somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নয়নতারা

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েকে দেখে মন ভরে যায় গফুরের। কি ফুটফুটে দেখতে হইছে। মুখায়বে কি অদ্ভুত মায়া জড়ানো। মেয়ের কান্নায় তারামনের ঘুম ভেঙ্গে গেছিল, সে তাড়াতাড়ি মেয়েকে বুক জড়িয়ে নিয়ে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করে। তুমি কেমন আছো? গফুরের কণ্ঠ শুনে ফিরে তাকায় তারামন। গফুরের চোখে চোখ পড়তেই নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেনা সে। মুখে কিছু বলার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলে। শুধু অঝরে দু চোখ বেয়ে কান্না ঝরতে থাকে। গফুর পুরুষ মানুষ, পুরুষের নাকি কাঁদতে নেই, গফুরের গলা ধরে আসে। চোখের কোনে পানি চিকচিক করে। ধীর পায়ে খাটের দিকে এগিয়ে যায়। “বহ না” আস্তে করে বলে তারামন। গফুর বসে, খুব ইচ্ছে করে মেয়েকে কোলে নিতে, তারামন কে একটু জড়িয়ে ধরতে। প্রথম সন্তান মেয়ে নাকি সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। সকাল থেকে এত কিছু হবার পরও কেন যেন গফুরের ঐ মুহূর্তে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, দেখ গ্রামবাসী, দেখ! আমি বাবা হয়েছি। আমার সৌভাগ্যের চাবি আমার হাতে এসেছে। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিছুই না বলে চুপচাপ বসে থাকে গফুর। তারামন বোধ হয় গফুরের মনের কথাটা বুঝতে পারে। বাচ্চা কে বুক থেকে ছাড়িয়ে আনে। বাচ্চাটা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে। ছোট ছোট হাত পা গুলো নাড়ে। এই নাও, মাইয়াডারে একটু কোলে নাও। গফুর মনে মনে বলে, এজন্যই তো তরে এত ভালবাসি রে বউ। মুখে কিছু বলে না। আলগোছে বাচ্চাটারে কোলে নেয়। গফুরের বাচ্চা কোলে নেয়ার পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই বলে কেমন যেন একটা ভঙ্গিতে কোলে নিয়ে শক্ত হয়ে থাকে। তার এই অবস্তা দেখে ফিক করে হেসে ফেলে তারামন।
-হাসছ ক্যান? (গফুরের প্রশ্ন)
-তুমি ক্যামনে কোলে নিছ ওরে।
-আমি কি আগে বাচ্চা কোলে নিছি নাকি??
-এখন থেইকা শিক্ক্যা লও।
আবার চুপ হয়ে যায় দুজনেই। গফুর অবাক চোখে চেয়ে থাকে মেয়ের দিকে। কি ছোট্ট ছোট্ট হাত, পা, ছোট্ট একটা মাথা, ঠোট, আর বড় বড় চোখ। কি শান্ত দুটি চোখ। কত কি যে বলে চোখের ভাষায়। গফুর শুধু চেয়ে থাকে আশা মেটে না। হঠাৎ বুকের ভিতরটা একদম খালি খালি লাগে। আলতো করে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে বিড়বিড় করে বলে, তুই আমার নয়নের মনি। আমি তরে কুনুদিন কষ্ট পাইতে দিমুনা। এবার আর গফুরের চোখের জল বাঁধা মানে না। শ্রাবণের অঝোর ধারার মত নেমে আসে। “তুমি খুশি হইছ??” তারামনের ডাকে সম্বিত ফিরে পায় গফুর। আস্তে করে বলে “তুই বুঝিস না” অভিমান ঝরে পরে তার শব্দে। মুচকি হেসে তারামন বলে, আমি জানি যে তুমি আল্লাহ্‌ র কাছে মাইয়া চাইছিলা। “হ। পরথম মাইয়া হইলে ভাগ্য ভালো হয়। অনেক সওয়াব হয়। মসজিদের ইমাম সাবের তন হুনছি। তুই বাচ্চারে লইয়া একটু আরাম কর।” এই বলে আস্তে করে বাচ্চাকে তারামনের পাশে শুইয়ে দেয় গফুর। মেয়ের ছোট ছোট হাত হঠাৎ করেই আঁকড়ে ধরে গফুরের আঙ্গুল। যেন বলতে চায় “আরেকটু থাকনা বাজান”। গফুর যেন মেয়ের কথা বুঝতে পারে। মেয়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে বলে। একটু ঘুমা রে মা। আমি আবার আসুম তোর কাছে। এই বলে মেয়ের কপালে ছোট্ট একটা চুম্বন একে দেয়। তারামনের কপালে চুম্বন আকতেও ভোলে না। বেড়িয়ে যাবার আগ মুহূর্তে দরজার চৌকাঠে দাড়িয়ে একবার মেয়েকে দেখার জন্য ফিরে তাকায় গফুর। আবছা আধারে মেয়েকে দেখতে না পেলেও মনের কোনে জেগে থাকা মেয়ের মুখ জ্বলে উঠে বারবার। গফুর বাহিরে পা বাড়ায়।

