বিদঘুটে অন্ধকার রাত্রি দ্বিপ্রহরে হেটে চলা যেমন কষ্টকর এবং দুর্দান্ত সাহসিকতার প্রয়োজন,
আমাদের সমাজটা ও ঠিক তেমনি।
মুল্যবোধ,সম্মানবোধ জিনিসটা কেমন জানি দিন দিন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে,
যাদেরকে দিয়ে সমাজ এবং জাতির উন্নতি হবার কথা তাদেরকে পিছনে রেখে সামনের সারিতে টেনে আনা হচ্ছে অবান্তর মানুষগুলোকে।
যে নিজের ভালমন্দের খবর রাখতে পারেনা সে সমাজ এবং জাতির জন্য কেমন ভালো চিন্তা চেতনা বহিঃপ্রকাশ করতে পারবে?
হ্যা পারবে!!!
পারবে শুধু মুখের শক্তি হাতের শক্তির বহিঃপ্রকাশ করতে।
কিন্তু মুখের শক্তি এবং হাতের শক্তির কতটুকু প্রয়োজনীয়তা আমাদের??
মোটে ও না!!!
বাহু শক্তির প্রয়োজনীয়তা আমাদের নেই,আমাদের প্রয়োজন শিক্ষার শক্তি,মুল্যবোধের শক্তি।
সাধারনত আমাদের সমাজে তিন শ্রেনীর মানুষের বসবাস।
যেমন- মুর্খ বিকৃত মানসিকতার, শিক্ষীত বিকৃত মানসিকতার এবং শিক্ষীত সুস্ত মানসিকতার।
একাধারে প্রথম দু-দল মিলে শেষের দলকে পরাজিত করার প্রয়াস চলে।
আর সেই কারনেই আমাদের সমাজের এই বিদঘুটে পরিস্থিতি।
এই বিদঘুটে পরিস্থিতিতে সুস্ত মানসিকতার মানুষগুলো নিজের অভিব্যাক্ত প্রকাশ করার মত কোন প্লাটফর্ম খুজে পাচ্ছে না,আর যদি ও ক্ষেত্র বিশেষে অভিব্যাক্ত প্রকাশ করে তবে তাহাকে দমন করা হচ্ছে বাহু শক্তি দিয়ে নয়তো তাহাকে অপ্রাসঙ্গিক সুত্র দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষিতে সুশীল সমাজ বা সুস্ত চিন্তাধারার মানুষগুলোর ভুমিকা নীরব দর্শকের মত।
এমতাবস্থায় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রতিহিংসা আর বিকৃত মানসিকতার দিকে ঠেলে দেয়া নয় কি??
অবশ্যই!!
এমন ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের কাছে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবো,কারন আমরা ভালো কিছু তাদেরকে উপহার দিতে পারছিনা তাই তাদের কাছ থেকে আমরা ভালো কি আশা করতে পারি।
সুতরাং, এহেন বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে পরবর্তন জরুরী, সুশীল সুস্থ মানসিকতার মানুষগুলোকে পিছনের সারিতে না রেখে সামনের সারিতে বসালে হয়তো আমরা সুস্থ সমাজ আশা করতে পারি।
নয়তো বর্বরতা আমাদের পিছু ছাড়বেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৫