somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যুর দিকে ধাবমান এক নগরী ।। আসিফ

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে যেকোনো সময় এই কংক্রিটের জঙ্গল দেবে যাবে
বিজ্ঞান থেকে দূরে, প্রযুক্তি ব্যবহারে আসক্ত কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে মারাত্মামকভাবে আতঙ্কিত একটি সমাজের পরিণতি কী? দেশ তো দূরের কথা, যারা তার নিজের বাসস্থানকে ভালোবাসে না, সেরকম মানুষের মনস্তাত্বিক গঠন কেমন হয়? যদি আমাদের সোসিও-সাইকো ডাইনামিকস বা সাইকোহিস্ট্রি জানা থাকত বা এগুলো নিয়ে গাণিতিকভাবে চিন্তা করতে পারতাম, তবে ভবিষ্যতের ব্যাপারে কিছু বলা যেত। ৪০ বছরের ঘটনাক্রমের নিখুঁত পরিসংখ্যানিক উপাত্ত না থাকলেও কিছু ঘটনাপ্রবাহের সমন্বয়ের করা গেলে ঢাকা শহরের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কী হবে তার আনুমানিক চিত্র ধারণা করা যেতে পারে[

মহাবিশ্বের মাত্র ৪.৮৩ শতাংশই হলো স্বাভাবিক বস্তু, যা দিয়ে নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহ তৈরি হয়ে থাকে এবং আমাদের চারিদিকে দৃশ্যমান। আর বাকি প্রায় ৯৫ শতাংশই কিছুদিন আগে পর্যন্ত অজানা ও অনুমানভিত্তিক ছিল। তাহলো কৃষ্ণবস্তু ও কৃষ্ণশক্তি যা দীর্ঘসময় ধরে রহস্যাবৃত ছিল আমাদের কাছে। কারণ মহাবিশ্বের গঠন সংক্রান্ত এক গবেষণায় দেখা যায়, ২৫ শতাংশ হলো কৃষ্ণবস্তু বা ডার্ক ম্যাটার আর অবশিষ্ট্য ৭০ শতাংশ হলো কৃষ্ণশক্তি, যা মহাজাগতিক বস্তুগুলোর অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে ক্রিয়া করে মহাবিশ্বকে সম্প্রসারিত করছে। সত্যি এই বস্তুগুলো আছে কি-না হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে তা জানা গেল সম্প্রতি। এখন তার ম্যাপ তৈরির কাজও চলছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মহাবিশ্বের কৃষ্ণবস্তু আসলে বসু-আইনস্টাইন ঘনীভূত অবস্থা ছাড়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা সত্যি হলে বলতেই হবে, বস্তুর এই পঞ্চম অবস্থা আসলে বিশ্বের সবকিছুই তৈরি করেছে। আরো ৪টি অবস্থা হলো কঠিন, তরল, বায়বীয়, প্লাজমা। ১৯২৪ সালে ঢাকা থেকে পাঠানো বসুর প্রবন্ধটি আইনস্টাইন পাঠ করার পরই আইনস্টাইন বসুর পদ্ধতি অনুসরণ করে ভারি বস্বতুকণার ক্ষেত্রে বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যন সৃষ্টি করেন, যার অবশ্যম্ভাবী ফল হলো বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন প্রতিভাস। বসু- আইনস্টাইন ঘনীভবনকে বলা হয় পদার্থের পঞ্চম অবস্থা এবং তা পরীক্ষাগারে প্রমাণের জন্য বস্তুকে পরমশূন্য তাপমাত্রার অতি কাছে শীতলীকরণ করা প্রয়োজন হয়। পরমশূন্য তাপমাত্রার কাছেই পরমাণুর কোয়ান্টাম অবস্থাগুলো চুপসে গিয়ে একটা বিরাট পরম পরমাণু তৈরি করতে পারে, যার অন্তভূক্ত সব কণা আসঞ্জনশীল। এটা ভাবতে সত্যিই ভালো লাগে, মহাবিশ্বর গঠন ও সৃষ্টি সংক্রান্ত আধুনিক গবেষণায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন বসুর নাম জড়িয়ে আছে। সেই ঢাকা শহর এখন কেমন আছে?

