পাকিস্তান সফরে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক। আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী আগামী এপ্রিলে পাকিস্তান সফরের সূচি রয়েছে বাংলাদেশের। যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তান সফরে ক্রিকেট দলকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়, তাহলে বিগত তিন বছরের মধ্যে কোনো বিদেশী দলের এটাই হবে প্রথম পাকিস্তান সফর।
গতকাল ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের রেহমান মালিক বলেন, ‘বাংলাদেশ দলকে আমি পাকিস্তানে সাদরে গ্রহণ করব।’ সফরকারী দলের জন্য বক্স সিকিউরিটির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন পাকিস্তনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্রীড়াবিদদের বহন করা যানবাহনগুলো বুলেটপ্রুফ ও বম্বপ্রুফ হবে। এমনকি এই যানবাহনগুলোকে বেষ্টনী দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিরাপত্তাবাহিনীর চারটি বাসও হবে একই ক্যাটাগরির।
বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফর ইস্যুতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি জাকা আশরাফের সাথে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন রেহমান মালিক। আজ তিনি পিসিবি প্রধানের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে বৈঠক করবেন। রেহমান মালিক আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের পুরো নিরাপত্তার বিষয়ে আমি পিসিবি প্রধানকে নিশ্চিয়তা দেবো। একটি স্পেশাল টাস্কফোর্সে ডিজাইনও শেষ করেছি। এরা নিরাপত্তা বিষয়ে একটি জরিপ সম্পন্ন করবেন।’
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে হামলার পর থেকে কোনো আন-র্জাতিক ক্রিকেটের আসর বসেনি পাকিস্তানে। একযোগে সব বিদেশী দল দেশটিতে সফর করতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে গত মাসে চীনের হকি দল পাকিস্তান সফর করে করাচি, লাহোর ও ফয়সালাবাদে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই ম্যাচ খেলেছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে চীনের হকি দলের এই সফল সফর আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে রেহমান মালিককে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুর অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন এটার আরো উন্নতিতে একযোগে কাজ করব আমরা।’
বিগত তিন বছর নিজেদের হোম সিরিজগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলছে পাকিস্তান। এ মাসেই সেখানে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ শুরু করবে। গেল ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরের সময় বিসিবির সাথে দল পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেন পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফ। এরই সূত্র ধরে চলতি মাসে পাকিস-ানে একটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বিসিবি। এই টিমের রিপোর্ট ও সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই কেবল পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নয়া দিগন্ত