somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ ইকরাম
ইকরাম এর দুনিয়া

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিক পঠিত সেরা ৫টি বই

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজয়ের এ মাসে সর্বক্ষেত্রে সেরা উপহার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বই।
- বিজয়ের মাসে, স্কূল পড়ুয়া সন্তানের জন্য সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, কারও জন্মদিনে সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, বিয়ের দাওয়াতে সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, নিজের স্টডেন্টের জন্য সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
- বিজয়ের মাসে, কাছের বন্ধুর জন্য সেরা উপহার মুক্তিযুদ্ধের বই
আমার নিজের পড়া সেরা ৫ টি বইয়ের নাম শেয়ার করছি, যেগুলো না পড়লে অনেক কিছু অজানা থেকে যেতো।



১৯৭১ : ভেতরে বাইরে,
লেখকঃ এ কে খন্দকার বীর উত্তম

ইতিহাস রচনার দুটি উৎস: একটি হচ্ছে দলিল-দস্তাবেজ, আর অন্যটি হলো অংশগ্রহণকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান বা তাদের স্মৃতিকথা।

এ কে খন্দকার বীর উত্তম স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় সব নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। খুব কাছে থেকে যুদ্ধের সফলতা ও ব্যর্থতাগুলাকে অবলোকন করেন। তিনি যুদ্ধ পরিচালনায় মাঠপর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কী কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা-ও তিনি জানতেন। তিনি যে অবস্থানে থেকে যুদ্ধকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, তা অন্য অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। সে অভিজ্ঞতার আলােকেই লিখেছেন ১৯৭১: ভেতরে বাইরে। বইটি মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাক্রমের বর্ণনা নয়, এতে পাওয়া যাবে যুদ্ধের নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং তার সফলতা, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা-সম্পর্কিত বেশ কিছু মূল্যবান তথ্য । প্রচলিত মত ও আবেগের উর্ধ্বে থেকে বাস্তবতা আর নথিপত্রের ভিত্তিতে বিষয়গুলাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন লেখক । এমন কিছু বিষয়েরও উল্লেখ আছে বইটিতে, যা নিয়ে এর আগে বিশেষ কেউ আলোচনা করেননি। লেখকের নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রের সমর্থন বইটির নির্ভরযােগ্যতা বাড়িয়েছে।

যদিও বইটিতে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য রয়েছে, যেমন - ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেছেন - এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। পরে এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আলোচনার জন্ম হয়।
তারপর ও আমি বলব মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যারা বুঝতে চান, যারা বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যই পড়া উচিত।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link

একাত্তরের দিনগুলি
লেখকঃ জাহানারা ইমাম।

একাত্তরের দিনগুলি বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমাম রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালের ফেব্রয়ারি মাসে।

বইটি ব্যক্তিগত দিনলিপি আকারে লেখা, যার শুরু ১৯৭১ সালের ১ মার্চ এবং সমাপ্তি সেই বছরের ১৭ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা শহরের অবস্থা ও গেরিলা তৎপরতার বাস্তব চিত্র এতে উঠে এসেছে। বইটিতে তার সন্তান শফি ইমাম রুমী অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা দেয়।

বইটি নিয়ে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর মন্তব্যঃ

ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তিনি দেখছেন। কিন্তু দেখছেন দূর থেকে। যদিও এই গল্প একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত গল্প। জননীর তীব্র শোক ও বেদনার গল্প। নিজের গল্প দূর থেকে দেখতে পারেন তাঁরাই, যাঁরা বড় শিল্পী। গভীর আবেগকে সংযত করবার জন্য প্রযোজন হয় একটি পাষাণ হৃদয়ের। সত্যিকার শিল্পীদের হৃদয় হয় পাথরের, নয়ত এত দুঃখকে তাঁরা কোথায় ধারণ করবেন? জাহানারা ইমাম হৃদয়কে পাথর করে লিখলেন তাঁর ডায়রি। কী অসম্ভব আন্তরিকতার সঙ্গেই না তাঁর গল্প বলে গেছেন। সেই গল্প তাঁর একার থাকেনি। কোন এক অলৌকিক উপায়ে হয়ে গেছে আমাদের সবার গল্প।
হুমায়ূন আহমেদ, বিচিত্রা

বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link


আমি বীরাঙ্গনা বলছি
লেখকঃ অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে পাওয়ার জন্য আমাদের জাতিকে বিরাট মূল্য দিতে হয়েছে। অগনিত নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রাণ এবং বিপুল সম্পদের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই রাষ্ট্র। যারা সাধারণ মানুষ, দেশ ত্যাগ করে ভারতে যায়নি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেনি, তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের আহার ও আশ্রয় দিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে।
যুদ্ধকালে নির্যাতিতা কিছু নারীর মর্মান্তিক কাহিনী, উপরের বইটিতে বর্ণিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরেই, ১৯৭২ সালে, বঙ্গবন্ধু সরকার পরম মহানুভবতায় এই নারীদের বীরাঙ্গনা' বলে ঘোষনা করেন এবং স্বাধীনতা অর্জনে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেন। নানাভাবে সরকার তাদেরকে আর সবার মতো মর্যাদাবান মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন।

আমাদের সমাজ কিন্তু যথেষ্ট উদার মানসিকতার অধিকারী নয়। নানা রকম সংস্কার ও কুসংস্কার এবং ঔচিত্য-অনৌচিত্যের প্রশ্নকে আড়াল করে সামাজিক নিষ্ঠুরতাকে কেবল প্রশ্রয় নয়, প্রাধান্য দেয়। এই বৈরী বাস্তবতায় অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম সমাজকল্যাণের মনোভাব নিয়ে সাহসের সঙ্গে রচনা করেছেন ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি বইটি । তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে তথ্য নির্নয় করেছেন। এবং বীরাঙ্গনাদের অন্তর্জালা তাদেরই জবানিতে সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করেছেন।

বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link

একাত্তরের ডায়েরী
লেখকঃ সুফিয়া কামাল
কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন মনন ও সৃজনশীলতায় অগ্রগামী নারী। যে সময়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নিজের সহজাত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে সেই সময়কে অতিক্রম করেছিলেন এগিয়ে থাকা মানুষের শাণিত বোধে। যে বয়সে মানুষের বিবেচনা ও অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয় সে বয়সে তাঁর সময়কে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানব কল্যাণের প্রয়োজনে। তাঁর রচিত ‘একাত্তরের ডায়েরী’ গ্রন্থ এই বিবেচনার সবটুকু প্রেরণা থেকে রচিত। ডায়েরির শুরু হয়ে ডিসেম্বর ৩০, ১৯৭০ তারিখে। শেষ হয়েছে ডিসেম্বর ৩১, শুক্রবার। পুরো এক বছর সময়। তবে প্রতিদিনের প্রতিদিনের দিনলিপি নয়। মাঝে মাঝে কিন্তু কিছু তারিখ বাদ দিয়ে লিখেছেন।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link


দেয়াল
লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদের অবর্তমানে তার উপন্যাস দেয়াল প্রকাশিত হয়েছে।
যে সময়কে উপজীব্য করা হয়েছে ‘দেয়াল’-এ, তা একটি সদ্যস্বাধীন জাতির ভাগ্যকাশের চরম অনিশ্চয়তার কাল। উপন্যাসের কিছু চরিত্র বাস্তব থেকে নেওয়া, নাম-ধাম সবই বাস্তব, ঘটনা-পরস্পরাও বাস্তবেরই অংশ। লেখক যেহেতু উপন্যাস লিখেছেন, তাই আছে কিছু কাল্পনিক চরিত্র। গল্প আবর্তিত হয়েছে এদের ঘিরেও ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে খন্দকার মোশতাক আহমেদ জড়িত ছিলেন বলে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে উঠে এসেছে। কিন্তু মোশতাক আহমেদ কিছুই জানতেন না, এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে ঐ উপন্যাসে।
এ বিষয়টি নিয়ে এক সময় প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই কারনেই মূলত আমার মধ্যে এ বইটি পড়ার আগ্রহটা জন্ম নিয়েছিলো।
বইটি অনলাইনে অর্ডার লিংকঃ view this link
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×