somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্দ্রজাল, অদ্ভুত।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২১.০৫.২০১৪
স্থান মাইজদী, নোয়াখালী।

প্রিয় রোজলিন।

ইন্দ্রজাল

তোমারই আত্মার সাথে বসত আমার
সারাক্ষণ চারিপাশেই তো থাক।
কখনোই মনঃ চক্ষুর আড়াল হওনা
তবুও পাংশুটে ছবিটা কেন আঁক।

নিঃশব্দেই আপন করে জড়িয়ে আছ
বাঁধিব কখন, কেন তোমায় বল।
ছলছল নয়নে তামাশার আঁধিয়ার দিয়ে
নিঃসঙ্গ রাস্তায় তুমিই খালিপায়ে চল।

ভাবনার অন্তরালে অবক্ত অবচেতন মনে
তুমিই হাস, খেল মাতিয়ে রাখ খুবই।
আচমকা সাদা ক্ষুদ্রায়তন মেঘ কুয়াশায়
হারিয়ে ভুলবনা মনে রাখব সবই।

অনুরাগে বাড়িয়েছ অনুভবের স্বপ্নিল আয়তন
ভাললাগায় আজ ভালোবাসার নিরন্তরে
হৃদয় আকুল করা অকৃত্রিম সকল সুখের পরশ
বিছিয়ে বিজড়িত করেছ অদ্ভুত ইন্দ্রজালে।


একটা বিষয়ে সে আমায় লাভ ক্ষতির হিসেবের কথা বলছিল। লাভেতো আমিই আছি।

আর আসছেনা। ছন্দের প্রকরণ নিয়ে আলোচনা করলে হয়তোবা উপরের এটা ছড়া না কবিতা? বিজ্ঞগণ মাথা চুলকাবে। জানিনা কিছু ভুল লিখছি কিনা! ভুল হলে ভুলটাই আমার জন্য সঠিক ছিল হয়তবা। নিচের লিখাটা একটা পত্রিকার। এই পত্রিকার সম্পাদক এইটা কপি মারসে। আমি আরোও অনেক আগেই এই লিখাটা অন্য একজায়গায় পড়েছিলাম। ইচ্ছে করল এখানে শেয়ার করি। তাই দিলাম। কোনোও একদিন তোমার চোখে পড়লেও পড়তে পারে......

আর হ্যাঁ ৫০ + ৫০ = ১০০ এভাবেই ভাল। আর যারা অন্যটা (১০০+০=১০০) বলে তারা সময় সারতে শুধুই চাপা মারে। আমিও সব সময়ই চাই পঞ্চাশে পঞ্চাশে একশ হোক। তাই
বলে ভেবনা মুখে মধু অন্তরে বিষ। বলে না ভিতরে সবারই সমান রাঙ্গা। তবে যার যার জায়গা থেকে আলাদা। আমার জন্য সব গুলোই আপেক্ষিক, শুধুই আমি পরম, আদর্শ।