সকাল হতেই লোক গমগম করে গফুরের বাড়িতে। অনেকের কাছেই ছড়িয়ে গেছে ওদের ঘর পোড়ার খবর সাথে গফুরের বাবা হবার খবর। গফুর কিছু ছোট মাছ ধরে বাড়ি ফিরল। অন্তত পেট তো চালাতে হবে। গরীব মানুষের আনন্দ বা দুঃখ কোনটাই বেশিক্ষণ প্রভাব ফেলতে পারে না। পেটের জ্বালা সবচেয়ে বড় মনে হয়। উঠনেই ভোঁতা মুখে গফুরের মা বসা ছিল। গফুরকে দেখেও তার মধ্যে কোন ভাবান্তর হোল না। রান্নাঘরের চুলোর কাছে মাছ রেখে গোসল করতে গেল গফুর। এমন সময় সোহেল এসে বাড়িতে ঢুকল। সে স্বাস্থ্যকর্মী ডাকতে গিয়েছিল। মাকে গোমড়া মুখে বসে থাকতে দেখে বলল,
-মা, তুমি অমন মুখ ভোঁতা কইরা বইয়া রইলা ক্যান। খিদা লাগছে, ভাইজান মুনে অয় কিছু মাছ ধইরা আনছে, রান্না শেষ কইরা খাইতে দাও।
-ওরে আমার নবাবজাদা, হারাদিন এমুন কি কাম করছস যে খিদা লাইগা গেছে।
-মা, তোমার লগে অহন আমি ঝগড়া করমু না। রাগ না কইরা কয়ডা খাওন রান্ধ। ভাবি তো অহন অসুখ। নাইলে আমার এমুন চিল্লান লাগত না।
-বুঝছি বুঝছি! আমি আর তরে রাইন্ধা খাওাইনাই কোনদিন.......
এই বলে মুখ ঝামটা দিয়ে রান্না বসাতে চলে গেলো গফুরের মা। শিস দিতে দিতে ঘরে ঢুকতে গেল সোহেল। ঢুঁকে দেখে স্বাস্থ্যকর্মী আপা তারামন কে চেকআপ করছে। ওদিকে নয়নতারা হাত পা ছুড়ে কি যেন বুঝাতে চাইছে। “আম্মাজান” বলে সোহেল আস্তে করে কোলে নেয় ওকে।
-ভাবি মাইয়ার নাম কি রাখবা ঠিক করছ।
-না! তোমার ভাই ওর নাম রাখবো।
-কও কি? যে যে নামেই ডাকুক আমি কিন্তু ওরে আম্মাজান কইয়া ডাকুম।
-তুমি যা খুশি কইয়া ডাক।
দেবর ভাবির কথার মাঝেই চেক আপ শেষ হোল। স্বাস্থ্যকর্মী আপাও বিদায় নিল। রান্না হয়েছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বেড়িয়ে গেল সোহেল।

ছেলে সন্তানের মায়েদের সন্মানই আলাদা। যে র্গভে ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তা যেন র্গবিত র্গভ আর যেখানে জন্ম হয় কন্যা তা হলো কলঙ্কিত র্গভ। তারামনের আশে পাশে অনেক পরিবার আছে যেখানে পুরুষটি দ্বিতীয় বিবাহ করেছে নয়তো তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে শুধুমাত্র মেয়ে সন্তান প্রসব করার অপরাধে। সুতরাং নিজের অস্তিত্বকে বজায় রাখতে তারামনের একজন ছেলে সন্তান চাওয়ার বিকল্প ছিলনা। গফুর মেয়ে চায় বলে তার এই ভয়টা ছিলনা যে মেয়ে জন্মানোর অপরাধে তাকে বাড়ী ছাড়তে হবে। কিন্তু শ্বাশুড়ী আর প্রতিবেশীর মুখ বন্ধ করবে কিভাবে?

