somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেটারদের সিরিজ জয়, পুরস্কার এবং একটু অন্যরকম কথা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে আর সকলের মত আমিও প্রচন্ড খুশি হয়েছি।আর পাঁচজন বাংলাদেশির বুক গর্বে যতটা ফুলে উঠেছে আমার এক বিন্দুও কম ফোলেনি এই বিজয়ে।কিন্তু বিজয় পরবর্তী একটা জিনিস খুব খারাপ লাগল।

খেলোয়াররা ম্যাচ জিতবে, সিরিজ জিতবে এটাই হওয়া উচিৎ।বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন দেশ, তাদের একটু বেশি সময় লাগবে জেতার ধারাবাহিকতায় আসতে এটাও স্বাভাবিক।সেটা লাগছেও আর আমরাও ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করি এবং করছি বাংলাদেশ ধারাবাহিক হবে।আশা করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা সিরিজটিই সেই ধারাবাহিকতার সূচনা করল।আমরা আশাবাদী।

সিরিজ জেতার পর বোর্ডের তরফ থেকে খেলোয়ারদের জন্য পুরস্কার ঘোষনা করেছিলেন বোর্ড সভাপতি।সেঞ্চুরী করলে এক লাখ, হাফ সেঞ্চুরী পঞ্চাশ হাজার, তিন উইকেট পঞ্চাশ হাজার, পাঁচ উইকেট এক লাখ।আমার কাছে মনে হয়েছিল এটাই ছিল খেলোয়ারদের পুরস্কৃত করার সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ।সেটা এখনও বহাল আছে বলে আমি খুশিও।কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলোয়ারদের নৈশ ভোজনে আমন্ত্রন জানিয়ে যেভাবে গাড়ি-বাড়ি এবং নগদ টাকা দিলেন সেটা একটু দৃষ্টিকটুই ঠেকেছে।প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশ ভোজনই মনে হয় যথেষ্ট ছিল।কারন যারা একটিও ম্যাচ খেলেনি এবং স্কোয়াডেও ছিলনা তাদের এত পুরস্কার দিয়ে পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন তিনি কিভাবেই বা করলেন আর স্কোয়াডে না থাকা একজনকে পুরস্কৃত করে স্কোয়াডে না থাকা অন্য কোন খেলোয়ারকে মানসিকভাবে বিদ্রোহীই করে দিলেন কিনা সেটা ভাববার বিষয়।আর যে দেশে মানুষ একটা প্লটের জন্য কত কিছুই না করছে সেখানে এভাবে একটা প্লট দিয়ে দেওয়াই বা কতটা যুক্তিসংগত হল? খেলোয়াররা খেলবেন, দেশকে জেতাবেন এটা দেশের প্রতি, তাদের পেশার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও বটে।আর কয়টা পেশার প্রতি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এভাবে সু-দৃষ্টি দিতে পারবেন?ক্রিকেট সবকিছুর পরে একটা পেশাও কিন্তু এখনকার দিনে।

এক্ষেত্রে মনে হয় এক বড়ভাইয়ের কথাই ঠিক।তিনি বলেন যে খেলোয়ারদের এতটা পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলোয়ারদের ব্যক্তিগত ভক্তদের খুশি করে জনসমর্থনের পাল্লাটা কিছুটা হলেও ভারী করার উদ্যোগ।হয়তোবা তাই ই।

জানি অনেকেই কষ্ট পাবেন এই লেখা পড়ে।কিন্তু সবকিছুই একটা সীমার মধ্যেই থাকা দরকার।একজন প্রধানমন্ত্রী খেলোয়ারদের সন্মানে যে নৈশভোজনের আয়োজন করেছেন এটাই হতো খেলোয়ারদের সবচেয়ে বড় সন্মান, সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।আর বোর্ডের পুরস্কার তো ছিলই।

কোন হিংসা বা বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে নয় বরং সাদা চোখে দেখলেও বলতে হয় পারফরম্যান্স অনুযায়ী বোর্ড ঘোষিত পুরস্কারের ব্যবস্থাই ঠিক ছিল।পারফরম্যান্স অনুযায়ীই পুরস্কৃত করা উচিৎ, ঢালাওভাবে এবং ইচ্ছামত নয়।থাকলেই দিয়ে দিতে হবে এটা ঠিক না।ক'বার এভাবে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এদেশের?
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×