বিভিন্ন জায়গায় ডিসকাশন প্রজেক্টের উদ্যোগে বক্তৃতা দিতে গেলে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের পাশাপাশি আরো কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে কিশোর-তরুণরা তাদের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরে নানা প্রশ্ন করেন। কেউ জানতে চান মহাবিশ্ন সৃষ্টির আগে কী ছিল, তার পরিণতিই বা কী? ডাইনোসররা বিলুপ্ত হলো কীভাবে? ডায়নোসররা বিলুপ্ত না হলে মানুষ রাজত্ব করতে পারত? ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানের পার্থক্য কী? মানুষে মানুষে এত জটিলতা, এত সংঘর্ষ তা-কি বিজ্ঞান দিয়ে দূর করা যায় না? এই কিশোর-তরুণরা আরেকটি প্রশ্ন করেন তাদের ভবিষ্যৎ চিত্রটি কী? আমিও থমকে দাঁড়াই বিজ্ঞান থেকে দূরে প্রযুক্তি ব্যবহারে আসক্ত কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে মারাত্মক আতঙ্কিত একটি জাতির পরিণতি কী? দেশ তো দূরের কথা, যারা তার নিজের বাসস্থানকে ভালোবাসে না সেরকম মানুষের মনস্তাত্ত্বিক গঠন কেমন হয়? যদি আমাদের সোসিওসাইকো ডাইনামিকস বা সাইকোহিস্ট্রি জানা থাকত বা এগুলো নিয়ে গাণিতিকভাবে চিন্তা করতে পারতাম, ভবিষ্যতের ব্যাপারে কিছু বলা যেত।

বর্তমানে সবকিছুকে বিজ্ঞানের আলোয় ব্যাখ্যা করার প্রবণতা থাকলেও সমাজ বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের মতো ভৌত বিজ্ঞানের আওতাধীন নয়। কারণ সমাজের গতিপথ নির্ধারণ হয় অসংখ্য চলক দ্বারা, যার সবগুলো আমরা এখনো ঠিকমতো জানিও না। যেমন : বিবর্তন সম্পর্কিত জীববিদ্যা, ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং abnormal psychology ইত্যাদি নানা বিষয় জড়িত। ফলে সেগুলো গাণিতিকভাবে সূত্রবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি, কতগুলো ক্ষেত্রে চিন্তা করলে এ কাজটি অসম্ভবই মনে হয় যেমন - মানব প্রকৃতি। সেই কারণেই ভৌতবিজ্ঞানের মতো সমাজবিজ্ঞান দিয়ে ভবিষ্যতের পরিস্থিতি নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করা যায় না। এমনকি জীববিজ্ঞানকেও ভৌত বিজ্ঞানের আওতায় আনতে খুব সফল হয়েছি, তা বলা যাবে না। তারপরও পরিসংখ্যানিকভাবে কতগুলো চলকের মধ্যে সমন্বয় এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারলে কিছু কিছু ভবিষ্যৎ গতিধারা আঁচ করা যায়।

তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী? কারণ একটি দেশের ভবিষ্যৎই সেই দেশের তরুণ প্রজন্মের গন্তব্য। যেখানে প্রতি মুহুর্তে সামাজিক ডাইনামিক্সগুলো পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিয়ন্ত্রণহীন অর্থনীতি, রাজনীতিতে সামরিকায়ন যেভাবে দ্রুত সর্পিলগতিতে অধঃপতনে নিয়ে যাচ্ছে, তা আতঙ্কেরই ব্যাপার। গত ৪০ বছরের ঘটনাক্রমের নিখুঁত পরিসংখ্যানিক উপাত্ত না পাওয়া গেলেও ঢাকা শহরের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ, কী হতে পারে তার আনুমানিক চিত্র আঁকতে পারি।

