আমিও সঙ্গে আছি
সমরেশ মজুমদার
মাসদুয়েক আগে ঢাকা শহর থেকে বেরিয়ে সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরের পথে যেতে একটি নির্জন চায়ের দোকানে গাড়ি থেকে নেমেছিলাম। চারপাশে ধু-ধু মাঠ, বাঁশের চর বেঞ্চি পাতা, বাখারির দেয়ালের মধ্যে বসে আমার অনুরোধে চা বানাচ্ছিলেন যিনি তিনি একগাল হেসে জিজ্ঞাসা করলেন, 'ভালো চা না নরমাল?' চা খাওয়ার আগে সে স্টলে খবরের কাগজটা দেখতে পেলাম চাওয়ালা তার পাশে ভাঁজ করে রেখেছেন। সকালে ওই কাগজটি পড়েছি ঢাকা ক্লাবের ঘরে বসে। প্রসঙ্গ তুলতেই চাওয়ালা বললেন, "পড়বেন? ভেতরের পাতা ছেঁড়া আছে।
'কেন?' চায়ের কাপ হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।"
'সবাই টানাটানি করে পড়লে যা হয়। এখন প্রায় দুপুর, তাই দোকান ফাঁকা।
'এই কাগজটা কেন কেনেন?'
'সত্যি কথা বলি। নামের আগে বাংলাদেশ দেখলে বুকটা কেমন করে। আর এই কাগজ আমাদের কথা বলে। কোনো রাজনৈতিক দল অথবা বিত্তবানদের দালালি করে না। একেবারে আমজনতার দুঃখ আর আনন্দের কথা বলে। কারও চামচামি করে না। দামটা দেখুন, কিনতে অসুবিধা হয় না। চাওয়ালা হাসলেন।
'বাংলাদেশ প্রতিদিন' সম্পর্কে এই বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত হয়েছেন ঢাকার রিকশাওয়ালা, স্কুলের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মনে মনে কপালে আঙ্গুল ছোঁয়ালাম, স্যালুট।
খবরের কাগজ মানুষ কেনেন পকেটের পয়সা খরচ করে। এই পাঠক অত্যন্ত সচেতন। তারা ঝোঝেন কোন কাগজ সংবাদ তৈরি করছে, কোন কাগজ যা ঘটছে তার সঠিক বিবরণ দিচ্ছে। যে কাগজ আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে সেই কাগজ বিএনপির সমর্থক পড়েন না, যে কাগজ কাব্য করে খবর ঘোরায় পাঠক দুই দিন পরে তাকে বাতিল করবে। শুধু খবর নয়, নাটক, চলচ্চিত্র, খেলার জগৎ সম্পর্কে পাঠকের যে ঔৎসুক্য তা মেটানোর দায়িত্ব থাকে খবরের কাগজের ওপর। যে চলচ্চিত্র অথবা বইকে খবরের কাগজের সমালোচক প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেন, দর্শক বা পাঠক তাদের চটজলদি বাতিল করলে কাগজটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেই।
'বাংলাদেশ প্রতিদিন' আবির্ভাবের প্রথম দুই বছরেই সেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। সম্পাদক নঈম নিজাম দুই বছর পূর্তিতে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা ৬ লাখ। ১৬ কোটি বাঙালির দেশে এই সংখ্যা বাড়াতে তিনি বদ্ধপরিকর। আমার বিশ্বাস, এই পথে হাঁটলে তার স্বপ্ন সার্থক হবেই।
আজ চতুর্থ বছরে পা দিল 'বাংলাদেশ প্রতিদিন'। মানুষ জন্মায়, হামাগুড়ি দেয়, টলটলে পায়ে হাঁটতে শেখে, শেষে দৌড়ায়। এই তিনটি পর্ব বাংলাদেশ প্রতিদিন তিন বছরে শেষ করেছে। এখন তার দৌড় ১৬ কোটির দিকে।
আমার আন্তরিক অভিনন্দন রইল। আমিও সঙ্গে আছি।
আলোচিত ব্লগ
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুহূর্ত কথাঃ সময়

সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।