somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময় বয়ে যায় - মানুষ কি বদলায়?

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন পর সামহোয়ার ইন এ এসে বেশ লাগছে। এক সময়তো তো রাতের পর রাত এখানেই থাকতাম। কি উত্তেজনার সময় - কে পোষ্ট দিলো - কমেন্টে কে কাকে ঘায়েল করচে। আর অবধারিত ভাবে গালির ঝড়। কখনই গালাগালি পছন্দ করি না - কিন্তু উপায় ছিলো না - গালাগালির মাঝেই ব্লগিং করতাম। অবশ্য একটা লক্ষ্য ছিলো সেই ব্লগিং এর - লক্ষ্যে পৌছার পর বিশ্রাম। তারপরও ব্লগিং ভাল লাগে। যদিও শত শত ব্লগ লেখেছি - তারপরও ব্লগার হিসাবে কিছু অর্জন করেছি বলে মনে হয় না - আর কিইবা অর্জন করা যেতো - প্রবাসে বসে বাংলা লেখা - বাংলাদেশের মানুষের সাথে ইন্টারএকশ্যান করার যে আনন্দ - তার মূল্য অনেক। যাই হোক কিছু একটা বলি বরঞ্চ - পুরোনো কাসুন্দী ঘেটে লাভই বা কি!

গতকাল ফেইসবুকে দেখলাম অনেকেই কান ধরে ছবি দিচ্ছে - অভিনব প্রতিবাদ সন্দেহ নেই। কিন্তু অবাক হয়ে দেখছি প্রবাস থেকেও অনেকে বাচ্চাদের কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি দিয়েছে। বলাই বাহুল্য - প্রবাসে থাকা - বিশেষ করে নর্থ আমেরিকায় বসবাস করা কোন বাচ্চা ভাবতেই পারবে না যে কোন শিক্ষককে অপমান করা যায় অথবা শিক্ষক বাচ্চাদে শাররীক ভাবে আঘাত করতে পারে। নিম্চয় বাবা-মাকে বিষয়ট বুঝাতে হয়েছে। এতে বাচ্চাটার মনে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে খুব একটা ভাল ধারনা তৈরী হয়েছে বলা যাবে না।

যাই হোক - সবার নিশ্চয় নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে সব বিষয়েই। তবে একটা ছবি দেখে কিছু না বলে পারিনি। ছবিতে একআ বাচ্চা ছেলে প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে আছে - প্রতিবাদের কথা লেখা সেখানে - তাকে দুইটা বানান ভুল। বললাম - ভাই যে বাচ্চা বানান ভুল করে তার শিক্ষককে কান করে দাড়িয়ে থাকার ছবি কেন দিচ্ছেন না। শুরু হলো গালিগালাজ। বস্তুত বাচ্চাদের এই ধরনের গড্ডালিকা প্রবাহে না ভাসিয়ে তাদের বিরূপ পরিবেশ থেকে সুরক্ষা দেওয়াই বাবা-মা/অভিভাবকের দায়িত্ব। পৃথিবী কখনই বেহেস্ত ছিলো না - হবেও না। এখানে ভাল মানুষ যেমন আছে - খারাপ মানুষও থাকবে। একটা বাচ্চাকে সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে না দিলে তারা নেতিবাচক পরিবেশে বড় হবে - নেতিবাচক মানুষ হবে। অন্যদিকে অন্যায়কারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যে দেশে আইন আছে - সংস্থা আছে। তারা যদি কাজ না করে তাদের কাজ করার মতো অবস্থা তৈরী করতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা হলো - বাচ্চাদের ব্যবহার করে সহানূভূতি তৈরী করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস না দিয়ে বরঞ্চ তাদের সাথে এই নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা করা যায় - তাদের বলা যায় - যেন ওরা বড় হয়ে নিজের কাজটা ঠিক মতো করে। যে পুলিশ হবে সে যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে। ডাক্তার হলে যেন ময়না তদন্তটা সঠিক ভাবে করে - তবেই না অন্যায়কারীদের ধরা যাবে - শাস্তি দেওয়া যাবে।

শেষ কথা হলো - উপনিবেশিক আমল থেকে টেনে আনা এই জবরজং সমাজ কাঠামোটা শুধু প্রতিবাদ আর ফেইসবুক ইভেন্ট করে বদলানো যাবে না - তার জন্যে দরকার একটা প্রজন্ম। আর আজ যে শিশু সেই হতে পারে নতুন সমাজ নির্মানের কারিগর। সেই স্বপ্ন নিয়েই তাদের বড় করা উচিত - তাদের সকল নোংরামী এবং জটিলতা থেকে দুরে রাখার লক্ষ্যে ঘটনা বিষয়ে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো জন্যে শিশুদের ব্যবহার করা একদমই উচিত নয় বলেই মনে করি।

পড়ার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৫৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×