somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের খোঁজে [পর্ব এক]

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার প্রথম কথা ছিল ঈদের খেতা পুড়ি। বান্দারবান যাওয়ার চাইতে ঈদের ছুটি কিছুই না। তার উপর একটা বিশাল জলপ্রপাত মাপ জোক করার সুযোগ- এটা তো সোনায় সোহাগা। ডি-ওয়ে এক্সপেডিটরস এর একটি প্রজেক্ট হল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত খুঁজে বের করা। গত বর্ষায় তারা বাকলাই ওয়াটার ফলস টা লোকেট করে। জলপ্রপাত হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে হয়। এর জন্য অনেক প্রয়োজনীয় ডাটা (এর উচ্চতা, প্রস্থ, বিভিন্ন ঋতুতে এর পানি প্রবাহ, উৎপত্তিস্থল ইত্যাদি ) সংগ্রহের কাজ তারা শুরু করেন। পরবর্তী পর্যায়ের ডাটা সংগ্রহের জন্যই আমাদের এবারের যাত্রা। প্রিপারেশান নিয়ে অনেক মিটিং করা হ্ল, জিপিএস এর উপর একটা ছোটখাট আন-অফিসিয়াল ওয়ার্কশপ ও এটেন্ড করে ফেললাম। আকাশ ভাই ব্রিফিং দিয়ে কিভাবে কি করতে হবে সেটা বুঝিয়ে দিলেন। রওনা দেয়ার আগের দিন ১২দিনের রসদ কিনে আনলাম। ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে ঈদের পাঁচ দিন আগে আমরা ৯জন রওনা দিলাম বান্দারবানের পথে।

শহরে নেমেই একটা চান্দের গাড়ী ঠিক করে সোজা থানচি রওনা দিলাম। থানচি পৌছে আর দেরী করি নাই, সোজা হাটা দিলাম বোডিং হ্যেডম্যান পারার দিকে। মাথার উপর তখন চান্দি ফাটানো রোদ। কিছুক্ষনের মধ্যেই হাঁফাতে লাগলাম। আমাদের করুন অবস্থা দেখে আল্লাহর বুঝি একটু দয়া হইল। শুরু হইল তুমুল বৃষ্টি, মূহুর্তেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। কিন্তু বৃষ্টিত মধ্যে হাটা বেশ কষ্টকর হয়ে গেল। পাহাড়ী রাস্তা কাদায় মাখামাখি। আছাড় খেতে খেতে এগুতে লাগলাম। পথে এমন সুন্দর সুন্দর ঝিরি পরল যার পাশে একটু বসলে আর উঠতেই ইচ্ছা করে না।
সন্ধ্যার একটু আগেই আমরা পাহাড় চূড়া থেকে বোডিং পারা দেখি। অপূর্ব সুন্দর এক পারা। পারার পাশ দিয়ে সুন্দর এক ঝিড়ি বয়ে যাচ্ছে। ঝিরিতে ছোট বড় বোল্ডার। আমার দেখা অসাধারন এক পারা.....।

ঝিরি

সকাল বেলা ঝিড়ি দেখতে পেলাম এক ইন্ডিয়ান ক্রেইট। ফটো ক্রেডিট- মাইনুল ভাই

বিষাক্ত ইন্ডিয়ান ক্রেইট

দূরের পাহাড়

ঝিড়ি ২

কারবারীর ঘরে থাকার খাওয়ার ব্যবস্থা করে আমরা গেলাম ঝিড়িতে গোসল করতে। ইতোমধ্যে পাহাড়ে অন্ধকার হয়ে গেছে। টর্চ জ্বলে সবাই গোসল করে নিলাম ঝিড়ির হিম ঠান্ডা পানিতে। পায়ের কাদা ধুতে যেই না আমি স্যান্ডাল টা পা থেকে খুললাম, উঠার আগেই পানির স্রোতে আমার এক মাত্র স্যান্ডাল টা ভেসে গেল।
পেঁপে দিয়ে ভেজিটেবল খিচুড়ি খেয়ে সবাই কম্বলের নীচে চলে গেলাম। পরেরদিন ভোর থেকে শুরু হবে হাঁটা....বাকলাই এর উদ্দেশ্যে

[চলবে]
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১
৫০টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×