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাতো দূরের কথা, কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনই বাস্তবায়ন করতে পারিনি পারিনি আমরা। ফলে বিজ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্ন। সপ্তম, অস্টম, নবম, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা যে প্রিক জ্যামিতি বা গণিত শেখে তার বেশিরভাগই ভুল, যদি আমরা একে প্রকৌশলীক ড্রয়িং না ভেবে যৌক্তিক প্রক্রিয়া শেখার উপায় বলে মনে করি। যখন এসএসসি ও এইচএসসির ঘোষিত ফলাফল নিয়ে বিকৃত আনন্দে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া মেতে ওঠে তখন যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতা, সেতু বানানোর প্রকৌশলীক দক্ষতার অভাব, র‌্যাংগসের মতো একটি ভবন ভাঙার অযোগ্যতা, ডাক্তার হতে চা্ওয়া সেরা ছাত্রগুলোর মানসিক সংকীর্ণতা, অমানবিকতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষাব্যবস্থা, ইতিহাসবিমুখ এক সমাজের কথা, যা চূড়ান্তভাবে একটি শহরের ওপর নির্ভরশীল। আর তাহলো ঢাকা শহর। বাংলাদেশের রাজধানী। অথচ সেই শহরের কোনো অবকাঠামোই, প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো দূরের কথা, একটি ভবন ধসে পড়লে, আগুন লাগলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বা তার ব্যবস্থাপনাও আমাদের নিয়ন্ত্রনেও নেই।

চরম বিজ্ঞানবিমুখতা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত মানুষের সমাজ কেমন হতে পারে? সেই সমাজ একটা নগরকে কতটা ধ্বংসের মুখে নিয়ে যেতে পারে তা ঢাকা শহরের স্থবির ও ক্ষয়িষ্ণু রূপ দেখলে অনুধাবন করা যায় - ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা মহামারী, ভূমিধস, প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক না থাকার কারণে মানসিক প্রতিবন্ধী বা মানসিক বিকৃতির বিকাশ, অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি। ভূমিকম্প এসব বিপদকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। যা মহামৃত্যুর নগরীতে পরিণত হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।

৪০ বছরের পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন-ব্যবস্থার কোনো উন্নতি ঘটাতে পারেনি অথচ আবাসন বেড়েছে ভয়াবহভাবে- প্রায় দেড় কোটি। সেই নিষ্কাশন ব্যবস্থা কখনো কখনো ওয়াসার পানির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে ওয়াসার পানি মুহৃর্তেই ঢাকার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে পারে জীবাণু, যা মহামারী আকারে বিস্তারে সক্ষম। এদিকে পরিবেশ দূষণ এবং অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানি ব্যবহার এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বল্গাহীন বাণিজ্য সেই সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে। মানুষ ভুলে গেছে প্রকৃতির সঙ্গে তার নিগুঢ় সম্পর্কের কথা। খাল-বিল, ডোবা-নালা ভরাট করে ক্ষুদ্র পোকামাকড় থেকে শুরু করে উভচর, সরীসৃপ, পাখি এমনকি স্তন্যপায়ীদের শুধু হুমকির মুখে নয়, একেবারে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। একে অপরের ওপর নির্ভরশীল সমগ্র জীবজগৎ যে বাস্তুসংস্থান নীতির ওপর দাঁড়িয়েছিল তা মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি। সেইজন্য হঠাৎ হঠাৎ বাসাবাড়িতে মারাত্মকভাবে অসস্তিকরভাবে পোকামাকড় বা মশামাছির বৃদ্ধি দেখা যায়। আর অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট তৈরি, অবাধ বহুতল ভবন নির্মাণ এবং তথাকথিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের নামে কংক্রিটের কারাগার তৈরির মাধ্যমে কোটি মানুষের কফিন তৈরি করা হয়েছে। পরিণত হয়েছি নব্য কর্পোরেট কালচারে অভ্যস্ত স্বার্থপর, বিজ্ঞানবোধহীন বিস্তৃত প্রবণ এক জাতিতে। যারা তাদের বাচ্চার খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না অথচ খেলা নিয়ে রীতিমতো জীবন দিয়ে দেয়। একটু খোলা জায়গা বা মাঠ পেলে তাতে ভবন নির্মাণের টালবাহানা শুরু করে। ফলে শিশুরা মাঠে দাঁড়িয়ে দূর দিগন্ত দেখতে পায় না। বড় হয় আবদ্ধ জায়গায় অনেকটা হাইব্রিড মুরগির মতো। দিবা স্বপ্ন রচনা করে ফ্ল্যাটের বারান্দায় আর ধুসর দৃষ্টিতে টাওয়ার দেখে।