তারামনের মনে যেমন কষ্ট আছে তার ছেলে না হওয়ায় তবে মনে মনে এই টুকু খুশি যে তার ইচ্ছা পুরন না হোক স্বামীর ইচ্ছাতো পুরন হয়েছে। যে সুখ নিয়ে গফুর বাবা হয়েছে তার সবটাই মলিন হয়ে গেছে যেদিন নয়নতারার জন্ম হয় একটি অঘটনের শুরু দিয়ে। ফলে গফুর কোন দিন তার বাবা হওয়ার সুখ প্রকাশ করতে পারেনি। জন্মের পর তার মা কেবল একনজর তার মেয়েকে দেখা সুযোগ দিয়েছিল এর পর পনেরদিন সে আর আতুড় ঘরে ঢুকার অনুমতি পায়নি। মায়ের এমন সব কথা শুনেছে যে মায়ের চোখ ফাকি দিয়ে নিজের মেয়েকে দেখার ইচ্ছাটাও প্রবল হয়ে উঠেনি।

সময় বদলেছে। বদলে গেছে মানুষের চিন্তা চেতনা ভাবনা আর ভাবধারার বিন্যাস। তবুও বদলায়নি মানুষের জন্য মানুষের স্বভাব। বদলায়নি কন্যা সন্তানের প্রতি মানুষের বিগ্রহ। অনেক এলোমেলো কথার পর একটা নিরেট সত্য কথা প্রকাশিত হয়েছিল মায়ের মুখ থেকে। যা অনিচ্ছা সত্বেও মেনে নিতে হয়েছে। যার আসলেই তার ব্যত্যয় নেই ব্যতিক্রম নেই। আজও সমাজ নারীর জন্য নিরাপদ হয়ে উঠেনি। কন্যা সন্তানের বিরোধিতা কেবল এই জন্যই করা। ছেলেটাকে ঘরে বাইরে যতটা নিশ্চিন্তে থাকা যায় কন্যাকে ঘরে রেখেও তার চেয়ে অনেক বেশী চিন্তিত থাকতে হয়। হয়ত একদিন এ সমাজ মানুষের বাস যোগ্য হবে অথবা হয়ত কোনদিনই হবেনা। তবে পরিরর্বতনের শুরুটা যে আজই চাই।

নামটা গফুর আগেই ঠিক করে রেখেছিল কিন্তু কাউকে কোনদিন বলেনি। এমনকি তার স্ত্রী তারামনকেও নয়। পাছে তার মন খারাপ হয়। পনের দিন পর যখন আতুড় ঘরে ছেড়ে তার স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে পরিস্কার ঘরে উঠেছিল তখন গফুর যেন হাফ ছেড়ে বাচল। রাতের আধারে বহুবার মেয়ের মুখটাকে দেখতে চেয়েছে। কিন্তু পারেনি। মনের এই আকুতিটা তারামন বুঝতো। একদিন রাতের খাবার শেষে শুয়ে গফুরকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “মেয়ের নাম রাখবেন না?”
- তুমি রেখে দাও।
- না
- কেন?
- আল্লাহ আপনার ইচ্ছা পুরন করেছে। আপনে আপনার মেয়ের নাম রাখেন।
- কেন? তুমি রাখলে সমস্যা কি?
- আমি আসলে নাম চিন্তা করিনাই। আমতা আমতা করে তারামন।
- আমি ভাবতাছি সামনের জুম্মা বারে বাড়ীতে ইমাম সাবরে দাওয়াত দিমু। সেইদিনই নাম রাখুম।
এরপর অনেক অনেক কথায় রাত্রি পার হয় দুজনের। অনেকদিন পর দুজন অনেক কথাই বলেছিল। যদি সময়েই হিসেবে যে কারো কাছে খুবই কম সময় তবুও তারামন আর গফুরের কাছে তা ছিল বহুসময়ের গুনিতকের মত।

সেদিন পাড়ার মসজিদের ইমাম সাহেবকে তার মুয়াজ্জিন সহ দাওয়াত দেয়া হলো। সাথে আরো কয়েকজন। খাবার শেষে গফুর তার মেয়ের জন্য দোয়া করতে বললেন। তারা জানতে চাইলেন কোন নাম রাখা হয়েছে কিনা।
- আপনারা একটা নাম রেখে দেন ইমাম সাব।
- সন্তানের নাম আপনাদের রাখাই উত্তম। আপনি কোন কিছু ভেবে থাকেন তাহলে বলেন। আমরা দোয়া করে দিবো।
বেড়ার ওপাশ তারামন বার বার দৃষ্টি আর্কষন করলো গফুরের। বার বার ইশারার ভঙ্গিটা ছিল এমন যে গফুর কোন নাম ভেবে রেখেছে। তারামন চাইছে সেই নামটা বলুক।
- জ্বি আমি মনে মনে “নয়নতারা” চিন্তা করছি।
- বাহ সুন্দর নাম। আমরা আপনার মেয়ের জণ্য দোয়া করছি।
এই বলে ইমাম সাহেব তার নিয়ম অনুসারে দোয়া পরে মোনাজাত শুরু করলেন। মোনাজাত শেষে গফুর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখলো তারামনে চোখে মুখে এক অনাবিল শান্তি, যেন স্বস্তির কোন আবছা প্রকাশ।
- সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় দোয়া হলো তার বাবা মায়ের দোয়া। আপনারা আপনাদের সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।