প্রেম-ভালোবাসার ক্ষতিকর দিকের যেমন অভাব নেই, তেমনি উপকারী দিকেরও অভাব নেই। ভালোবেসে কেউ হয়েছে নি:স্ব আবার কেউবা মনের মানুষটিকে নিয়ে সুখ-শান্তিতে ঘর সংসার করছে। এগুলোই ভালোবাসার প্রধান দুটি দিক। এখন আর প্রেম-ভালোবাসা প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ২০ বছর আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। ১৯৮৮সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা রোমান্টিক প্রেমের তিনটি রকমফেরও করেছেন। অন্তরঙ্গতা,
দায়বদ্ধতা, প্রতিশ্রুতি, প্যাশন—সব উপকরণ মিলিয়েই রোমান্টিক প্রেম।বিজ্ঞানীদের মতে ভালোবাসা হচ্ছে রসায়নের খেলা। যা মানুষের শরীরে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন ভালোবাসার ফলে মানুষের মধ্যে অনুরাগ ও আসক্তি এই দুটো জিনিস লক্ষ্য করা যায়। এগুলো মানুষের মনের কোনো বিষয় নয়। ‘এনডোর্ফিন’ নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের কারণে মানুষের মগজে অনুরাগ ও
আসক্তি সৃষ্টি হয়। এই ‘এনডোর্ফিন’ মানুষের দেহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে, ব্যথা উপশম করে, চাপ প্রশমিত করে,
বার্ধক্যের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে। শুধু তাই নয় ব্যায়াম ও শরীরচর্চাকে আরও উদ্দীপ্ত করে এই রাসায়নিক পদার্থটি।
দৌড়বিদদের জন্য এই রাসায়নিক পদার্থটি আরও উপকারী। এই রাসায়নিক পদার্থটির কারণে দৌড়ের সময়
নিজেকে নমনীয় ও শক্তিমান মনে হয় এবং ব্যথা ও অবসন্নতা বোধ ঘটে না যখন ভালোবাসা ও এনডোর্ফিন নিঃসরণ
উদ্দীপ্ত করে ভালোবাসার উষ্ণ যন্ত্রণা বরং শক্তি দেয় মানুষকে।
এনডোর্ফিন তীব্রতর হয়; আরও রাসায়নিক ক্রমে চড়া হয়ে ওঠে, আসে আমোদ উৎপাদক হরমোন রাসায়নিক ‘ডোপামিন’ ও নরইপিনেফ্রিন, এই নিউরোট্রান্সমিটারটি ইতিবাচক প্রণোদনার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ‘রোমাঞ্চকর
ধেয়ে আসা’ কারও জন্য হয় হিতকরী, কাউকে করে বড় উদ্দীপ্ত; কেউ কেউ ভালোবাসাতে হয় আসক্ত। সিক্রেটস অব দ্য সুপার ইয়ং বইটি লিখে খ্যাত নিউরোসাইকোলজিস্ট ডেভিড উইকস বলেন, জীবনসঙ্গী যাঁরা ঘন- ভালোবাসা করেন প্রায়শ; তাঁদের আয়ুবেশ বাড়ে। ডা. মাইকেল ওডেন্ট বলেন, কেবল ঘনিষ্ঠ ভালোবাসা নয়, দৈহিক সংস্পর্শ, নিঃসৃত
করে এনডোর্ফিন; যেমন, হরমোন অক্সিটোসিনও। মানুষের মধ্যে বন্ধন স্থাপনে অক্সিটোসিনের ভূমিকা অনন্য। এই দুটো রাসায়নিক প্রাকৃতিক আফিমের মতো কাজ করে; নেশা ধরায় মনে, আসক্তি টানে, সুস্থিত করে রোমান্টিক সম্পর্ক। অন্তরঙ্গ স্পর্শ, যেমন, হাতে হাত ধরা, হাত ধরে হাঁটা, প্রেমিকের গালে টোকা দেওয়া—এমন আন্তরিক ভালোবাসা শরীরে রোগ প্রতিরোধ অ্যান্টিবডি বাড়ায়; গ্রোথ হরমোনকে প্রণোদিত করে। বিখ্যাত হূদেরাগ বিজ্ঞানী ডিন অরনিশ লিখেছেন, আমাদের অসুস্থ হওয়া ও ভালো থাকা, আমাদের বিষণ্ন হওয়া,
আমাদের সুখী হওয়া—এসব কিছুর মূলে রয়েছে ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতা, আমাদের রোগভোগ ও নিরাময় এসবের মূলেও রয়েছে এই দুটো জিনিস। রোগীর হূদ্যন্ত্র ও রক্তনালির স্বাস্থ্যের! ওপর খাদ্য, ধূমপান, বংশগতি ও ব্যায়ামের যেমন প্রভাব, ভালোবাসারও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব।

লিংক
http://bd24live.com/details/821
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×