তুমি বলেছিলে, ‘এই শেষ’
আজ থেকে ইথারে বিলীন হবে গল্পগাথা
অবশিষ্ট্য প্রেম মাথা কুটবে পারিজাতহীন কঠিন পাথরে।
পাখির কণ্ঠনালী আর জলের শরীর বেয়ে গড়িয়ে পড়বে অবহেলা
ধানক্ষেত, হলদে পাখি-----তুমি বিবর্ণ দেখবে সব!
অথচ দ্যাখো,
এই নখ, চুলের সুচাগ্রভাগ, আপাদমস্তক আজও পুরনো কথা কয়!
শরীরজুড়ে অখন্ড পাণ্ডুলিপি---গাল, চিবুক, আঙুলজুড়ে সেই রামধনু রঙ
সময়ের পায়ে হেটে যায় দিন, মাস, বছর---তবুও কি শেষ হয়?
আমি এখন বেদনাহত প্যাঁচার মতো চিরে দেই রাত্রির অন্ধকার
পথ ভুলি, পথ খুঁজি।
স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাওয়া ঐ ঘোলাটে চাঁদের মতো
গোধূলির আবছায়ায় বেদনা ফেরি করি!
পাওয়ার বেদনা, পেয়ে হারানোর বেদনা; লাল নীল, হরেক রকম
পাথরের নিচে করুন বেদনার জল হয়ে বয়ে যাই অনিঃশেষ।
কষ্টের বেদীতে অঞ্জলি দেই
বলি ‘এইতো অলঙ্ঘনীয় প্রাপ্তি; ললাটে মেখে থাক রক্তের দাগ!’