কথা গুলো বেশ মনে ধরে গফুরের। সেতো তার সন্তানের ভালো চায়। কিন্তু জন্মের শুরুতে এতটা অঘটনের শুরু এবং শেষে কোথায়? কেনইবা এমনটা হলো তার কোন হদিস গফুরের জানা নাই। বাবা হিসেবে কেইবা চায় তার সন্তানের কোন অমঙ্গল হোক?

ভাবনার গভীরে হারিয়েছিল গফুর। আজ এক বছর বাদে কোন এক পুর্নিমা রাতে তারামন আর নয়নতারা কে পাশে নিয়ে এমনি ভাবছে একের পর এক। কত দিন কত মাস পার হয়ে গেল। কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছেনা গফুর। মেয়েটার ভাগ্য কতটাইনা খারাপ। কেননা এরপর আর তেমন কোন ভাল খবর গফুরের আসেনি। নিজের গরুটা হারিয়ে মেম্বারের র্বগা গরু পালন যোগ হলো আগের বছরের দাদনের দেনার সাথে। নিজের বলতে কি আর কিছুই থাকলোনা। চৌদ্দ পুরুষের পৈতৃক পেশায় এখন আর সুখ নেই। নদীতে প্রবাহিত বানের জলের মত একে একে সব যে হারিয়ে যাচ্ছে গফুরের জীবন থেকে। কেবল তার তারামন আর নয়নতারা ছাড়া আর কিছুই নেই।

তারামন গফুরকে বুঝতে পারে। সে এতটাই আস্ট্রে পৃষ্টে মিশে আছে গফুরের সাথে যেন তার প্রতিটি নিশ্বাস কি কথা বলে তারামন বুঝতে পারে। মাথাটা একটু তোলে তারামন
- তারার বাপ ঘুমাইছেন। কোন উত্তর করেনা গফুর। আসলে সে কিছুই শোনেনি। তারামন আবারও ডাকে,” তারার বাপ”।
ভাবনায় নিমগ্ন গফুরের ভাবনায় ছেদ পরে। উত্তর দেয় তারামনের ডাকে। ,” কি, কও”?
- কি ভাবতাছেন?
- কিছুনা।
- আমি জানি। আপনে শক্ত থাকেন। এত ভাইঙ্গা পড়লে চলবে।
কোন উত্তর আসেনা গফুরের কাছ থেকে। ,”জানেন আজ না, পুন্নি রাইত। আজ চানডা পুরোপুরি বড় হৈছে।”
- হুম
- আপনের মনে আছে। তারার জন্মের আগে আপনে আমারে লইয়া এমন চান্নি রাইতে নদীর ধারে গেছিলেন।
- হু। মনে আছে।
- আমার আইজ আবার নদীর ধারে যাইতে মন চাইতেছে।
- তারা ঘুমাইছে?
- হ
- চাইলে কি আর যাওয়া যায় বউ।
পাশের ঘর থেকে আওয়াজ পাওয়া যায় গফুরের মায়ের। তাগাদা দিলেন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার জন্য। কন্ঠস্বর নিচু হয়ে আসে তারামন আর গফুরের। অনেক কথা হয়, আনন্দ বিষাদের, ভালবাসা আর বিরহের যার কোন কিছুই আমরা শুনতে পাইনা। যেখানে গল্প হয় মেঘের পালকে ভেসে যাওয়া পুর্নিমা রাতের। গল্প হয় জোন্সা বিহারের। আমরা কেবলই উপলব্দি করি। অন্ধকারের বুক চিড়ে বেড়ার ফাক গলিয়ে এক চিলতে চাদের আলো পরে তারামনের মুখের উপর। সেখানে ভাগ বসায় গফুর। জীবনটা তখনই সুন্দর যেখানে অন্ধকারের বুক চিড়ে একচিলতে আলো আসতেই থাকে। আমরা তার নিরব সাক্ষী। হঠাতই জোন্সার গল্প থেমে যায় গফুরের মায়ের ঢাকে। গফুর তোরা কি ঘুমাইয়া পড়ছস। কি বউ? এই ভাবে ঘুমাইলে চলবো। মাইয়াডা কানতাছে কেন? কতক্ষন ধইরা কানতাছে তোমরা শুনতে পাওনা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×