শুরুর দিনটা মনে নেই, তবে আলাদা একটা পথে হাটতে শুরু করেছি এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম। আলাদা একটা টান, ঠিক জড়ায় না আবার তাকে ছাড়া থাকাটাও সম্ভবপর নয়। আমার কাছে এমন অনুভুতির নামই কবিতা। যেখানে আমি আমার জীবনটাকে ধরি, কিছু শব্দে আবদ্ধ করি আমার প্রাত্যহিক দুঃখ-সুখ। ঠিক কতগুলো শব্দ অজানা অশ্রুতে সিক্ত কিংবা ঠিক কতগুলো সুখে আসক্ত হিসেব জানি না। শুধু জানি কবিতা আছে বলেই নিজেকে ভালোবাসি, প্রিয় মানুষগুলোকে অনুভব করি, কিছু করে যাওয়ার তাগিদ টের পাই।
একটা সময় ছিল শখই ছিল কবিতা লেখার কারন, মূলত শখ না হলে হয়তো প্রেমটাও জমে না। তাই কবিতা এখন আমার শখের গন্ডি পেরিয়ে জীবনের পাথেয়। আমার শখের কবিতাটা আজ হাতিয়ার হয়ে উঠতে জানে, বলতে পারে অনেকের জীবনের কথা, তার কথা শুনে হয়তো কেউ এই ভেবে চমকে ওঠে—‘এ তো আমারই কথা', কবিতা লিখি নিজের মনের খোরাক যোগাতে, লিখি প্রেম আর আত্নার মিলনে এক পূর্নতার গল্প শোনাতে। যেখানে একজন মানুষ একটি পরিপূর্ন সত্য সংবিধান।
নিজেকে কবি ভাবার সাহস আজও করি না, তবুও অনেক বড় বড় নামের সাথে এবারই প্রথম আসছি এত বড় পরিসরে। ভালোলাগার পরিধি আমি জানি না, শুধুই রোমাঞ্চিত হচ্ছি ক্ষণে ক্ষণে। অমর একুশে বইমেলা ২০১৪ তে প্রকৃতি আর প্রেমের কবি প্রিয় নীলসাধু, মনো রসায়নের অনিন্দ্য বিশ্লেষক কবি আলভিনা চৌধুরী, চমৎকার কিছু ঘোরলাগা কবিতার কবি নাসরিন চৌধুরী এবং নাগরিক কবি তাহমিদুর রহমানের সাথে আসছি আমি কাজী মেহেদী হাসান। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, স্বপ্নের প্রথম সিঁড়িও বটে।
ব্লগ বলি আর ফেসবুক বলি সবখানেই অতি প্রিয় লেখক এবং সহযোদ্ধারা যে অকৃত্তিম ভালোবাসা আমাকে দিয়েছেন সে মুগ্ধতা আমি বয়ে বেড়াবো আজীবন। প্রিয় মানুষদের পাশে চাইবো এভাবেই। যারা আমার কবিতা পড়েন, এবং বাকিদের সম্পর্কে জানেন ‘নির্বাসিত জোছনাদল’ তাদের জন্য তৃপ্তিকর অভিজ্ঞতাই হবে ইনশা আল্লাহ। বইটি পাওয়া যাবে ‘এক রঙা এক ঘুড়ি’ এবং ‘গদ্যপদ্য’ স্টলে। সবাইকে প্রত্যাশা করছি বইমেলায় সাহিত্য আর কবিত্বের শুদ্ধ মননে...