অালোর স্কুল থেকে বেরোতেই দেখা হয়ে গেল পথের সঙ্গে: তার সাথে রথের সহযোগী। যাত্রা থেমে গেছে যাবতীয় ধূলোর। রথের চাকা বলে, বড় ক্লান্ত ক্লান্ত লাগে এ শহরে।
এ শহর মানে কলকাতা নগরীর শব্দদূষণ। রিকশার টুঙটাঙ, বাতাসের ঝাপটা, রথের চাকায় পিষ্ট হোয়া ধূলো_ অার দেখো অামার ফতুয়ার পকেট_ কী অবলীলায় একাকার হয়ে যায় তারা।
একাকার হয়ে যাোয়া মানে সাত বীরশ্রেষ্টর মাঝে পড়ে থাকা পাথরের ভগ্নাঙশ। সে- ধূলোর বন্ধু, জড় বন্ধু। তার সামনে কত অালোর খেলা! তার সামনে সাতমাথার সাত নিদ্রা_ তার সামনে ম্যান্ডোলিনের ঘোড়ার হ্রেষা_ তার সামনে সপ্তপদীর সপ্তর্ষী_ তার সামনে এ শহরের সে শহরের কিংবা পৃথিবীর যে-কোনো শহরের সূর্যাস্ত-সাদা ফারুক সিদ্দিকী কিংবা অান্োয়ার অাহমদের দীর্ঘশ্বাস
দীর্ঘশ্বাস মানে কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক। কিংবা সেই সড়কের সোডিয়াম বাল্ব। না, ঐ দীর্ঘশ্বাস মানে এক নিরুদ্দেশ ঘোড়ার গাড়ী
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