somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাঙ্গামাটির পর্যটন এলাকা গুলো এবং আমার দেশের রূপ

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘুরতে ভালবাসেন? চলুন আজ আপনাকে নিয়ে যাব রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গুলোতে (একদম বিনা পয়সায়)।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে চট্টগ্রাম বদ্দারহাট হতে বাস যোগে কাপ্তাই যেতে হবে। কাপ্তাই বিপিডিবি রিসিভসন গেইট হতে অনুমতি নিয়ে স্পিলওয়ে দেখতে যেতে হবে। অবস্থান-কাপ্তাই।

কর্ণফুলী হ্রদ নৌ-ভ্রমণের জন্য রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও পর্যটন ঘাটে ভাড়ায় স্পীড বোট ও নৌযান পাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা। অবস্থান-কাপ্তাই উপজেলা।

পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি ‘পর্যটন কমপ্লেক্সে’ যাওয়া যায়। এখানে গাড়ি পার্কিং-য়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সার্ভিস বাসে করে আসবেন তাদের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সাযোগে রিজার্ভ করে (ভাড়ার পরিমাণ আনুমানিক ৮০-১০০/-) যেতে হবে। অবস্থান-তবলছরী ডিয়ার পার্ক, তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি।

সুবলং ঝর্ণা রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা।অবস্থান- শুভলং, বরকল উপজেলা।
উপজাতীয় যাদুঘর যাদুঘরটি সকলের জন্য উম্মুক্ত। অবস্থান-রাঙ্গামাটি সদর।

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা) বাস, মাইক্রো, অটোরিক্মা, ইঞ্চিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রো বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই নতুন বাজার যাওয়ার আগে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান গেটে নামতে হবে। অবস্থান-কাপ্তাই উপজেলা।

পেদা টিং টিং রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই যাওয়া যায়। অবস্থান-কাপ্তাই হ্রদ ।

টুকটুক ইকো ভিলেজ রাঙামাটি শহর থেকে টুক টুক ইকো ভিলেজে যাওয়ার জন্য শহরের রিজার্ভ বাজারের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রয়েছে নিজস্ব বোটের ব্যবস্থা। জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। অবস্থান-জেলা সদরের বালুখালী ইউনিয়নের কিল্ল্যামুড়া এলাকা।

যমচুক রাংগামাটি জেলা সদর থেকে দেশীয় ইঞ্জিন বোটে খারিক্ষ্যং, ত্রিপুরাছড়া এবং মাচ্চ্যাপাড়া হয়ে প্রায় ৪ ঘন্টা পায়ে হেটে যমচুক এলাকা যাওয়া যায়। যমচুগ এলাকাটি থেকে পুরো বন্দুক ভাংগা এলাকায় অবলোকন করা যায়। অবস্থান-বন্দুক ভাংগা ইউনিয়ন।

শ্রদ্ধেয় বনভান্তের জন্ম স্থান মোরঘোনায় স্মৃতি স্তম্ভ ও স্মৃতি মন্দির(নির্মাণাধীণ)। রাঙ্গামাটি শহর থেকে রাঙ্গামাটি-আসামবস্তী -কাপ্তাই সড়কে বড়াদম পর্যন্ত যে কোন যানবাহনে যাওয়া যায়। অবস্থান-রাঙ্গামাট সদর উপজেলাধীন ২ নং মগবান ইউনিয়নের বড়াদম নামক জায়গায় এর অবস্থান।

রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস ১নং বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড ডাকবাংলো, চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কের পাশ ঘেষে রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস অবস্থিত। গাড়ী থেকে নেমেই মাত্র ১০ গজ সামনে। ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারবেন। অবস্থান-১নং বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড ডাকবাংলো, চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কের পাশে।

রাইংখ্যং পুকুর যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-ঢাকা থেকে শ্যামলী, মডার্ণ ও এস.আলম বাসে করে কাপ্তাই এসে কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি আসবেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে বিলাইছড়ি আসা যায়। কেউ চট্টগ্রাম থেকে বিলাইছড়ি আসলে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রথমত কাপ্তাই জেটিঘাটে আসবেন। প্রতিদিন সাড়ে ৭ টায় রাঙ্গামাটির তবলছড়ি ঘাট থেকে ইঞ্চিনবোট যাত্রী নিয়ে সকাল ১০ টার মধ্যে বিলাইছড়ি পৌছেঁ। ওই বোটটি আবার বিলাইছড়ি থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। এটি বিলাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত হলেও বিলাইছড়ি-ফারুয়া হয়ে এখানে যোগাযোগ করা অত্যন্ত কষ্টকর। কেউ চাইলেও পায়ে হাঁটা ছাড়া বিকল্প নেই। বিলাইছড়ি থেকে বড়থলি যেতে প্রায় ৭ দিন সময় লাগে। তাই এখানকার লোকজন বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা দিয়ে এখানে আসা-যাওয়া করে। অবস্থান-বড়থলি ৯নং ওয়ার্ড, ফারুয়া ইউপি, বিলাইছড়ি উপজেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

