
ভাবতে অবাক লাগে, বিসিবি পর্যন্ত ধমক দিলো সামান্য একটা টুইট করার জন্য! কথা হচ্ছে একজন ক্রিকেটার কি তাঁর মনের অনুভূতিটাও প্রকাশ করতে পারবেন না? আর কারো অসম্মান হয় এমন কিছুওতো তিনি লিখেননি। তিনি শুধু তাঁর মনের অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন মাএ। সেই বিষয়টা নিয়ে বিসিবির এতোটা আগ্রহ কেন? তাহলে কি বিসিবি অন্য কারো সুরে বাঁশি বাজাচ্ছে?
এ পর্যন্ত ক্রিকেট নিয়ে যতো অবিচার করেছে ভারত আমাদের সাথে কই সে ব্যাপারে তো বিসিবির এতোটা আগ্রহ দেখা যায়নি? এইতো সেদিন তাসকিন-সানির বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনালো ভারত, খেলা কাভারেজ করতে যাওয়া ১০ জন সাংবাদিককে হোটেলে জায়গা না পেয়ে তল্পিতল্পা নিয়ে ঘুরতে হলো রাস্তায় রাস্তায়, এব্যাপারে বিসিবির কি কিছুই বলার ছিলোনা? তখন কবি নিরব ছিলো কেন?
পরম প্রতিবেশী ভারতের বিরোধিতা করা যখন পাকিস্তান সমর্থনের সমতূল্য অপরাধ তখন ভারতের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিজয়কে বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে ঈদ-পুজা-বড়দিন-বুদ্ধপূর্নিমার উৎসবের মত উদযাপন করলো, তাতে ভারতের নীতি নির্ধারকদের চিন্তা করার সময় এসেছে যে, কেনো বাংলাদেশের মানুষ ভারতের পরাজয়ে এত আনন্দিত হয়? কি এমন কারন আছে যার জন্যে ভারতকে বাংলাদেশীরা মানতে পারেনা?
অনুগত সরকার, নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া এবং দাস তূল্য সুশীল সমাজ দিয়ে 'ভারত বিরোধিতা'কে বার বার 'পাকিস্তান প্রেম' হিসাবে স্টিগমাটাইজ করার পরও ভারতের পরাজয় সেলিব্রেট করা এখন উপনিবেশিক প্রভূর বিরুদ্ধে পরাধীন উপনিবেশের নাগরিকদের চিরাচরিত আচরণে রূপ নিয়েছে। আর এমনটা হবার পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিক কারনও আছে।
অবশ্য সামরিক শক্তি দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের এই বাস্তবতা অনুধাবনের মত যথেষ্ট বোধ-বুদ্ধি আছে বলে মনে হয়না। বরাবরের মত এবারও তারা এই ভারত বিরোধিতাকে পাকিস্তান প্রেম হিসেবে ব্যাখ্যা করেই দায় সারবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


