পাহাড়ে গরম্নর খামার করা রাখালদের ঘরই ছিল এগুলো। গরমকাল শেষ হয়ে গেলে তালা-টালা মেরে গরম্ন, মাখন ও পনির নিয়ে রাখালরা চলে যেত সমতলভূমির বাড়িতে। এখন পর্যটক ভাগ্য জুটেছে শ্যালেদের কপালে। বরফ-শীতেও থাকার ব্যবস্থা আছে। প্রত্যনত্দ গ্রাম বা বরফ ঢাকা পাহাড়ের চূড়ার শ্যালেও এখন ইন্টারনেটে বুক করা যায়। আর এ কারণেই শ্যালেগুলোর অতি-অবশ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যোগ হয়েছে বিশাল ঝুল-বারান্দা। রং-বেরংয়ের টবের ফুলও ঝুলে থাকে এসব বারান্দায়। আর বারান্দাগুলো অবশ্যই মুখ করে থাকে বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকে। হতে পারে তা স্বচ্ছ জলের লেক, অথবা মেঘের ওড়না পরা পাহাড়।
শ্যালে কে পৃথিবীব্যাপী খ্যাতি এনে দিয়েছে কুক্কু-ক্লক বা কোকিল-ঘড়ি। ঘন্টা বাজার সময় ছোট্ট যে কাঠের ঘর থেকে কোকিলটি বের হয়ে এসে সময় জানান দিয়ে ডাকে সেটিই শ্যালে। গ্রিন্ডালওয়াল্ড স্টেশনের পস্ন্যাটফর্ম থেকে ম্যাপ ছাড়াই অচেনা পথ ধরে নেমে যেতে থাকি দ্রম্নত নানারকম শ্যালে দেখবো বলে। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে কাঠের তৈরি শ্যালেগুলো একেকটা অনন্য স্থাপত্য। দেখলেই লোভ হয়, এরকম একটা শ্যালে নিজের থাকলে মন্দ হতো না। ওমর খৈয়াম সম্ভবত: সুইজারল্যান্ড আসেননি; এসে থাকলে তার স্বর্গের বিষয়বস্তুর তালিকায় বাস করার জন্য একটি শ্যালের কথাও বলতেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



