
প্রবাসীদের উদ্দেশে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর আগের মতো নেই। ফকির-মিসকিন খাওয়াতে চাইলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। দেশের রিকশাওয়ালাদের একেবারে কম হলেও উপার্জন দৈনিক পাঁচশ টাকা।’
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসে রোববার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাধারণ জীবনযাত্রারমান সম্পর্কে প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একটি আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন।
মহাজোট সরকারের সাফল্য বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে কোথাও দাম না কমলেও বাংলাদেশে চালের দাম কমছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে। কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর আমরা ৫০ হাজার টন সুগন্ধি চাল বিদেশে রফতানি করেছি। আমরা ক্ষমতায় আসার সময় দেশে মোটা চালের দাম ছিল চল্লিশ টাকা। এখন তা কমে পঁচিশ টাকা হয়েছে। অথচ আশেপাশের ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে এ চালের দাম এখনও পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা।’
দেশের ডিজিটাল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সাফল্যের কথা উল্লেখ করলেও সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থতায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অবশ্য নিজেদের প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি প্রশ্ন করেন, এখানে কোনো সাংবাদিক নেই তো? এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ও টকশোতে আলোচকদেরকে ‘ভুলধরা পার্টি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘সরকারের কোনো উন্নয়ন এদের চোখে পড়ে না। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, দেশে আজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে।’
প্রবাসীদের মধ্যে উপস্থিত মাওলানা ইউসুফ নূরের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামের জন্য এ সরকার অনেক কিছু করছে। এক হাজার মাদ্রাসা ভবন পাকা এবং প্রায় ৩৫ হাজার মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসার সনদ দেওয়ার জন্য আমরা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেও আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেছেন।’
এর আগে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। দূতাবাসের কাউন্সিলর এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাংলানিউজ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


