দিনটি ছিল ১০ মে,২০১৪। কনো এক ঘটনাক্রমে 'রোজ' এর মন খারাফ ছিল। কারণটা আমায় অবশ্য বলেনি। আমি মাইজদী পার্কের পাশে দখিণামূখী একটি দেয়ালে বসে ছিলাম। সুন্দর মৃদু বাতাস, দীঘি তে ঢেউয়ের ঐক্যতানে জোছনালোকের নিরংকুশ মন মাতানো আআবহ ছিল। স্বর্গের সৌন্দর্য দেখিনি, তবে সে দিনের সকল ককিছুই অপার্থিব ছিল।
অসংখ্য খারাপ অনুভূতির মমাঝে, এএই দিনের আনন্দ, তোমায় অনুভবের কথা আমি কনোও দিন ভুলবনা। তুমি এত মায়াময়ী, আমায় এত কিছু শিখালে, অনেক ঋণী করে রাখলে। জীবনের বহুদূরের পথ, ভীষণ আঁকাবাঁকা, তোমায় পাশে না পেলেও বলতে পারবনা আমায় একা রেখে চলে গেছ। অনেক কিছুই দিয়েছ।
তার এতই মন খারাফ ছিলযে, সাথে বসতে চেয়েছিল। জানিনা তখন, ঐ সময়ে কি ছিল তার মনে। তবে এই লিখাটা পরদিন তারে দেখিয়েছিলাম।
গতকাল তোমার উঁচু দেয়ালে বসার কথা ছিল।
আমর মনে হল কেন জানি দেখিনি। তুমি নিশ্চই
আসছ। তবে সবার অনেকখন অপেক্ষার পর। প্রকৃতির
সবাই ঠিকই দেখেছে। কারণ তারা সবাই
এটাকে নিদারুণ উপোভোগ করছিল। আমি মনে হয়
প্রকৃতির অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান দেখতে পেরেছি।
অপেক্ষায় তোমার।
বিকেলের শেষ আলোটুকুর বিদায় দিয়েছি
অন্ধকারের এখনো অনেক দেরি।
পশ্চিম আকাশে আছে এখনো আলোর বর্ণিল সব খেলা
আবহ-আঙ্গিকে চলছে বিহঙ্গের নীড়ে ফিরেচলা।
অদূরের পশ্চিমপাড় ঘন ঝোপে একটু বেশি অন্ধকার,
জোনাকিরা এখন সন্ধ্যাপ্রদ্বীপ জ্বালানোর অপেক্ষায়
তুমি আসবে, আমার পাশে বসবে,
ক্লান্তি সবার রুপায়িত হবে স্নিগ্ধতায়।
মনে হয় আমি আজ অনেকটা পথ হেঁটেছি
তাই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত এ শরীর-মন।
নিবো? কিছুটা বিশ্রাম, জাগাবো ক্লান্ত এ মনে
ভাললাগা আর উদ্দিপনার শিহরণ।
ঠিক ওপাড়ে গ্রীষ্মের জ্বলন্ত পলাশ চূড়ায় দেখব
অপার সৌন্দর্যের আলোড়ন।
পার্কের সুন্দর পরিপাটি বেঞ্চিতে বসবো
আসবে দক্ষিণা শীতল সমীরণ।
পানকৌড়ি গুলো কি আজ জাতে বেহায়া!
যাচ্ছে না ফিরে। অপেক্ষায় তাদের দৃঢ়তা
তুমি আসবে, সবার সামনে বসবে,
দেখবে আনন্দ সবার পাবে ষোলকলায় পূর্ণতা।
আজ গ্রীষ্ম অপরাহ্নে এই পার্কে যেন উৎসবের মুখরতা
তাইতো বসার স্থানের আছে অপ্রতুলতা ।
খুঁজে পেয়েছি, প্লাস্টার বিহীন সরু পাঁচফুট উঁচু নগ্ন
দেয়ালে বসার অভ্যর্থনায় উষ্ণতা।
এখন আরোও অন্ধকার, উঁকি দেয়ার পালায় তারারা বাড়ছে
আবছা মেঘের ফাঁকে অর্ধ চাঁদটিও হাসছে।
এইতো তোমার পছন্দ।
জানো! সবার মাঝে আজ
সাঁজের বেলায় সীমাহীন আনন্দের অপেক্ষায় প্রতুলতা
তুমি আসবে, হেসে সবার মাঝে বসবে,
উৎসবে মূখরিত হবে আজ সবার সৌভাগ্যমন্ডিত সন্ধ্যাটা।
দক্ষিণা সমীরণ এখন আরোও উদ্দীপ্ত মনরোম প্রাণবন্ত
ঝোপঝাড়ে জোনাকবাতি দূত্যিছটায় সজ্জ্বিত।
সামনে মৃদু ঊর্মিমালার মমতা মাখানো অস্পষ্ট ধ্বনি
নিচে দেয়ালের পাশেই ঝিঁঝিঁরা বাজাচ্ছে চিঁহিচিঁহি সুরের রাগিণী।
চারদিকের কোলাহল নিরব, ঝোপ-আকাশ সব আলোকসজ্জ্বায় প্রস্তুত এখন
অপেক্ষায় সবাই, করবে রাণী ‘রোজ’কে অভ্যর্থনায় বরণ
তুমি আসবে, তুমি-সবাই উঁচু দেয়ালে আমার সাথে বসবে
আশায় দেখাবে, তুমি কি হবে আগামীর স্বপ্ন পূরণ?
তোমায় দিলাম। এইটা কি লিখছি জানিনা।
বানান ভুল না অন্য কোন দোষ নিওনা।