ব দেবে, কেউ যুবরাজ হবে_ এটা দেশবাসী চান না।