somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঙ্গি মনির ভারতে, সাংবাদিক গ্রিন কার্ডে (জঙ্গি ব্যবসা ০১)

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্ম, রাজনীতি এবং জঙ্গিবাদ। পরস্পর বিরোধী হলেও বাংলাদেশে 'ডেসটিনি ২০০০' বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের মতো (এমএলএম) প্রতারণা নির্ভর ব্যবসা। সরকার, বিরোধীদল, পুলিশ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং ভারত-আফগানী দালাল শ্রেণী বংশপস্পরায় এই ব্যবসায় জড়িত। পুঁজি অভিনব ন্যারেটিভ তৈরি বা উপস্থাপন।



শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী ধর্মের ইশ্বর বা জাতিরপিতা শেখ মুজিব বা যোগ্য কন্যার বিরোধিতাকারী ইসলামিস্টদের দমন। আহলে হাদিসপন্থী তাহেরি বা হেলিকপ্টার মার্কা ওয়াজ ব্যবসায়ীদের লালন-পালন করা হতো। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে মামুনুল হকদের ফাসিয়ে সুড়সুরিতে ভরপুর গল্প তৈরি করা হলেও হেফাজতের একাংশকে অর্থ-জমিদান করা হয়েছিল। বিনিময়ে ইসলামবিদ্বেষী ভারতীয় মোদী সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট হাসিনা পেয়েছেন কওমী জননী খেতাব।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সহ মতাদর্শের বিরোধিতাকারীদের কপালে 'জঙ্গি' তিলক দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকারের পুলিশ প্রধানের ভাষায় হলি আর্টিজান সহ জঙ্গি জঙ্গি নাটকের স্ক্রিপ্ট মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা গেছে- আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বকে দেখানো হয়েছে তোমরা মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গি মারছো; আমরাও মারছি। সুতরাং মৌলবাদী বা ইসলামিক সন্ত্রাস দমনে তোমাদের-আমাদের মধ্যে দারুণ মিল রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।

আবার ভারতকে দেখানো হয়েছে- তোমাদের দেশের ওপর হুমকিস্বরূপ জঙ্গি আমরা মশার মতো মারছি। এরা ইসলামিস্ট। ইসলাম দমনে আমরা কঠোরতা দেখাচ্ছি। সুতরাং হাসিনা সরকারের আমলেই ভারত নিরাপদ।
গুম-খুন করে বিরোধীদল দমনেও কারিশমাটিক ছিলেন হাসিনা সরকার। এসবের নেপথ্যে ছিলেন র্যাবের জিয়াউল আহসান, এম সোহায়েল এবং দীর্ঘসময়ে ডিবি ও কাউন্টার টেররিজমে আস্থানা গেড়ে থাকা মনিরুল ইসলাম, মনিরের শিষ্য ছানোয়ার হোসেন, মশিউর রহমানরা। আর এসব নাটক উপস্থাপন করতেন একদল সাংবাদিক। তাদের কাজই ছিল পুলিশের সাপ্লাই দেয়া তথ্য অনুসন্ধানের নামে জাতিকে গলাধ:করণ।

পুলিশ তিন লাইন গল্প সরবরাহ করলে এরা ১০০ লাইন লিখে ফেলতো। তাদের মধ্যে অন্যতম নুরুজ্জামান মন্ডল ওরফে নুরুজ্জামান লাবু। কাজ করতেন 'বাংলা ট্রিবিউন' নামক অনলাইনে, মালিক যশোরের বিনাভোটের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ।
এই লাবু ছিলেন মনিরুল ইসলামের পেইড সাংবাদিক। প্রতিদিন ডিবি অফিসে ঘুরেফিরে একখান চোথা নিয়ে লিখে ফেলতেন মহাবিশ্বের গল্প। এসব গল্প নিয়ে আবার বইও লিখেছেন, যার উদ্বোধক ছিলেন স্বয়ং মনিরুল ইসলাম নিজে। মানে পুলিশের বিনিয়োগে বড় প্রজেক্ট। যাতে ভুক্তভোগী বা আসামীদের যত সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে তার বেশির ভাগই পুলিশের হেফাজত বা রিমান্ড চলাকালে। মনিরের আর্শীবাদ ও অর্থপুষ্ট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যাকালী (পিলু) মাস্টার্স করেছেন ক্রিমিনলজিতে।

কিন্তু বিধিবাম! মনির-বিপ্লবেরা ভারতে পালিয়েছে। জঙ্গিরাও আকাশে উড়ে গেছে। নিউজের খাতা শুণ্য। কাজী নাবিল উধাও। মন্ডলের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল তার তৃতীয় বৌ নিয়ে আমেরিকা উড়ে গেছেন সেই হাসিনার আমলেই। বেতন বন্ধ, পুলিশের মায়নাও আটকে আছে। এরই মধ্যে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি 'জঙ্গি হামলার' গল্প সাজিয়েছে নুরুজ্জামান মন্ডল ওরফে নুরুজ্জামান লাবু। জঙ্গিরা তাকে মেরে ফেলবে।

মানে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় বা এসাইলামের পথে হাঁটা। যেই নাটকের স্ক্রিপ্ট সেই মঞ্চস্থ। গত মাসে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন লাবু মন্ডল। সেখানে আশ্রয় নিশ্চিতে গল্প লিখছেন। ট্রাম্প প্রশাসনকে দেখাবেন আমিও জঙ্গি মেরেছি, তোমরাও জঙ্গি মারছো। এবার দাও গ্রিনকার্ড। দুর্ভাগ্য জঙ্গি মনির ভারতেই রয়ে গেল!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×