মানসিক বিকাশই ঘটছে না প্রকৃতির সঙ্গে বিচ্ছ্ন্নতার কারণে, পরিণত হচ্ছে মানসিক প্রতিবন্ধীতে। একজন গবেষক বলেছিলেন, কীভাবে স্বল্প আয়তনের একটা দেশে এতবেশি মানুষ বসবাস করতে পারে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। স্থানের এত ঘাটটির কারণে প্রকৃতি থেকে এবং নিজস্ব চিন্তাজগৎ থেকে যে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয় তা কী ধরনের সমস্যা তৈরি করে আমাদের মনোজগতে?

ঢাকা শহরের এই কংক্রিটায়নে মাটিকে আড়াল করায় বৃষ্টি বা বন্যার পানিকে না যাচ্ছে জমিয়ে রাখা, না যাচ্ছে পরিপূর্ণ ব্যাবহার (শোষণ) করা। কিন্তু মাটির নিচ থেকে ভূগর্ভস্ট’ পানি উত্তোলন অব্যাহত আছে। ফলে ভূত্বকের নিচে একটি স্তর ফাঁকা হয়ে গেছে ও যাচ্ছে। ওপরের স্তর দেবে গিয়ে সেই শুন্যস্থান পূরণ করতে পারে যে কোনো সময়। অর্থাৎ আমরা এক ভয়ংকর ভূমিধসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানে সকালে উঠে সুনামির ফলে বেঁচে থাকা মানুষ জলোচ্ছ্বাস বা পানি ফুলে নামা-ওঠার দৃশ্যই দেখবে না, দেখবে ধসে পড়া লাখ লাখ মৃত মানুষের এক ভয়াল নগরীকে।

মাঝে মাঝে আচ্ছন্ন অনুভব করি। হোমারীয় চারণ কবিদের মতো ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা ভাবি, কখনো লালনের মতো নিজেকে প্রশ্ন করি আর দেখতে পাই শেকড়ছেঁড়া সব মানুষের দল, কীভাবে বিভ্রান্তির জালে জড়িয়ে ফেলেছে। অথচ শেকড়টা কত উজ্জ্বল ছিল যদি জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল চন্দ্র রায়, রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী, জ্যোতির্বিজ্ঞানের পথিকৃৎ রাধাগোবিন্দ চন্দ্র, জ্যোতি পদার্থবিজ্ঞানের জনক মেঘনাদ সাহা, কোয়ান্টাম পরিসংখ্যান তত্ত্বের জনক সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো বিজ্ঞানীদের ধরি! অথচ শেষটা কতটা ক্লেদাক্ত! ভুল আর বিভ্রান্তিতে ভরা। বিজ্ঞান বোধগম্যহীন জাতির পরিণতি কী হতে পারে তা সব আশা- আকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া ঢাকার অপরিকল্পিত নগরায়নের ভয়াবহতা দেখলে অনুভব করা যায়। আমি হাঁটতে হাঁটতে ভাবি, ইতিহাসবিচ্ছিন্ন বিজ্ঞান বোধহীন একটি জাতির আর কী পরিণতি হতে পারে নিয়তির কাছে সমর্পণ করা ছাড়া।

আসিফ
বিজ্ঞান বক্তা
ডিসকাশন প্রজেক্ট

এই লেখাটি ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বরে সমকালে প্রকাশিত হয়েছিল
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×