শহরের ইট কাঠ আর বড় বড় দালানে সত্যিই বোঝা যায় না।
এখানেও আকাশ আছে, অদূরে কাশের বন আছে,
বৃক্ষ লতার বৈচিত্র্য আছে, তবু শরৎ যেনো
ক্যালেন্ডারের পাতায় আসে যায়।
জানো, শরৎ দেখতে হলে চাই বড় আকাশ, মেঘমুক্ত নীলাকাশে স্বচ্ছ দিগন্ত। রাতে বসবে নক্ষত্র সভা। দূরের অথবা কাছের নিষ্প্রভ তারাও যেনো হাজির হবে আপন অস্থিত্বের খবর জানাতে। হে পথিক তুমি হারিয়ে যাও জোনাক আলোয় কোন খোলা মাঠে।
নদীর দু'ধার বেয়ে ঘন কাশের জঙ্গল রুপ নেয় প্রেয়সী সাজে
হিয়ালিয়া মলয়ের খিল খিল আওয়াজ যেনো ভেসে যায় কাশের বনে তন্বীর এলোকেশে
ওহে যুগল তনু মনে বাণ এসেছে হারিয়ে যেতে
মিষ্টি আমেজের দুষ্টু আলাপনে।
বিদেয়ী বর্ষা যেনো রয়ে যায় সময় অসময়ে। নদী খাল বিল পুকুর যেনো উপচে পড়ে আপন মহিমায়।
কোথাও শাপলা ফোটে, কোথাও পদ্ম আবার কোথাও
কলমি লতার সতেজ হাসি। কেউ আবার
ডাঙায় খোঁজে শারদীয় হাসি শিউলি ফুলে।
ওগো কুসুম কুমারী তব বন্দনা শেষে ভোর হয় যার
তাকে দান কর তব স্নিগ্ধ হাসি।
শরৎ এসেছে ধরায়
কংক্রিটের ব্যস্ত জনপদে
যার যার মতন করে।
কেউ কাশের বনে পাশাপাশি, কেউ বৈঠা বেয়ে পৌঁছে যায় শাপলার জলাশয়ে আবার কেউ গভীর নিশীথে ছাদে অথবা ব্যালকনিতে সাজায় বাসর নক্ষত্রের আলোয়।
গভীর নিশীথে ঝি ঝি পোকার ডাক যখন প্রকট
তখন কেউ জেগে থাকে
ভাবনাকাশে সমস্ত নক্ষত্রের অপমৃত্যুর পর
সে শরৎ দেখে চৈত্র চোখে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