somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হৃদয় বনাম মন

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটু ভূমিকা দিয়েই শুরু করতে চাইঃ
“আমার এই লেখাটিকে শিরোনাম দেখে স্রেফ প্রেমের গল্প ভেবে ভুল করার কোন কারন নেই। কারন Never judge a book by it’s cover.” বাকিটুকু পড়ার আমন্ত্রন জানাই।
আমাকে কিছুদিন আগে একজন প্রশ্ন করেছিল, “মানুষ কি পা দিয়ে হাঁটে না মাথা দিয়ে হাঁটে?” আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্নটি অবান্তর মনে হলেও একটু গভীরে গেলে এর চমৎকার কিছু বাস্তবতা পাওয়া যাবে। আসুন একটু গভীরে যাই।

## আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে স্নায়ুতন্ত্র(Nervous System)। যার ক্ষুদ্রতম একক হল নিউরন। অনেকেই ভাবতে পারেন যে নিউরন কেবল আমাদের ব্রেইনে থাকে। কিন্তু আমাদের সারা শরীরেই ছড়িয়ে আছে এই নিউরন (neuron)। অর্থাৎ নিউরন হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষুদ্রতম একক।



এই Nervous system কে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়,
1.Central nervous system
2.Peripheral nervous system.

সিগন্যাল ট্র্যান্সফরমেশন এর উপর ভিত্তি করেও দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়,
1.Motor
2.Sensory


সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম গঠিত হয় ব্রেইন এবং স্পাইনাল কর্ড দিয়ে। আর পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম ছড়িয়ে থাকে সারা শরীরে। প্রতিটি নিউরন যদিও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত মনে হয়, কিন্তু একটি নিউরনের আক্সন এবং অন্য নিউরনের ডেন্ড্রাইট এর মাঝে সুক্ষ ফাঁকা বিদ্যমান। যাকে বলা হয় synapses.



আমাদের ব্রেইনে যে কোন সিগন্যাল যে নিউরন সেটের মাধ্যমে পৌঁছায়, তাদেরকে “সেন্সরি” বলা হয়। এবং ব্রেইন থেকে যে সিগন্যাল স্পাইনাল কর্ড হয়ে শরীরের অন্য কোন স্থানে পৌঁছায় তাকে “মোটর” বলা হয়। অর্থাৎ আপনি আগুনের কাছে হাত নিয়ে গেলে, আগুনের সংস্পর্শে আসা অংশের নিউরন ব্রেইনে সিগন্যাল পাঠাবে অবস্থার বিবরন দিয়ে, এই সিগন্যালই হচ্ছে “সেন্সরি”। আপনার ব্রেইন তখন সেই সিগন্যালকে এনালাইসিস করে ব্রেইন হাতকে সিগন্যাল পাঠাবে যে হাত সরিয়ে নাও। এই সিগন্যাল কে বলে মোটর। নিউরন গ্যাপে থাকে একধরনের ক্যামিক্যাল সাবস্টেন্স যাকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার (ছবিতে লাল লাল দানাগুলো)। আমাদের দেহে দুই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আছে।

1. Excitatory Neurotransmitter (Acetylcholine, Epinephrine, Serotonin, Endorphin, Prostaglandin etc. )

2. Inhibitory Neurotransmitter (GABA, Glycine etc. )

ব্রেইনের কাজ হচ্ছে Controlling & Coordinating. এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আপনাদের কাছে আছে গুগল নামের চেরাগের দৈত্য। হুকুম করলেই হাজির।
আসুন এবার দেখে নেই, আমাদের বিভিন্ন অরগ্যান এর উপর নার্ভাস সিস্টেম এর অবস্থার প্রভাব। অর্থাৎ Sympathetic vs Parasympathetic state of nervous system



বোঝাই যাচ্ছে যে আমাদের মন বা mind বলতে যা বোঝানো হয়, তা মুলত হৃদয় (Heart) নয়, ব্রেইন। এবার আসুন দেখে নেই হৃদয়(Heart) এর উপর ব্রেইন এর প্রভাব,



অর্থাৎ ব্রেইনের উত্তেজিত স্টিমুলেশন এ হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকের কাছে মনে হয় ঘটনাটা হৃদয় ঘটিত। আসলে ঘটনা তো ব্রেইন ঘটিত। তেমনি আমাদের ব্রেইনের বিভিন্ন স্টিমুলেশনের কারনে বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে গ্রন্থিরস নিঃসৃত হয় যা আমাদের হৃদয়ের স্পন্দনে তারতম্য ঘটায়।



মুলত হৃদয়ের কোন ইন্টিলেঞ্জেসি নাই। এটা স্রেফ একটা পাম্পিং মেশিন মাত্র। যত ভালবাসার গান, অনুভব, অনুভূতি কোনটাই কিন্তু হৃদয়ে নাই। হৃদয় অনেকটা বোকা বাক্স। অনেকেই বলেন, কিছু সিদ্ধান্ত হৃদয় দিয়ে নাও। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে হৃদয় দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়াই সম্ভব না।



তেমনি আমাদের হাত পা বা অন্যান্য কোন অর্গ্যান এর ই তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ইন্টেলিজেন্স নেই। তাই, আমরা মাথা দিয়ে হাঁটি বললেও যুক্তি দিয়ে সেটা প্রমান করা সম্ভব।

(আমার জানার মধ্যে ঘাটতি থাকতেই পারে। আমি সবজান্তা নই। আরও ভালো এবং প্রয়োজনীয় তথ্য কারো কাছে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন মন্তব্য এর ঘরে।)
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×