কোনো দাবিই শাসকগোষ্ঠী সাধারণত নিরবে মেনে নেয় না। সব দাবি হুট করে মেনে নিতে হয়ও না। মেনে নেয়ার প্রয়োজনও পড়ে না, যদি না সেই দাবি একটি বড় পরিসরে প্রতিবাদের রূপ নেয়, যদি না তার পেছনে থাকে মানুষের সম্মিলিত চাপ, যন্ত্রণার দীর্ঘ ইতিহাস, কিংবা একটি বৈষম্যের দলিল থাকে।
শোষিত, বঞ্চিত মানুষের দাবি তখনই গর্জে ওঠে যখন সেই দাবি দীর্ঘদিন উপেক্ষিত হয়, অস্বীকার করা হয়, কিংবা খাটো করে দেখা হয়। তখন সেই দাবি আর কেবলই চাহিদা থাকে না—তা হয়ে ওঠে আত্মমর্যাদার প্রশ্ন, সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন, কিংবা কখনো কখনো অস্তিত্বের প্রশ্ন। সেই দিক থেকে বলতে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিছক একটি প্রশাসনিক জটিলতার বিরুদ্ধে ক্ষণিকের প্রতিক্রিয়া নয়—এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
জগন্নাথের এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের ক্ষমতা কাঠামোর বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না; তারা চাচ্ছেন ন্যায্য অধিকার, মানসম্মত পরিবেশ, এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতা।
সুতরাং, যখন দাবি বৈষম্যের বিরুদ্ধে হয়, যখন মানুষ নিজেকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করতে থাকে, তখন সেই দাবির ভাষা ঝাঁঝালো হতেই পারে। সেটি যদি উচ্চকণ্ঠ হয়, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বরং সেটিই তো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য—দাবি জানানো, প্রতিবাদ করা, এবং সমাধানের পথ খোঁজা। সঙ্গে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার দুঃখপ্রকাশও আন্দোলনের সৌন্দর্য।
জগন্নাথের এই আন্দোলন তাই কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নয়; এটি বৃহত্তর অর্থে আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো, পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গিরও এক জোরালো প্রশ্নচিহ্ন। এই আন্দোলনের ভাষা যদি তীব্র হয়, তবে তার কারণও তীব্র—উপেক্ষা, অসাম্য এবং অবহেলা।
মনে রাখা দরকার একই আইনে জগন্নাথ, কুমিল্লা ও কবি নজরুলের মতো তিনটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। ২৭(৪) নামে একটা কালো ধারা ছিলো। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কখনোই মানানসই না। সেটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির জন্যই রহিত হয়।
কোনো দাবিই শাসকগোষ্ঠী সাধারণত নিরবে মেনে নেয় না। সব দাবি হুট করে মেনে নিতে হয়ও না। মেনে নেয়ার প্রয়োজনও পড়ে না, যদি না সেই দাবি একটি বড় পরিসরে প্রতিবাদের রূপ নেয়, যদি না তার পেছনে থাকে মানুষের সম্মিলিত চাপ, যন্ত্রণার দীর্ঘ ইতিহাস, কিংবা একটি বৈষম্যের দলিল থাকে।
শোষিত, বঞ্চিত মানুষের দাবি তখনই গর্জে ওঠে যখন সেই দাবি দীর্ঘদিন উপেক্ষিত হয়, অস্বীকার করা হয়, কিংবা খাটো করে দেখা হয়। তখন সেই দাবি আর কেবলই চাহিদা থাকে না—তা হয়ে ওঠে আত্মমর্যাদার প্রশ্ন, সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন, কিংবা কখনো কখনো অস্তিত্বের প্রশ্ন। সেই দিক থেকে বলতে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিছক একটি প্রশাসনিক জটিলতার বিরুদ্ধে ক্ষণিকের প্রতিক্রিয়া নয়—এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
জগন্নাথের এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের ক্ষমতা কাঠামোর বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না; তারা চাচ্ছেন ন্যায্য অধিকার, মানসম্মত পরিবেশ, এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতা।
সুতরাং, যখন দাবি বৈষম্যের বিরুদ্ধে হয়, যখন মানুষ নিজেকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করতে থাকে, তখন সেই দাবির ভাষা ঝাঁঝালো হতেই পারে। সেটি যদি উচ্চকণ্ঠ হয়, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বরং সেটিই তো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য—দাবি জানানো, প্রতিবাদ করা, এবং সমাধানের পথ খোঁজা। সঙ্গে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার দুঃখপ্রকাশও আন্দোলনের সৌন্দর্য।
জগন্নাথের এই আন্দোলন তাই কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নয়; এটি বৃহত্তর অর্থে আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো, পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গিরও এক জোরালো প্রশ্নচিহ্ন। এই আন্দোলনের ভাষা যদি তীব্র হয়, তবে তার কারণও তীব্র—উপেক্ষা, অসাম্য এবং অবহেলা।
মনে রাখা দরকার একই আইনে জগন্নাথ, কুমিল্লা ও কবি নজরুলের মতো তিনটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। ২৭(৪) নামে একটা কালো ধারা ছিলো। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কখনোই মানানসই না। সেটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির জন্যই রহিত হয়।

ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