নির্বানপুর বন ভাবনা কেন্দ্র রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি রোড এর পশ্চিম পাশে কুতুকছড়ি নামক স্থানে প্রতিষ্ঠাতা হয়। রাঙ্গামাটি সদর হতে কুতুকছড়ি ১৫ কিলোমিটার। উক্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নানাবিধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ প্রতিবছর দানোত্তম কঠিন চিবরদান উদযাপন করা হয়। এতে কয়েক হাজার পূন্যার্থী সমাগম হয়। বন ভাবনা কেন্দ্রে সড়ক পথে গাড়ী যোগে সরাসরি যাওয়া যায়। অবস্থান-কুতুকছড়ি. সদর, রাংগামাটি।

রাজবন বিহার যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-টিটিসি রোড দিয়ে কিংবা রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম এর পাশের রাস্তা দিয়ে অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়ি কিংবা অন্য কোন মটরযানে রাজবন বিহারে যাওয়া যায়। নৌপথে বিভিন্ন বোটযোগেও এখানে যাওয়া যায়। অবস্থান-রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়িযোগে কে.কে.রায় সড়ক হয়ে হ্রদের এই পাশে যেতে হবে। অতঃপর নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যাবে। কাপ্তাই হ্রদের মাধ্যমে নৌপথেও এ স্থানে আসা যায়। অবস্থান- রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

উপজাতীয় টেক্মটাইল মার্কেট যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-শহরের যে কোন স্থান থেকে অত সহজেই এখানে যাওয়া যায়। অটোরিক্মা বা প্রাইভেট গাড়ি ইত্যাদি যাতায়াত মাধ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। দুরত্ব অনুযায়ী ভাড়া পড়বে। অবস্থান-তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

ফুরমোন পাহাড় শহর থেকে অটোরিক্মা কিংবা অন্য কোন মটরগাড়িযোগে পাহাড়ের পাদস্থলে যাওয়া যাবে। পরে হেঁটে পাহাড়ে উঠতে হবে। অবস্থান-রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য রাঙ্গামাটিতে রয়েছে সরকারী বেসরকারী অনেকগুলো হোটেল ও গেষ্ট হাউজ। তাছাড়া আরো কিছু বোডিংও রয়েছে থাকার জন্য। বোডিংগুলোতে খরচ কিছুটা কম তবে থাকার জন্য ...................মানিয়ে নিতে পারলে থাকবেন। নিন্মে কয়েকটি হোটেল এর বর্ননা দেয়া হলোঃ

(১) পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স

১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১৭২৫ টাকা
৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৮০৫ টাকা
যোগযোগ
ফোনঃ ০৩৫১-৬৩১২৬ (অফিস)

(২) হোটেল সুফিয়া

২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ৯০০ টাকা (একক), ১২৫০ (দ্বৈত)
৩৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৬০০ টাকা
যোগাযোগ
০৩৫১-৬২১৪৫, ৬১১৭৪, ০১৫৫৩৪০৯১৪৯

(৩) হোটেল গ্রীন ক্যাসেল

৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১১৫০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত
১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭৫০ হতে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত
যোগাযোগঃ
০৩৫১-৭১২১৪, ৬১২০০, ০১৭২৬-৫১১৫৩২, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬
(৪ ) মোটেল জজ
কলেজ গেইট, রাঙ্গামাটি। ভাড়া জানি না। ফোনে একটু টাকা খরচ করেন ফ্রি বলছি তাই সব ফ্রি হবে নাকি? ০১৫৫৮৪৮০৭০১।
(৫) হোটেল আল-মোবা
নতুন বাস স্টেশন, রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি। ০১৮১১৯১১১৫৮।
(৬)হোটেল মাউন্টেন ভিউ
সিদ্ধি ভবন, পর্যটন সড়ক, রাঙ্গামাটি। ০১৫৫৩৪৪০৩২৪ । ছবি দিতে পারমু না ভাই। মাফ না করতে ইচ্চা করলে কইরেন না।
১ম পর্ব
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×