somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশাত্মবোধ ও আমাদের করনীয় (রিপোস্ট)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ স্বদেশ(হিন্দি) সিনেমাটা দুইবার দেখলাম। আগেও দেখেছি। তার পরেও কেমন জানি একটা টান একটা ভালোলাগা কাজ করে। দেশাত্মবোধ জেগে ওঠে। মনে হয় আমি যদি আমার দেশের সকল সমস্যা দূর করে দিতে পারতাম। কি নেই আমাদের? আমাদের দেশের মানুষ অনেক মেধাবি,অনেক আবেগি। আম্মুর কাছে শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ একে অপরকে কিভাবে নিজের জান বাজি রেখে সাহায্য করেছে শুনেছি ওই সময় নাকি নিজের সন্তানের চেয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মানুষ বেশি ভালবেসেছে। আমরাতো সেই সকল মানুষদেরই সন্তান। তাহলে কেন আজ আমাদের এই অবস্থা? ১৪-ই ডিসেম্বর চলে গেলো। আমরা শেষ হয়ে গিয়েছি সেইদিনই। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া আজও চলছে অন্যরকম ভাবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনেকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ অঙ্কুরেই ঝরে যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের সব বাবামাদের উচিত নিজ নিজ সন্তানকে আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শিক্ষা দেয়া। কেনো জানি আমার মনে হয় আমরা একটা চরম মুহূর্তের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখন আর বসে থাকার সময় নেই। যে যেই অবস্থানে আছে তার সেই অবস্থান থেকেই নিজের দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। আমি ব্লগে দেখেছি অনেক ব্লগার যারা দেশকে নিয়ে অনেক স্পরশকাতর। দেশকে নিয়ে অনেক চিন্তা করে। যেখানে দেশকে নিয়ে চিন্তা না করা মানুষের সংখ্যা নেহায়েতি অনেক কম। তাহলে কেন পারছিনা? আমরা কি তাহলে গুটিকয়েক মানুষের কাছে হেরে যাচ্ছি? আমার মনে হয় সমস্যা আমাদের কেন্দ্রে। আমরাদের সন্তানরা পরিবার থেকে এ বিষয়ে খুব কম শিক্ষাই নিয়ে আসে। আমি দেখেছি যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী ভুল পথে চলে যাচ্ছে। আর আমরা এ জন্য তাদেরকেই দোষারোপ করে থাকি। কিন্তু আমরা কি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে তাদের মধ্যে কয়জন শিক্ষার্থী পরিবার থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে এসেছে? আমদের অধিকাংশ পরিবার চায় তার ছেলে বা মেয়ে একটা ভালো অবস্থানে যাক, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হোক কিন্তু তারা যদি সঠিকটা জেনে আসতো তাহলে হয়তো প্রেক্ষাপট আরেকটু অন্যরকম হতো। “বাবা তোমাকে অনেক বড় হতে হবে। যে অবস্থানেই যাও দেশর জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। মনে রেখ অনেক শহীদের রক্তে অর্জিত আমাদের এই দেশ। এই যে স্বাধীনতা তোমরা আজ উপভোগ করছ তা তোমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া। তাদের এই উপহারকে কক্ষনো অশ্রদ্ধা করোনা। বাবা তুমি-ই আগামীর চালিকা শক্তি। তাই তোমার উপর অনেক দায়িত্ব।” এ রকম কথা যদি কোনো ছেলে বা মেয়ে পরিবার থেকে শুনে আসে আমার মনে হয়না সে খুব সহজেই ভুল পথে পা বাড়াবে। আমি এখনও ছাত্র। আমি আমার চার পাশের তরুন প্রজন্মকে সব সময় সঠিক পথে চলার কথা বলি। যে যেভাবে বোঝে তাকে সেভাবে বলি। আমার এক ছাত্র চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। একদিন তাকে অনেক কথা বললাম। কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক তা বললাম। সে মাদ্রাসায় পড়ে। এ জন্য আরো বললাম তোমাকে ইসলাম সম্পর্কে সঠিকটাই সব সময় জানতে হবে এবং জানাতে হবে। কেউ একটা কথা বললে তার ভালো মন্দ বিচার করতে হবে। ভালো মন্দ বিচার করার বয়স হয়নি তার বা এসব কথা তার ভালো লাগারও কথানা। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে মনোযোগ সহকারে আমার কথা গুলি শুনলো। তাকে বললাম বড় হওয়ার সাথে সাথে তোমার দায়িত্বও অনেক বেড়ে যাবে। আমি জানি আমার কথায় তার মনে এক ধরনের পরিবর্তন আসবেই। ছোট ছেলেমেয়েরা বাবার বা মায়ের মুখে গল্প শুনতে অনেক পছন্দ করে। সেই গল্পের বিষয় কি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসের গল্প হতে পারেনা? আমার অনেক ভালো লাগে যখন দেখি ২১শে ফেব্রুয়ারিতে অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়ে তাদের বাবার হাত ধরে শহিদ মিনারে ফুল দিতে এসেছে। আমরা কেন ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিতে যাই সেই গল্প তাদের শুনাতে হবে। আমাদের এই সব শিশুরাই একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে। আমি নিশ্চিত বলে দিতে পারি তারা কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে আসবেনা। আর যারা এই মুহূর্তে স্কুল কলেজে পড়ছে তাদেরকে বুঝানো আরো সহজ কারন তারা প্রায় সবই বোঝে শুধু একটু পরিচর্যা দরকার। মাঝে মাঝে দেশের কথা চিন্তা করে আমিও হতাশ হই বটে কিন্তু আশা ছাড়িনা। আমার বিশ্বাস এ দেশ একদিন পরিবর্তন হবে ঠিক যেমনটি আমরা দেখতে চাই।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×