তথাগতকে বললাম, 'প্রিয় সর্বার্থসিদ্ধ, মার কে?'
তথাগত বললেন, 'মার মানে কন্দর্প, কামদেব, চিত্রায়ুধ, পুষ্পশর, মদন।'
বললাম, 'তার সাথে আপনার শত্রুতা কীসের? লোকে মদনের জন্য এখন
কোলকাতা হারবাল, জাপানি হারবাল, শান্ডার তেলে অর্থ পর্যন্ত খরচ করে
আর আপনি তার সাথে শত্রুতা বাঁধালেন? কেন?'
গৌতম বললেন, 'সেদিন বছরের শ্রেষ্ঠ দিন
বৈশাখী পূর্ণিমা
গ্রীষ্মের সন্ধ্যা হয় হয়
নৈরঞ্জনা নদীতে স্নান সেরে অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে বসে মন একাগ্র করলাম
পূর্ণিমা আলোয় চারদিক উদ্ভাসিত হতে দেরি নাই আর
এমন সময় মার
দেহের নিয়মে জাগিয়ে দেয় দেহ, মনের নিয়মে মন
কাছে নাই স্ত্রী
গার্লফ্রেন্ড সুজাতা
অন্তত বারবণিতা আম্রপালির মতোও দেহপসারিণী কেউ
বলো মেজাজ কার ঠিক থাকে তখন?
তখনই বানাই বসে 'মারবিজয়–কাব্য'।
রতি, প্রীতি, তৃষ্ণা তিন কন্যা
বিভ্রম, হর্ষ, দর্পসহ তার পাঁচশত পুত্রকে প্রব্রজ্যাধর্ম দিই
তারা গার্হস্থ্যধর্ম ত্যাগ করে সুবর্ণপুর হতে চলে আসে আমার নিকট।
আসলে একটা কথাও সত্য নয়
সমস্তই মিথ্যা বানোয়াট স্বকপোলকল্পিত নপুংসক।'
'কিন্তু কেন, হে অঙ্গিরসু?' বললাম আমি।
তিনি বললেন, ' জাগ্রত শরীর নিয়েও আমি যা পাই না তা কেন পাবে পৃথিবীর সকল লোক?
তাই মারের উপর এ ছিলো আমার চরম প্রতিশোধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