নতজানু পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে সরকার শুধু পানি নয়, সবকিছুই আজ ভারতনির্ভর করে ফেলেছে। দেশের আমদানিকারকেরা বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছেন ভারত থেকেই। আর ভারতের ওপর অতিনির্ভরতার কারণেই দেশে পেঁয়াজের দাম তো কমছেই না, বরং প্রতিনিয়তই দামে রেকর্ড করছে। ভারতের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৬০ রুপিতে পৌঁছেছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে বাংলাদেশেও। এতে বেড়ে গেছে পণ্যটির দাম । গত শুক্রবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা, বর্তমানে তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। পেঁয়াজের এমন ঝাঁঝে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
চীন এবং পাকিস্তানের পেঁয়াজ দেখতে প্রায় দেশি পেঁয়াজের মতো। স্বাদও কাছাকাছি। তাই দেশে চাহিদাও ভালো। বাজারমুল্য এবং রপ্তানিমুল্য যথেষ্ট কম হওয়ার পরও এ দুটি দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। ভারতে পেঁয়াজের এত সংকটের পরও দেশটি থেকেই বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ভারত যেখানে দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে, সেখানে কম রপ্তানিমূল্য হওয়ার পরও কেন পাকিস্তান কিংবা চীন থেকে আমদানি বাড়ছে না। কারণ জানতে চাইলে শ্যামবাজারের আমদানিকারক পপুলার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী রতন সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আগে আমাদের বাণিজ্য ছিল না। নতুন করে এ বাণিজ্যটা হয়েছে। সে কারণে আমরা যেমন সে দেশের ব্যবসায়ীদের চিনতাম না, তারাও আমাদের সম্পর্কে জানত না। এখন কিছুটা জানাশোনা হয়েছে। এখন হয়তো পাকিস্তানের থেকে পেঁয়াজ আমদানিও বাড়বে।(http://goo.gl/btRG9C)
ভারত অবশ্য ধাক্কা সামাল দিতে আগামী মাসে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করেছে। মূলত পাকিস্তান, চীন ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দরপত্রে আহ্বান জানিয়েছে ভারত !!